উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা মামনি কোল বলেন, তেভাগা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন আমার ঠাকুরদার মা। তার এতদিন পরে, আজও আমাদের কোনওরকম সরকারি সাহায্য বা অন্যকিছু প্রদান করা হয়নি। আমাদের এলাকায় এখনও অনেক রাস্তা কাঁচা রয়েছে। সেগুলি দিয়ে চলাচল করা যায় না। গ্রামে আগে বেশ কয়েকটি জলাধার ছিল। বর্তমানে সেগুলি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। আমরা চাই, গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে একটি মডেল গ্রাম হিসেবে এই খাঁপুরকে তুলে ধরা হোক।
জানা গিয়েছে, খাঁপুর গ্রামে তেভাগা আন্দোলনের যে শহীদ বেদি রয়েছে, তার উপরে থাকা আলোটি দীর্ঘদিন ধরেই জ্বলে না। এছাড়াও এলাকায় পথবাতি থাকলেও সেগুলির বেশিরভাগই জ্বলে না। গ্রামে নয়টি পানীয় জলের জলাধার রয়েছে। সেগুলির মধ্যে একটি নতুন করে চালু করা হয়েছে। কিন্তু বাকিগুলির একটি থেকেও জল পান না গ্রামের বাসিন্দারা। তবে উন্নয়ন যে একেবারেই হয়নি, সেকথা বলা যাবে না। খাঁপুর গ্রামেই রয়েছে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তার পাশেই রয়েছে বাজার ও হাটখোলা। গ্রামের চাষিরা এই হাটের উপরেই নির্ভর করেন। এলাকায় একটি হাই স্কুলও রয়েছে। খাঁপুর থেকে মালঞ্চা পর্যন্ত প্রায় আট কিমি রাস্তা সম্প্রতি বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে গ্রামজুড়ে।
সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন স্থানীয় নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তথা সিপিএম নেতা শুভেন্দু মার্ডি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথী, শংসাপত্র ও বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকায় পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আলো, আবাস যোজনা, রাস্তা সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিডিও অফিসে জানিয়েছি।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তেভাগার গ্রাম নিয়ে বামেরা দীর্ঘদিন থেকে শুধুই রাজনীতি করেছে। তৃণমূল সরকার আসার তারাও কিছুই করেনি। আমরা ক্ষমতায় এলে নিশ্চয়ই এই গ্রামের কথা ভাবব।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, আমরা তেভাগা আন্দোলনের বংশধরদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলাম। বর্তমান সরকার এসে সেসব বন্ধ করে দিয়েছে। আমরাই ওই গ্রামের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ করেছি।
স্থানীয় তপন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বলেন, খাঁপুরের জন্য আমরা অনেক কাজ করেছি। আগামীদিনে আরও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তেভাগার শহীদদের বংশধরদের দাবিগুলিও ভাবা হবে।