মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী বাইক সহ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হয়েছে। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান নেমেছে আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্রাফিক) ডাম্বার সিংহ সোনার বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী বাইক সহ যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু বাইকচালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রায় দেড় বছর আগে মুর্শিদাবাদ জেলার বালিরঘাটে সেতুর রেলিং ভেঙে সরকারি বাস বিলের জলে পড়ায় বেশকিছু যাত্রীর মৃত্যু হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলন্ত ওই বাসের চালক মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেজন্যই মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এরপরই মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে কিংবা মোবাইলের হেডফোন কানে গুজে বাইক সহ যানবাহন চালানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। তা অমান্য করেই উত্তরবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত শহর শিলিগুড়িতে মোবাইল ফোন কানে দিয়ে বাইক নিয়ে বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উঠতি বয়সের যুবকরা। যাদের বয়স ১৮ বছরেরও নীচে। তাদের কেউ হেলমেটের আড়ালে কানে মোবাইল ফোন গুজে বাইক চালাচ্ছে। আবার কারও কানে হেড ফোন গোজা থাকছে। কেউ কেউ আবার একহাতে বাইকের হ্যান্ডেল অন্যহাতে মোবাইল ফোন ধরে বাইক চালাচ্ছে। হামেশাই শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা হিলকার্ট রোড, সেভক রোড, কাছারি বোডা, বর্ধমান রোডে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
শুধু তাই নয়, শহরের ঘিঞ্জি গলিতেও বাইকচালকরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিশেষত সন্ধ্যার পর তাদের একাংশ প্রচণ্ড গতিতে বাইক নিয়ে ছুটে বেড়ায়। তাদের পরনে থাকছে টি শার্টের উপর জ্যাকেট এবং জিন্স প্যান্ট। কারও কারও হাতে গ্লাভস থাকছে। অনেক চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও পিছনে বসে থাকা সঙ্গীর মাথায় তা থাকছে না। কোনও কোনও বাইকে তিনজনকে চাপানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার বাইক চালাতে চালাতেই কেরামতি দেখানোর জন্য চলন্ত বাইকের হ্যান্ডেল ছেড়ে দেয়। চলন্ত বাইকের স্ট্যান্ড পড়ে থাকলেও অনেকের ভ্রূক্ষেপ নেই। অনেকে আবার ইচ্ছা করেই চলন্ত বাইকের সিঙ্গল স্ট্যান্ডের কিছুটা অংশ নামিয়ে রাখে। রাস্তার সঙ্গে চলন্ত বাইকের স্ট্যান্ডের ঘর্ষণে আগুনের ফুলকি ছোটে। কারও কারও বাইকের হর্ন বিকট।
এসবের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে একটি সংস্থা। আজ, সকালে তারা এয়ারভিউ মোড়ে পোস্টার হাতে নিশব্দ প্রতিবাদ জানাবে। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়ার পরিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) শঙ্কর ঘোষ বলেন, ১৮ বছরের নীচের ছেলেমেয়েদের বাইক চালানো বন্ধ, বিকট হর্ন বাজেয়াপ্ত করার দাবিতে এই আন্দোলন হবে। বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী যানবাহনের দাপট রুখতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
কেবলমাত্র বাইক নয়, শিলিগুড়িতে টোটো, সিটিঅটো এবং সরকারি ও বেসরকারি বাস, লরি সহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরাও গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলছেন। পুলিস ও প্রশাসন জানিয়েছে, বেপরোয়াভাবে যান চলাচল রুখতে হাসমিচক, পানিট্যাঙ্কি মোড়, বর্ধমান রোডে অভিযান চলছে।