ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
নতুন খরিফ মরশুমে বিক্রির জন্য আগের তুলনায় কিছুটা বেশি দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। অক্টোবর মাসে যে খরিফ মরশুমে শেষ হয়েছে সেখানে সাধারণ মোটা ধানের কুইন্টাল প্রতি সরকারি নির্ধারিত দাম ছিল ১৭৫০ টাকা। নতুন খরিফ মরশুমে সেই দাম আরও ৬৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি কুইন্টাল মোটা ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮১৫ টাকা দরে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে দাম পাওয়া যায়। ফলে ক্রয় কেন্দ্রে কুইন্টালে দাম মিলছে ১৮৩৫ টাকা।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে ২৯১টি ক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে। কিষান বাজারে এই ক্রয় কেন্দ্রগুলি খোলা হয়েছে। সমবায় সংস্থাগুলি অস্থায়ী শিবির খুলে ধান কিনবে। ২০টি সমবায় সংস্থা ইতিমধ্যে নাম নথিভুক্ত করেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ধান কেনার কাজে নামানো হবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ধান চাষ কিছুটা দেরিতে হওয়ার জন্য ডিসেম্বর মাস থেকে কৃষকরা বেশি সংখ্যায় ধান বিক্রি করতে আসবেন। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবারও ধান বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে চেকে দাম মিটিয়ে দেওয়া হবে। ধান কেনার পাশাপাশি কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। প্রায় ২০ হাজার কৃষক ইতিমধ্যে নাম নথিভুক্ত করেছেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের পোর্টালটিকে এবার ধান কেনার কাজে ব্যবহার করছে খাদ্য দপ্তর। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে আশা করছে খাদ্য দপ্তর। ফড়েদের নিয়ন্ত্রণ করতেও এটা কার্যকর হবে।
কৃষক পিছু ধান কেনার ঊর্ধ্বসীমা ধার্য হয়েছে ৯০ কুইন্টাল। ভাগচাষিরা ধান বিক্রি করতে চাইলে তাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে, এটি তাদের উৎপাদিত। চলতি মরশুমে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ৬ লক্ষ টন কিনতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এফসিআই-কে। যদিও এফসিআই প্রতিবারই খুবই কম পরিমাণ ধান কেনে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমেই মূলত ধান কেনা হয়।