শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এবার অক্টোবরের শুরুর দিকেই দুর্গাপুজো। আগামী ৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পুজোর পঞ্চমী। শুক্রবার ষষ্ঠী। দশমী পড়েছে ৮ অক্টোবর। ওই দিনই ইছামতী এবং গঙ্গায় বিসর্জন দেখানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। দপ্তরের এক কর্তার কথায়, গঙ্গায় বরাবরই বিসর্জন দেখানোর আয়োজন করা হয়। তবে ইছামতীতে ভাসান দেখানোর পরিকল্পনা এবারই প্রথম।
কী থাকছে প্যাকেজটিতে? পরিবহণ দপ্তরের একটি সূত্রের খবর, দর্শনার্থীদের কলকাতা থেকে ভলভো বাসে নিয়ে যাওয়া হবে হাসনাবাদে। বাস ছাড়বে ধর্মতলা থেকে বেলা ১১টা নাগাদ। দর্শনার্থীরা বাসে হাসনাবাদে পৌঁছবেন দুপুরে। বাসে অল্প কিছু জলযোগের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বাস থেকে নামিয়ে দর্শনার্থীদের তোলা হবে ইছামতীতে নোঙর করে থাকা জলযানে। নদীপথে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে টাকি। জলযানেই দর্শনার্থীদের দেওয়া হবে দুপুরের খাবার। দর্শনার্থীরা জলপথে টাকি পৌঁছবেন বিকেল তিনটে নাগাদ। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জলযানে থেকে দুই বাংলার ভাসান দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। তারপর ফের জলযানেই তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে হাসনাবাদে। সেখান থেকে ফের বাসে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হবে দর্শনার্থীদের। দপ্তর সূত্রের খবর, ইছামতীতে বিসর্জন দেখানোর প্যাকেজের মূল্য জনপ্রতি দু’হাজার টাকা রাখা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকিতে ইছামতীর অন্য প্রান্তে ওপার বাংলার সাতক্ষীরা জেলা। ২০১২ সাল পর্যন্ত বিসর্জনের দিন দুই বাংলার মানুষ দু’কূল জুড়ে নৌ-সফর করতে পারতেন। তা নিয়ে দুই দেশের আগাম বৈঠকও হতো। নানা কারণে তারপর থেকে ইছামতীতে বিসর্জনের দিন নৌ-সফরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। বর্তমানে ওপার বাংলার জলযানগুলি তাদের সীমানার মধ্যেই চলাচল করে। এ দেশের জলযানগুলির ক্ষেত্রেও একই বিধি চালু রয়েছে। স্থানীয়দের কথায়, বর্তমানে নদীর মাঝখানে ‘জিরো পয়েন্ট’ পর্যন্ত গিয়ে অপর প্রান্তের বিসর্জন চাক্ষুষ করা যায়। বিসর্জনের দিন দুই পাড়েই প্রতি বছর ব্যাপক উদ্দীপনা থাকে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
বিজয়ায় গঙ্গাবক্ষে অত্যাধুনিক জলযানে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জন দেখানোর আয়োজন হচ্ছে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্যাকেজে জলযান ছাড়বে মিলেনিয়াম পার্কের জেটি থেকে। সেখান থেকে ফেয়ারলি, হাওড়া জেটি হয়ে দর্শনার্থীদের বাবুঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট, বাগবাজার ঘাট সহ কয়েকটি ঘাটের প্রতিমা বিসর্জন দেখানো হবে। জলযানেই দেওয়া হবে রাতের খাবার। এই প্যাকেজটির জনপ্রতি মূল্য রাখা হতে পারে ১৪০০ টাকা।