যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
৫০তম বর্ষে ৫নং পার্ক সর্বজনীন ভাঙাগড়ার পুজোয় ফুটে উঠেছে সুন্দর শিল্পকলা। সম্পাদক শঙ্খ মুখোপাধ্যায় ও সমীর জোয়ারদার বলেন, বাংলার সংস্কৃতিতে যে নতুন ঢেউ এসেছে, তা শিল্পীর চোখে প্রকাশ পেয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। শিবাজী সঙ্ঘের ৬৮তম বর্ষের পুজোয় এবারের ভাবনা ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’। ভাবনা ও সৃজনে রতন শীল। চিলড্রেন্স পার্ক বিবেকানন্দ সঙ্ঘের ৫৭তম বর্ষের থিম লোকশিল্প। দক্ষিণ মাসুন্দা পল্লিমঙ্গল সমিতির ২৯ তম বর্ষের উপস্থাপনা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘২২শে বাইশ’। ২২ জন বিস্মৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীর ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়।
মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে ৭নং রেলগেট সংলগ্ন পুজো মণ্ডপগুলিতে। সনাতনী ভাবনাকে সামনে রেখে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ৭১তম বর্ষে পল্লি উন্নয়ন সঙ্ঘ বুদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। পশ্চিম কোদালিয়া উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর এবার ৬৭ বছর। থিম মিথিলা। বিহারের মধুবনীর বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবেশ তুলে ধরা হয়েছে এখানে। মণ্ডপ ভাবনা ও রূপায়ণে শিল্পী ঋতুরাজ সাহা। মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত এই পুজো কমিটির সভানেত্রী দীপা হালদার এবং সম্পাদিকা সুজাতা মজুমদার। প্রগতি সঙ্ঘের পুজো ৭১ তম বর্ষে। ভাবনায় শিল্পী সঞ্জীব দাস। জমিদার বাড়ির আদলে তৈরি দেবীমূর্তি। বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাবের কর্ণধার অসীম দাস বলেন, ৩১তম বর্ষে তাঁরা তাজ হোটেলের অনুকরণে মণ্ডপ করেছন। কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পী রাজীব পাল গড়েছেন মাতৃপ্রতিমা। সাবেকিয়ানার ছবি দেখতে পাওয়া যাবে মহাজাতি পরিষদ থেকে জাগৃতি সঙ্ঘে। দুর্গাপুজো উদ্বোধনে অভিনব প্রয়াস নিয়েছে পূর্বাচল। এবার তাদের ৫৫ তম বর্ষ। বাংলার পাট শিল্পকে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। পাশাপাশি পুজো উদ্বোধন হয়েছে ‘গুরুপ্রণাম’-এর মধ্যে দিয়ে। শক্তি সঙ্ঘের পুজোয় এবার নতুন ভাবনা। নতুন আঙ্গিকে সমাজের ‘প্রতিচ্ছবি’ তুলে ধরেছে নবপল্লি এভারগ্রিন।
এদিকে, এই প্রথম ক্যানিং থানায় দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত এই থানায় অতীতে কালীপুজো হলেও আগে কখনও দুর্গাপুজো হয়নি। থানার আইসি সৌগত ঘোষের উদ্যোগেই এই পুজোর আয়োজন। ক্যানিং থানার পাশাপাশি ক্যানিং মহিলা থানার আধিকারিকরাও অংশ নেবেন এই উৎসবে। থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোতে অনেক পুলিস অফিসার বাড়ি যেতে পারেন না। তাই তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এখানে এসেছেন। তাঁদের কথা ভেবেই থানায় দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিস কর্মীদের পরিবার ও স্থানীয় মহিলারাই পুজোর কাজকর্ম করবেন।