যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
করোনা কালে গোটা বিশ্বের আকুতি ছিল—ফের শান্ত, স্বাভাবিক হোক এ ধরিত্রী! তামাম দুনিয়ার সঙ্গে এ বাংলাও অসম লড়াই চালিয়েছে করোনাসুরের সঙ্গে। বধ না হলেও, বন্দি হয়েছে ভাইরাস। সচেতন মানুষের কারাগারে। সমগ্র মানবজাতির আকুতি—‘তমসো মা জ্যোতির্গময়’। শুনেছেন ‘দশপ্রহরণধারিনী’। অন্ধকার থেকে দেবী মহামায়া সবাইকে নিয়ে এসেছেন আলোর দুনিয়ায়। ভাইরাস বনাম মানুষের সেই লড়াইয়ের আবর্তকে মণ্ডপে সাজিয়ে সুরুচি সঙ্ঘের এবারের পরিবেশন—‘পৃথিবী আবার শান্ত হবে’। করোনা বাধ্য করেছে গৃহবন্দি হতে, করোনা কেড়ে নিয়েছে প্রিয়জনকে, করোনা করেছে কর্মহীন, করোনা ভেঙেছে অর্থনীতির কাঠামো। সেই সব কালো দিন পেরিয়ে দেবীর আবাহনের আয়োজনে সবার ঐকান্তিক প্রার্থনা, শান্তি নামুক এই ধরায়। আলো, ধ্বনি আর যথাযথ প্রেক্ষাপটের ব্যবহারে নিউ আলিপুরের ব্লক-এম’এর পুজো প্রাঙ্গণে সেই প্রার্থনাই যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রতিক্ষণ। আর তাই কালো মাথার ভিড় হামলে পড়ছে সারাক্ষণ। তৃপ্ত হাসি সুরুচি সঙ্ঘের পুজো আয়োজকদের।
উদ্বোধন পর্ব শেষ হওয়াটা বাকি ছিল, কালো মাথার মিছিল যেন অপেক্ষা করছিল মণ্ডপের বাইরে। চেতলার পেয়ারি মোহন রায় রোডে এখন ‘জন সয়লাব’। প্রায় লুপ্ত হতে বসা বাংলার কৃষ্টি ‘রায়বেঁশে’ আর বারো মাসের তেরো পাব্বনে জড়িয়ে থাকা কলাগাছ, চেতলার কংক্রিটের জঙ্গলে কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দেখতেই এখন মণ্ডপমুখী মানুষ। ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে গৃহিণীর হেঁসেল—থোড়, মোচা কিংবা গোটা কলাগাছ। সেই কলাগাছের বাকল মণ্ডপ সজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার সঙ্গে বীররস প্রধান লোকনৃত্য রায়বেঁশের নানা বিভঙ্গে মনোময় পরিবেশ—অরূপের আয়োজনের সঙ্গে সমানতালে টক্কর দিচ্ছেন ববি। পুজো লিগে কে সেরা? জবাব লুকিয়ে সময়ের গর্ভে।