যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
শ্যামবাজারে দাঁড়িয়ে গৃহবধূ মিনতি ঘোষ বললেন, আমার বাড়ি টবিন রোডের কাছে অক্ষয়কুমার মুখার্জি রোডে। তবে চাকরি সূত্রে প্রতিদিনই আমাকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয়। টালা ব্রিজ না থাকায় যেভাবে ঘুরপথে অফিস যেতে হতো, তা ভাবলে এখনও শিউরে উঠছি। উল্টোডাঙার অধরচন্দ্র দাস লেনের বাসিন্দা জয়ন্ত ঘোষের কথায়, ব্যবসার সূত্রে আমাকে নানা জায়গায় যেতে হয়। ব্রিজ ভাঙার পর আমাদের প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এ পথ, ও পথ ঘুরে আসতে হতো শ্যামবাজারে। সময় নষ্ট হতো। এই ব্রিজ উদ্বোধনের দিনই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। টালার বনমালি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা গৃহবধূ সোমা দাসের কথায়, পুজোর ঠিক মুখেই টালা ব্রিজ দিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এ যেন আমাদের কাছে পুজোর উপহার। যে ট্রাফিক পুলিসকে দীর্ঘদিন ধরে ওই চত্বরে হাজারো হ্যাপা পোহাতে হয়েছে, সেই ট্রাফিক পুলিস কর্মীদের মধ্যেও কেমন খুশি খুশি ভাব। কেমন বুঝছেন পরিস্থিতি? প্রশ্ন করতেই দুই ট্রাফিক সার্জেন্ট বললেন, কোনও সমস্যা হয়নি। ভালোভাবেই বাস চলাচল করছে। যানজট এবার কিছুটা হলেও কমবে।
বাগবাজার স্ট্রিটের বাসিন্দা চামেলি বেরা ব্যবসা করেন। বললেন, ব্রিজ ভাঙার পর থেকেই আমাদের ব্যবসা মার খেয়েছে। ফের নতুন করে টালা ব্রিজ চালু হওয়ায় আশা করছি এবার ভালো ব্যবসা হবে। বেসরকারি বাসের কন্ডাক্টর রঞ্জন দাস বলেন, কষ্টের মধ্যে কাটাতে হয়েছে বাসযাত্রীদের। সবাইকেই ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এখন সেই সমস্যা নেই। এখন খুব সহজেই শ্যামবাজার পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। বিধান সরণির বাসিন্দা কমলকুমার দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে টালা ব্রিজকে আমরা নতুন করে পেয়েছি। পুজোর মুখে এর থেকে আর ভালো কী হতে পারে!