যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
বিকেল ৪টে নাগাদ রুবি মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত অটো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শহরের এই চত্বরে ট্রাফিক চলাচল বেশ ভালোই সামাল দিয়েছে কলকাতা পুলিস। গড়িয়াহাটের ব্রিজের নীচে পুলিসের তরফে একটি কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত। এই কিয়স্কে ফাস্ট এইড, পুজো গাইড, বৃদ্ধদের জন্য হুইল চেয়ার, অ্যাম্বুলেন্স, মাইকিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকী বাচ্চাদের জন্য রয়েছে স্পেশাল ব্যাজ। সেখানে অভিভাবকের নাম ও ঠিকানা লিখে রাখা যাবে। প্রত্যয়ী পুলিস আধিকারিকরা বলছিলেন, দেখবেন গোটা পুজোয় কলকাতার ট্রাফিক সচল থাকবে।
একই চিত্র দেখা গেল সল্টলেক অঞ্চলে। এখানে আবার থিম বেছে বেছে মানুষ বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরছেন। সল্টলেক এফডি ব্লকে গ্রামের দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন মানুষ। পাশেই বসেছে মেলা। এলাকাটি যেন দক্ষিণের ম্যাডক্স স্কোয়ারের রেপ্লিকা। এরপরেই অনেকে দৌড়চ্ছেন পদ্মাপাড়ে। অর্থাত্ এ-ই ব্লক পার্ট ওয়ান। সেখানে মাঝিমাল্লার জীবনযাত্রা উঠে এসেছে। কৃষ্ণনগর থেকে এসেছেন স্বপ্না দাস। কলকাতায় তাঁর আত্মীয় থাকলেও এদিন তিনি সে পথে হাঁটবেন না। সারারাত ঠাকুর দেখে ভোরবেলা আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘুমোবেন। উত্তর শহরতলি থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা সল্টলেককে কার্যত হটস্পটে পরিণত করেছেন। এই অঞ্চলে যেখানে পুজো হচ্ছে না, সেই এলাকাগুলি অনেকটাই ফাঁকা। সেখানেই চলছে পরের গন্তব্য ঠিক করার মিটিং। এরপর কোথায় যাওয়া যায়, বন্ধুদের ফোন করে তা জেনে নেওয়া হচ্ছে। শ্রীভূমিতে খুব ভিড় থাকলে তাঁরা রওনা দিচ্ছেন দক্ষিণ কলকাতার দিকে। ভ্যাটিকান সিটি ঘোরার পরিকল্পনা বাড়ি ফেরার পথে।
উত্তর কলকাতায় মোটামুটি বেলা ১২টা থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাস্তায় ভিড় ছিল যথেষ্ট, ফলে মাঝেমধ্যেই যানজটের কবলে পড়তে হয়েছে শহরকে। বিশেষ করে উল্টোডাঙা থেকে হাতিবাগান কিংবা শোভাবাজার যেতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে আমজনতার। মানুষের অভিযোগ, উল্টোডাঙা থেকে হাতিবাগান, কিংবা শোভাবাজার রুটে অটোচালকদের দৌরাত্ম্য অনেকটা বেড়েছে। যেখানে উল্টোডাঙা থেকে আহিরিটোলা লঞ্চঘাটের ভাড়া ২০ টাকা, সেটাই কেউ ২৫ কিংবা ৩০ টাকা নিচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে, সেই আশঙ্কায় এতটুকু সময় অপচয় করতে নারাজ দর্শনার্থীরা। তাই চতুর্থীর সকাল থেকেই নতুন সুতো গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে পড়েছে বাঙালি।