যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
আহিরীটোলা এবার পুরনো দিনের বাংলা গানের হারিয়ে যাওয়া দুনিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে। হাতিবাগান বাংলার পটচিত্র তুলে ধরছে তাদের থিমে। কুমোরটুলি তুলে ধরছে নাম মাহাত্ম্য। তাদের থিমের নাম ‘শিরোনাম’। এই তিনটি পুজো ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে মানুষের আগ্রহ। এখন থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে দিয়েছে মণ্ডপ চত্বরে।
আহিরীটোলার পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, বাংলা গানের ইতিহাস আমাদের অস্তিত্বের দলিল। প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রামোফোন, রেডিও, টেপ রেকর্ডারকে দুর্গাপুজোর আবহে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশাল আকারের গ্রামোফোন, রেকর্ড, টেপ রেকর্ডার দিয়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। পুজোর উদ্যোক্তা দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, আমাদের থিমের নাম ‘পুরনো দিনের গান আজও ভরে মন প্রাণ।’ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন। সেখান থেকে একটু দূরে আহিরীটোলার পুজো মণ্ডপ।
কুমোরটুলি এবার করছে ‘শিরোনাম’। কুমোরটুলির নাম মাহাত্ম্য উঠে আসবে মণ্ডপে। প্রতিমা এবং মণ্ডপ শিল্পীদের স্বীকৃতি দিতে তাঁদের নাম ব্যবহার করছে কুমোরটুলি। সেই নামই এবার এদের থিম। পুজোর কর্মকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেছেন, ১৯৩১ সালে এই পুজো শুরু হয়েছিল। কুমোরপাড়ার মধ্যে এই পুজো হয় বলে মূর্তি নির্মাতারা এর সঙ্গে নিজেদের একাত্ম্য করে দেখেন। তাঁদের সম্মান জানাতেই শিল্পীদের নাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজোর থিম। বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে কুমোরটুলির সঙ্গে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে তৎকালীন সমাজের বহু নামকরা ব্যক্তিত্ব এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়েছিলেন।’ প্রসঙ্গত, এই কুমোরটুলিতেই একচালা ছেড়ে দুর্গা পরিবারের আলাদা মূর্তি তৈরি হয়েছিল। বৈপ্লবিক এই কাজটি হয়েছিল কিংবদন্তী মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পালের হাত ধরে। আজ আমরা যে দুর্গা-কার্তিক-গণেশ-লক্ষ্মী-সরস্বতীকে আলাদা আলাদাভাবে দেখি, সেই নির্মাণ শৈলীর পথিকৃৎ কুমোরটুলি। গঙ্গার ধার ঘেঁষে কলকাতার সব থেকে বড় কুমোরপাড়ার ঠিক বাইরে এই পুজো হয়।
হাতিবাগান এবার বাংলার পটচিত্রকে থিম বানিয়েছে। থিমের নাম চিত্রপট। সনাতন দিন্দা প্রতিমা তৈরি করেছেন। খান্না মোড় এবং হাতিবাগান জংশনের সংযোগকারী রাস্তার উপর হয় হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো। পুজোর সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, ‘বাংলার পট, সরাচিত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। স্ক্রোল থেকে সরা, লক্ষ্মীর পট থেকে পৌরাণিক পটভূমি সবই ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তেও পটচিত্র দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। ভবানীপুর ৭৫ পল্লির সেই মণ্ডপে ঠাকুর তৈরি করেছেন শিল্পী প্রশান্ত পাল।