মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় শাসক দলের হাতছাড়া হয়েছিল কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, গাডুলিয়া, বনগাঁ পুরসভা। তৃণমূলের কাউন্সিলাররা ‘ঘর ওয়াপসি’ করায় ভাটপাড়া বাদ দিয়ে সবকটি পুরসভা শাসক দল পুনরুদ্ধার করেছে। এবার টার্গেট ভাটপাড়া। গত সপ্তাহেই ১৮ জন কাউন্সিলারকে বিধানসভায় ডেকে অনাস্থাপত্রে সই করিয়ে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই চিঠিই জমা দেওয়া হবে কাল।
এর আগের অনাস্থায় যে দিন বোর্ড গঠন হয়েছিল, সেই দিন থেকে ৬ মাস পূর্ণ হল এদিন। পুর আইন অনুসারে ছয় মাসের আগে অনাস্থা আনা যায় না। তাই আগামীকাল অনাস্থা আনছে তৃণমূল। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি অনাস্থা আটকানোর চেষ্টা করছে। ভাটপাড়া সহ বারাকপুর লোকসভা এলাকার ৮টি পুরসভা নিয়ে কর্পোরেশন গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে মহকুমা শাসক প্রতি পুরসভায় চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভাটপাড়া পুরসভাও মহকুমা শাসকের চিঠি পেয়েছে। গত সপ্তাহে সকল কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে বোর্ড মিটিংয়ে ভাটপাড়া পুরসভায় কর্পোরেশনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কর্পোরেশনের প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর অনাস্থা আনা কি যায়? বিজেপি নেতারা এখন এই পুর আইন খুঁজছেন। তবে পুর আইন বিশেষজ্ঞরা এর উত্তর দিতে পারছেন না।
তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, শুক্রবার আমরা অনাস্থাপত্র জমা দেব। ভাটপাড়া এখনও পুরসভা। তাই পুর আইন অনুসারে অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হবে। ভাটপাড়া পুরসভার বিজেপির ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার বলেন, কর্পোরেশনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এরপর অনাস্থা আনা যায় কি না, তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়ার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাদ্রাল এলাকায় বিজেপি কর্মী সঞ্জীব চক্রবর্তীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়। একটি বোমা বাইরে ফাটানো হয়। আরেকটি বোমা জানালা দিয়ে ভিতরে ফেলে দেওয়া হয়। তবে সেই বোমাটি অবশ্য ফাটেনি। সঞ্জীবাবুর বৃদ্ধা মা সেই সময় বাড়িতে ছিলেন। তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে এই বোমাবাজি করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলীরা ওদের দল করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, কেউ বোমাবাজি করেনি। ওরা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।