মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তা কল্যাণ রুদ্র প্রমুখ। পুরসভার কর্তারা বলেছেন, গ্যাসের সংযোগ বাবদ খরচ, একটি সিলিন্ডার ও একটি ওভেনের জন্য খরচ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই বহন করছে। প্রথম ধাপে ২৫০ জনকে এই গ্যাস ব্যবহারের ব্যাপারে সহমত করানো গিয়েছে। অনেকে এখনও পুরনো পদ্ধতিতে কয়লা ও কাঠের জ্বালানি ব্যবহার করতে চান। তাঁদেরও বোঝানোর কাজ চালাবে পুরসভা। তাঁদেরও ধীরে ধীরে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করে ব্যবসা করানোর চেষ্টা করা হবে। তবে এখনই পুরসভা এই নিয়ে কঠোর অবস্থান নিতে চাইছে না। পুরসভার এক কর্তা বলেছেন, এটা রুটিরুজির প্রশ্ন বলে আমরা বোঝানোর উপর জোর দিয়েছি। তবে শহরের দূষণ কমাতে কয়লা ও কাঠের জ্বালানি বন্ধ করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কয়েকদিন আগেই হাওড়া শহরের দূষণ নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। দেখা গিয়েছে, এমনিতেই এই শহরের দূষণ অনেক বেশি। কিন্তু, তার ২৫ শতাংশ দূষণই হয় এই জ্বালানি ব্যবহারের কারণে। তাই এই জ্বালানি বন্ধ করার ব্যাপারে আমরা বেশি উদ্যোগী হয়েছি। আপাতত শহরের মূল রাস্তার দু’ধারে যে দোকানগুলি রয়েছে, সেগুলিকে বোঝানোর কাজ চলছে। এরপর শহরের ভিতরের যে সমস্ত দোকানে এই জ্বালানি ব্যবহার হয়, সেখানেও তা বন্ধ করার ব্যপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, হাওড়া শহরের দূষণ নিয়ে সকলেই চিন্তিত। আগামী দিনে মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারবে না। তাই আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে পন্থা নিয়েছে, তাকেই সকলের স্বাগত জানানো উচিত। আর তার জন্য ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত খরচ কিছু করতে হচ্ছে না। গ্যাসের সংযোগের খরচ, একটি সিলিন্ডার ও ওভেনের দাম তারাই দিয়ে দিচ্ছে।