সংবাদদাতা, বর্ধমান: গত ২৪ ঘণ্টায় বর্ধমানে ১০জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বর্ধমান শহরের ছোটনীলপুরের ভোলানন্দপল্লি এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক বৃদ্ধ। মৃতের নাম সুভাষ মজুমদার(৬২)। তিনি পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। দিনকয়েক আগে বাড়িতেই তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। তাঁকে বর্ধমান থানার বামবটতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি মারা যান। মৃতের শ্যালক সোমনাথ পাল বলেন, জামাইবাবু কাঠের ব্যবসা করতেন। ইদানীং ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিল। সেকারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে জামাইবাবু মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন।
বর্ধমান শহরের কালীবাজার এলাকায় এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম শেখর ভট্টাচার্য(৬৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ঘরে একাই থাকতেন।
গলসি থানার বড়মুড়িয়া গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম আজমিরা বিবি(৩২)। দিনকয়েক আগে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। 
মন্তেশ্বর থানার পুটশুড়ি গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক বৃদ্ধ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম সুভাষ মণ্ডল(৬০)। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। ইদানীং তাঁর শারীরিক সমস্যা বেড়ে যায়। রোগযন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
দেওয়ানদিঘি থানার কামনাড়ায় কীটনাশক খেয়ে এক মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম ঠান্ডারানি ঘোষ(৪৪)। দিনকয়েক আগে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
খণ্ডঘোষ থানার বারিশালী গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম সন্দীপ মাঝি(২১)। তিনি পেশায় টোটো চালক ছিলেন। দিনকয়েক আগে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। সাংসারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
রেললাইনের পাশ থেকে দু’টি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ধমান ও তালিতের মাঝামাঝি একটি জায়গায় দু’জনকে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে জিআরপি দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতদের বয়স ৪০–৫০এর কোঠায়। জিআরপি তাঁদের পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানায় ছবি পাঠিয়েছে। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হল তা জানা যায়নি।
সাপের কামড়ে মৃত্যু: মন্তেশ্বর থানার করন্দা গ্রামে বাপেরবাড়িতে সাপের কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম রুম্পা মালিক(২৮)। মন্তেশ্বর থানারই মাঝেরগ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তিনি বাপেরবাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর ডান পায়ে সাপে ছোবল মারে। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টাখানেক পরই তিনি মারা যান। 
গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু: জামালপুর থানার মীরেপাড়ায় গাছের ডাল ভেঙে জখম হয়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম আব্দুল গফফর মোল্লা(৫২)। সোমবার সকালে জমিতে যাওয়ার সময় পথে একটি গাছের ডাল ভেঙে তাঁর উপর পড়ে। তাতে তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।