আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াইয়ের হাট পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানীয় হস্তশিল্পীরা এই হাটে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের হাতে গড়া পসরা নিয়ে বিকিকিনি করেন। পাশেই ক্যানাল দিয়ে বয়ে চলেছে ম্যাসাঞ্জোর ড্যামের জল। শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসে খোয়াইয়ের হাটে হস্তশিল্প সামগ্রী কেনার পাশাপাশি ক্যানালের তীরে মনোরম পরিবেশে বসেও সময় কাটাতে পছন্দ করেন পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা সহ বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। যদিও দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে আগাছা, জঞ্জালে পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ক্যানালটি। তাই গত বছরের ডিসেম্বরে বল্লভপুর আমার কুটির ব্রিজ থেকে শ্যামবাটি ফলস্ পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যানাল সংস্কার শুরু করে রাজ্য সেচ দপ্তর।
সেচ দপ্তরের বোলপুরের এসডিও মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সংস্কারের পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যানালের ধারে তারজালির বেড়া বসানো হয়েছে। যেহেতু এখানে যথেষ্ট আনাগোনা আছে তাই ক্যানালের পাশে তিন ফুট চওড়া প্রেভার ব্লক বসানো হয়েছে। তার উপর দিয়ে সবাই স্বচ্ছন্দে হাঁটাচলা করতে পারবেন। পাশাপাশি, ক্যানালের গায়ে সেচ দপ্তরের অফিস লাগোয়া এক একর জমিতে একটি পার্ক তৈরির কাজ চলছে। সেখানে বয়স্ক ও বাচ্চাদের জন্য বসার সুবন্দোবস্ত থাকবে। লাগানো হচ্ছে প্রচুর গাছ। জুন মাসেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যানাল সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নে প্রায় ১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যদিও, বর্তমানে পর্যটকশূন্য শান্তিনিকেতন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খোয়াই ও কোপাই সাউথ মেন ক্যানালকে পর্যটকরা নতুন রূপে দেখবেন বলে তিনি আশাবাদী।