মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর কোচবিহারে নিজের বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথবাবু। এরপর তাঁকে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকেই সুস্থ হয়ে তিনি কোচবিহারে ফিরেছেন।
এদিন দুপুরে নিজের ঘরে বসে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বর্তমানে আমার ছেলে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিগুলি দেখছে। আমি তাকে লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি। এদিন দেওয়ানহাটে মিছিল আছে। সেখানে পঙ্কজই যাবে। বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও ছেলেকে নির্দেশ দিচ্ছি। সে-ই সব দেখছে। এদিন সকাল থেকে অনেকেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি দেখা করেছি। তবে বেশি কথা বলিনি। সব ফোনও ধরছি না।
কোচবিহারের রাজনীতিতে অন্যতম ব্যস্ততম মানুষ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুধু মাত্র নিজের বিধানসভা কেন্দ্রই নয়, মন্ত্রিত্ব সামলানোর কাজে তাঁকে গোটা উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াতে হয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়ার বিষয়টি। গত ১৫ নভেম্বর তিনি কলকাতা থেকে কোচবিহারে ফিরেছিলেন। সেই সময়ে কোচবিহারে রাসমেলা উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার জন্য তোড়জোড় চলছিল। রবীন্দ্রনাথবাবু কোচবিহারে ফিরেই প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীসভার স্থল পরির্দশন করে বাড়ি ফিরেছিলেন। এরপর রাতে বাড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মন্ত্রীর বাড়িতে এদিন সকাল সাতটা থেকেই দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেন। সকাল আটটা নাগাদ তিনি আগতদের সঙ্গে দেখা করার জন্য একতলায় দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে দুই ঘণ্টা ধরে সকলের সঙ্গে দেখা করে তিনি আবার দোতলায় নিজের ঘরে ফিরে যান। গত লোকসভা নির্বাচনে জেলায় দলের পরাজয়ের পর অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের মতো নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রেও বিজেপির দাপট বেড়ে যায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথবাবু নিজের এলাকায় মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীতে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করেছেন। এলাকায় এলাকায় দিদিকে বলো ও জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় সংগঠনকে তিনি আবার মজবুত করে তুলতে সক্ষম হন। এরই মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু খানিকটা সুস্থ হয়েই ছেলেকে সামনে রেখে নিজের বিধানসভা এলাকার সমস্ত কর্মসূচি ঘরে বসেই পরিচালনা করছেন তিনি।