কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
মৃত প্রৌঢ়ের ছোট মেয়ে বলেন, বাবা বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাকে ডেকে পাঠান। কিন্তু জামাইবাবু এবং দিদি আমাকে বাড়িতে থাকতে দেয়নি। পরে শুনতে পাই বাড়ির সম্পত্তি ওরা নিজেদের নামে করে নিয়ে বাবাকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। বিষয়টি আমি পুলিসকে লিখিত আকারে জানিয়েছি। অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি পাওয়া দরকার। পুলিস মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পাঠিয়েছে। সেখানেই খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
মৃতের বড় মেয়ে বলেন, এমন অভিযোগ ঠিক নয়। বাবা অসুস্থ হয়ে মারা যান। আমরা বিষয়টি পুলিসকে জানিয়েছি। অভিযুক্ত জামাই বলেন, রবিবার রাতে কাজ থেকে এসে দেখি শ্বশুরমশাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে শুশ্রূষা করি। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই তিনি মারা যান। আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ ঠিক নয়। শ্বশুরমশাই নিজেই তাঁর মেয়েকে বাড়ির সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। তাঁকে কোনওরকম বল প্রয়োগ করা হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের শিল্পী ঘোষ বলেন, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দিদি বোনের লড়াই শুনেছি। সেই রেষারেষিতে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে খুনের ঘটনা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পরেই পুলিস এনিয়ে নিশ্চিত হতে পারবে।
মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, সারদাকলোনিতে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হচ্ছে। যদিও আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই এই ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারব। মৃতের পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পুরাতন মালদহ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাকলোনির ওই ব্যক্তি দু’বছর আগে বাড়ি তৈরি করেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন না। তাঁর দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে মায়ের সঙ্গে আলাদা জায়গায় থাকে। স্ত্রীর সঙ্গে প্রৌঢ়ের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ওই প্রৌঢ় বড় মেয়ের কাছে থাকতেন। অভিযোগ, তিন দিন আগে বড় মেয়ে এবং জামাই ওই প্রৌঢ়ের কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ছোট মেয়ে রবিবার সকালে বাবার কাছে চলে আসেন। এনিয়ে দুই বোন এবং জামাইবাবুর মধ্যে তুমুল বচসা হয়। সেসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু গভীর রাতে বড় মেয়ের বাড়িতে ওই প্রৌঢ় অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতেই তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। পুলিস মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছোট মেয়ে দিদি ও জামাইবাবুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে পুলিসের কাছে এদিন অভিযোগ জানান।