বিএনএ, কোচবিহার: আগস্ট মাসে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কর্মসূচী শেষ হলেই আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে কোচবিহার জেলায় মণ্ডল কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে চলেছে বিজেপি। সেই কাজ শেষ হলে তারা জেলার সমস্ত বুথ কমিটিও গঠন ও পুনর্গঠনের কাজে হাত দেবে। দলের দাবি, যে সমস্ত এলাকায় বিগত দিনে বিজেপি বুথ কমিটি গঠন করতে পারেনি, সেই সব জায়গাতেও এবারের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে তারা ভালো সাড়া পেয়েছে। তাই এবার ওই সব জায়গাতেও তারা বুথ কমিটি গঠনের উপরে জোর দেবে। দেড় মাসের মধ্যে ওই সমস্ত কাজ শেষ করা হবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় বিজেপি জয়ী হয়েছে। তারপরে বিজেপির আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই বিজেপি জেলাজুড়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জেলার প্রায় সবর্ত্রই তারা সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছে। এই কর্মসূচী আগস্ট মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপরেই বিজেপি জেলায় তাদের ৩৮টি মণ্ডল কমিটিকে প্রয়োজন অনুসারে গঠন ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে দেবে। এই কাজ করতে পারলে গ্রামস্তরে বিজেপির সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে মনে করছে দল।
মণ্ডল কমিটিগুলি গঠনের পাশাপাশি জেলায় যে ২ হাজার ২৬২টি বুথ রয়েছে, সেই বুথ কমিটিগুলিকেও তারা একই প্রক্রিয়ায় গঠন ও পুনর্গঠনের কাজ করবে। দলের দাবি, বিগত দিনে জেলায় প্রায় ১৫০টি বুথে তারা কমিটি গঠন করতে পারেনি। সেই সব বুথগুলিতে এবারের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে তারা সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি। তাই এবার ওই জায়গাগুলিতেও বিজেপি বুথ কমিটি গঠন করবে।
লোকসভা নির্বাচনের পর জেলার বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি শাসক দলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত আবার শাসক দল তাদের দিকে টেনে নিয়েছে। বিজেপির দাবি, ওই সব গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের হাত থেকে চলে গেলেও ওই সব জায়গার মানুষ তাদের পক্ষে রয়েছে। বুথ কমিটি ও অঞ্চল কমিটি গঠন হওয়ার পর তারা সাংগঠনিক কর্মশালা ও রাজনৈতিক কর্মসূচী শুরু করবে। সেসব আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা এবারে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এই কর্মসূচী শেষ হলেই আমার মণ্ডল কমিটিগুলি প্রয়োজন অনুসারে গঠন ও পুনর্গঠন করবো। এরপরেই বুথ কমিটিগুলির ক্ষেত্রেও একই কাজ করা হবে। যে সব জায়গায় আমার এখনও বুথ কমিটি তৈরি করতে পারিনি, সেখানেও ওই সময়েই বুথ কমিটি গঠন করা হবে।