কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সোমবার রেলের তরফে এক প্রেস রিলিজ দিয়ে এই রেকর্ড আয়ের কথা জানানো হয়েছে। এই রেকর্ড আয়ে স্বভাবতই খুশি রেল কর্তারা। তবে দলগাঁও স্টেশন থেকে মুজনাই স্টেশনে এই ডলোমাইট স্থানান্তরের বিষয়ে রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কর্তারা কিছু বলতে চাননি।
রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অমরেন্দ্র সিং বলেন, একদিনে ডলোমাইট লোডিং করে যে রেকর্ড আয় হয়েছে তাতে আমরা খুশি। এই ঘটনাই প্রমাণ করে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আয় বাড়ছে। দলগাঁও স্টেশন থেকে মুজনাই স্টেশনে ডলোমাইট স্থানান্তরের বিষয়টি রেল বোর্ডের বিষয়। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, রেলের এই রেকর্ড আয়কে আমি অবশ্যই স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু দলগাঁও স্টেশনে এই ডলোমাইট লোডিংয়ের কারণে বীরপাড়ার বাতাসে বিষ ছড়াচ্ছে। বাতাসে ডলোমাইটের গুঁড়ো ছড়িয়ে পড়ায় বাসিন্দারা অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। সেই জন্য দলগাঁও স্টেশন থেকে এই ডলোমাইট লোডিংয়ের কাজ দু’কিমি দূরে মুজনাই স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি নিজেই দিল্লিতে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। ডলোমাইট লোডিংয়ের জন্য রেল মুজনাই স্টেশনে তাদের জমিতে কাজও করছে। রেলের আরও জমির দরকার সেখানে। কিন্তু রাজ্য মুজনাই স্টেশনের পাশে রেলকে জমি না দেওয়ায় এই কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মাদারিহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি মান্না জৈন বলেন, মনোজবাবু ভিত্তিহীন কথা বলছেন। আমাদের সরকারের জমি নীতি খুব পরিষ্কার। কারও জমির দরকার থাকলে তাকে সেই জমি কিনে নিতে হবে। রাজ্য সরকার কখনই জমি অধিগ্রহণ করবে না। কিন্তু মুজনাই স্টেশনে রেল জমি কিনছে না। মনোজবাবু ভিত্তিহীন কথা বলে রাজ্যকে দোষারোপ করছেন।
ভুটানের পাগলি থেকে রেলের জন্য এই ডলোমাইট আনা হয়। বীরপাড়া থেকে ভুটানের পাগলির দূরত্ব ১৮ কিমি। বীরপাড়া থেকে গড়ে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০টি ট্রাক এই ডলোমাইট আনতে যায় পাগলি এলাকায়। পাগলি থেকে আনা ওই ডলোমাইট জমা করা হয় বীরপাড়া বাজারের পাশে দলগাঁও স্টেশনে। এখান থেকেই রেলের ওয়াগানে করে রেল এই ডলোমাইট তাদের কাজের জন্য বিভিন্ন স্টেশনে পাঠায়।
ডলোমাইট বোঝাই ট্রাক চলাচল ও দলগাঁও স্টেশনে ডলোমাইট লোডিংয়ের জেরেই এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ। স্থানীয় স্বাস্থ্যদপ্তরও জানিয়েছে, বাতাসে ডলোমাইটের গুঁড়ো ভেসে বেড়ানোর জেরে স্থানীয় অনেকেই ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই কাশিতে ও চোখের অসুখেও ভূগছেন। কিন্তু অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের টানাপোড়নের জেরে আজও দলগাঁও স্টেশন থেকে মুজনাই স্টেশনে ডলোমাইট স্থানান্তরের কাজ হয়নি।