কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
নেতাজিপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপবাবু বলেন, এদিন একদল বাঁদর আমার ঘরে ঢুকে টিভি, রেফ্রিজারেটর ভেঙে দেয়। উনুনে চাপানো ভাত, সব্জি নষ্ট করে দেয়। চালের বস্তা থেকে চাল খেয়ে নেয়। গোটা ঘরে চাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট করে দেয়। এরা এতটাই বেয়াদপ যে আমরা কোনওভাবেই শায়েস্তা করতে পারছি না। জানালা দরজা খুলে রাখা যায় না। এদিন সকালে বাড়িতে ছিলাম না। পরে বাড়ি ফিরে দরজা খুলেই দেখি সব লণ্ডভণ্ড হয়ে আছে। দরজা বন্ধ থাকলেও বাঁদরের দল টিন ফাঁকা করে ঘরে ঢুকে এমন তছনছ করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। বনদপ্তর ও পঞ্চায়েত অফিসেও জানিয়েছি।
এলাকার একটি পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য ভিক্টর বসু বলেন, বানারহাটের কিছু এলাকায় বাঁদরের উৎপাত সম্প্রতি বেড়েছে। বাঁদরগুলি এখন ওসব জায়গায় পাকাপাকিভাবে থাকছে। বনদপ্তরের এদের ধরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা দরকার।
বানারহাটের রেঞ্জার দয়াল সরকার বলেন, বাঁদরের উৎপাতের অভিযোগ আমি পেয়েছি। আমরা বাঁদর ধরতে উদ্যোগ নিচ্ছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের পটকা দিয়েছি। তাঁরা ওসব ফাটালে বাঁদরের উৎপাত কিছুটা কমবে। বানারহাট থানার পুলিস জানিয়েছে, বাঁদর নিয়ে অভিযোগ এসেছে। বনদপ্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বানারহাটের নেতাজিপাড়া, আদর্শপল্লি, সুকান্তপল্লি, মহাবীরবস্তি, রেল কলোনি সহ আশেপাশের প্রায় ১৫টি পাড়ায় সম্প্রতি বাঁদরের উৎপাত বেড়েছে। বিশেষ করে চা বাগানের কাছে যে গ্রামগুলি আছে সেখানেই এই বাঁদরের উৎপাত রয়েছে। বাঁদরের দল এতটাই ধুরন্দর যে চালের টিন ফাঁকা করে ঘরে ঢুকে পড়ছে। আগে ওরা মানুষ দেখলে পালাত কিন্তু এখন উল্টে তেড়ে আসছে। মাঝেমধ্যেই বাঁদর গ্রামবাসীদের উপর হামলেও পড়ে আক্রান্ত করছে। বাসিন্দাদের দাবি, কিছু দিন আগে রাত হলেই চা বাগানে বাঁদরের দল চলে যেত। কিন্তু এখন তা না করে রাতে এলাকাতেই থাকছে। রাতভরই এরা এক বাড়ির চাল থেকে অন্য বাড়ির ছাদে লাফালাফি করে। এদের সারারাত দাপাদাপিতে সকলেই একপ্রকার বিরক্ত হয়ে পড়ছেন। বৃষ্টি হলেই বাড়ির বারান্দায় গিয়ে লাইন ধরে এরা বসে থাকছে।