বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি বলেন, আমি গোসাপ ধরতে ট্রেনে চেপে অসমের শ্রীরামপুর থেকে বাণেশ্বরে আসি। সেখানে কিছু লোক আমাকে ঘিরে ধরে। তারপর আচমকাই মারতে শুরু করে। আমাকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। মাথা ফেটে যাওয়ায় যন্ত্রণা হচ্ছে।
কোচবিহার জেলা পরিষদের বাণেশ্বরের সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের পরিমল বর্মন বলেন, ওই ব্যক্তি নিউ বাণেশ্বর স্টেশনে নেমে এলাকায় একটি খালের ধারে গোসাপ খুঁজছিল। সেই সময়ে কিছু লোক তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে গুজব রটেছে কিছু ব্যক্তি এসে ছেলেদের মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর থেকেই এলাকার ভবঘুরেদের উপরে কিছু লোক চড়াও হয়। পুলিস ও স্থানীয়রাই তাঁদের রক্ষা করেছেন। এদিনও ওই গুজব থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গুজবের উপরে নির্ভর করে কোনও ব্যক্তিকে এভাবে মারধর করা ঠিক নয়। এই বিষয়ে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই ছেলেধরা সন্দেহে বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরেদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে। বাণেশ্বর, আমবাড়ি, মরিচবাড়ি, রাজারহাট প্রভৃতি এলাকায় এই ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে সংলগ্ন জেলাগুলিতে এই ধরনের গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে কাজের সূত্রে দিল্লতে থাকে। বাকিরা বাড়িতেই থাকে। এদিন স্ত্রী কৃষি কাজে বাইরে চলে গেলে তিনি প্যাসেঞ্জার চেপে ট্রেনে বাণেশ্বরে আসেন। সেখানে ঘোরাঘুরি করার সময়েই তাঁকে কিছু লোক ঘিরে ধরে। এরপরেই তাঁরা চড়াও হয়। তাঁর কোনও কথাই শোনা হয়নি। মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর পুলিস গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।