সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শুক্রবার মধ্যরাতে কালচিনি থানার পুলিস উত্তর মেন্দাবাড়িতে ৩১সি জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং করার সময়ে একটি ট্রাক থেকে নামী কোম্পানির ২১ হাজার ৬০০টি মদের বোতল উদ্ধার করে। মদ পরিবহণের জন্য গাড়ির চালক কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে চালক ও খালাসিকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মদের বাজার মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
জেলায় বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানতে পেরেছে, ট্রাকটি অসম থেকে বিহারের সমস্তিপুর হয়ে উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছিল। অসম থেকে আনা মদ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ট্রাক চালকের নাম চেতন কুমার। ওর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। ধৃত খালাসির নাম সুরেশ সাওদা। তার বাড়ি বিহারের সমস্তিপুর জেলায়। রাত ২টো ১০ মিনিটে পুলিস ট্রাকটিকে উত্তর মেন্দাবাড়িতে আটক করে।
প্রসঙ্গত, অসম-বাংলা সীমান্তে কুমারগ্রামের পাকড়িগুড়িতে জেলা পুলিসের নাকা চেকিং পয়েন্ট রয়েছে। অসম থেকে যেকোনও গাড়ি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকলে ৩১সি জাতীয় সড়কের উপর সংকোশ সেতুর পাশে কুমারগ্রামের পাকড়িগুড়ি নাকা চেকিং পয়েন্টে তল্লাশি করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, পাকড়িগুড়ির নাকা চেকিং পয়েন্টে পুলিস কর্মীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই ট্রাকটি ঢুকল।
আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি অবশ্য বলেন, আটক ট্রাকটির নম্বর ছিল উত্তর প্রদেশের। দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার আগে ট্রাকের নম্বর বদল করে এই রাজ্যের ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগিয়েছিল। যাতে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিসের কোনও সন্দেহ না হয়। সেই জন্যই হয়তো পাকড়িগুড়ির নাকা চেকিং পয়েন্টের পুলিস কর্মীরা এই রাজ্যের গাড়ি ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। আমরা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।