বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, শীতলকুচিতে বিজেপি যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে মানুষ এখন তা প্রতিরোধ করেছে। শীতলকুচির তৃণমূল নেতা সাহেরআলি মিঁয়া বলেন, গত লোকসভা ভোটের পর থেকে গোটা শীতলকুচি এলাকায় বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমাদের কর্মীরা হাটেবাজারে যেতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার গোলেনাওহাটি হাইমাদ্রাসায় কর্মিসভার প্রস্তুতি চলাকালীন ওরা হামলা করে। এদিন আমাদের দলের কেউ বিজেপির উপর হামলা করেনি। ওরা আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করতে গেলে প্রতিরোধ করা হয়। বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। ওরা প্রচারের আলোয় আসতে এসব করছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সভায় হামলার অভিযোগ একেবারেই সাজানো ঘটনা। আমাদের কয়েকজন কর্মী সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন। পুলিস অন্যায়ভাবে আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। এদিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বড়মরিচা বাজারে আমাদের পার্টি অফিস ভেঙে দেয়। মণ্ডল কার্যকর্তা অপূর্ব বিশ্বাসের বাড়ি লক্ষ্য করে ওরা বোমা ছুঁড়েছে। ছোট শালবাড়ি বাজারে বেছে বেছে আমাদের কর্মীদের দোকান ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। সেখানকার পাটি অফিসেও তৃণমূলীরা ভাঙচুর করে। আকরার হাটবাজারে একাধিক দোকান ওরা ভেঙে দিয়ে ব্যবসায়ীদের মারধর করে। লালবাজারে তাণ্ডব চালায়। এদিন ভোর থেকে প্রকাশ্যে অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা দাপাদাপি করলেও পুলিস কাউকেই ধরেনি। আমরা তৃণমূলী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
শীতলকুচি থানার ওসি রাহুল সরকার বলেন, এদিন কয়েকটি জায়গা থেকে ঝামেলার খবর এসেছিল। সব জায়গাতেই পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলের বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে ঝামেলার পর সন্ধ্যা থেকেই পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হতে থাকে। শীতলকুচি বাজারের একাংশ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বাজার চত্বরে রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়েছে। তাতে তৃণমূলের লোকজনকে দেখা যায়। বড়মরিচা বাজারে থাকা বিজেপির পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, বাজারে গুলি, বোমা মারা হয়েছে। বড়মরিচা বাজারের কাছেই বিজেপির মণ্ডল কার্যকর্তা অপূর্ববাবুর বাড়ির পাশে এদিন সুতলি বোমা পাওয়া যায়। বিশাল পুলিস বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় দিনভর টহল দেয়। ব্যবসায়ীদেরকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মোটর বাইক বাহিনি বাজারে ঢুকে কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায়। আকরার হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট এদিন বন্ধ রাখেন। দুপুরে ছোট শালবাড়ির পঞ্চারহাট বাজারে ভাঙচুর হয়। বিজেপির দাবি, তাদের ১০ জন কর্মী জখম হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জনের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।