একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই ১৭টি রাস্তার টেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে। শুধু একটি পিচ রাস্তার কাজ হবে। বাকিগুলি ঢালাই হবে। যার কোনওটির জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। আবার কোনওটির জন্য বরাদ্দ ১৮ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাগুলির মধ্যে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হল কান্দি শহর লাগোয়া বাঘবাটি রোড। এই রাস্তাটিকে অনেকে শহরের বাইপাস রাস্তা হিসেবেও ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭০ লক্ষ টাকা। কান্দির জেমো এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা সুকুমার সেন বলেন, বিকেল হলেই আমাদের বয়সের অনেকে ওই রাস্তায় হাঁটতে যেতাম। কিন্তু রাস্তার এতটাই বেহাল দশা হয়েছে যে এর উপর দিয়ে আর হাঁটাও যায় না। একটি রাস্তার সংস্কার হচ্ছে জেনে দারুণ লাগছে।
তেমনই হিজল পঞ্চায়েতের পুলিস ফাঁড়ি এলাকায় একটি নতুন রাস্তা করা হচ্ছে প্রায় এক কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে। এই রাস্তা তৈরি হলে পুলিসের গাড়ি দ্রুত কয়েকটি গ্রামে পৌঁছতে পারবে। এলাকার কুমারসন্দ পঞ্চায়েতের জামনা গ্রামে একটি রাস্তার জন্য বাসিন্দারা বহুবছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এবার ওই রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, এই এলাকায় একসঙ্গে এতগুলি রাস্তার কাজ করার ঘটনা আগে কোনওদিন হয়েছে বলে জানা নেই। সবকটি কাজের টেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে। দ্রুত ওয়ার্কঅর্ডারের মাধ্যমে কাজগুলি শুরু হবে। এর জন্য এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, শুধু কান্দি বলে নয়। গোটা জেলায় আমাদের উন্নয়নযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মানুষের চাহিদা মেটাতে আমরা বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যই এগিয়ে চলছে জেলা পরিষদ। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, রাস্তাগুলির কাজ হওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল। কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ রাস্তার আর কোনও সমস্যা থাকবে না।