আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
তবে, এই অক্সিজেন পারসিভিয়ারেন্স তৈরি করেনি। সেটা করেছে তার পেটের মধ্যে থাকা গাড়ির ব্যাটারির সাইজের চৌকো সোনালি রংয়ের একটি যন্ত্র। যার পোশাকি নাম ‘মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট’। সংক্ষেপে ‘মক্সি’। বিজ্ঞানীরা অবশ্য একে যন্ত্র-উদ্ভিদ (মেকানিক্যাল ট্রি) নামেই ডাকছেন। নাসা জানিয়েছে, প্রথম প্রচেষ্টায় যন্ত্রটি ৫ গ্রামের মতো অক্সিজেন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ অক্সিজেন দিয়ে একজন মহাকাশচারী স্বাভাবিক কাজকর্ম করে ১০ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ গ্রাম অক্সিজেন তৈরির ক্ষমতা রয়েছে ‘মক্সি’র।
মঙ্গলের বাতাসের প্রায় সবটাই কার্বন ডাই অক্সাইড (৯৬ শতাংশ)। সেখানে অক্সিজেনের পরিমাণ মাত্র ০.১৩ শতাংশ। উচ্চ তাপে তড়িৎ বিশ্লেষণ করে ‘মক্সি’ কার্বন অণু থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করতে পারে। অক্সিজেন তৈরি হওয়ার পর বর্জ্য হিসেবে থেকে যায় কার্বন মনোক্সাইড। যাকে ফের মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ফিরিয়ে দেয় এই যন্ত্র। এই পদ্ধতি মঙ্গলের মাটির তলা থেকে বরফ সংগ্রহ করে সেখান থেকে অক্সিজেন তৈরির তুলনায় অনেক বেশি সহজ বলেই জানিয়েছেন ‘মক্সি’র জন্মদাতা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইঞ্জিনিয়ার মাইকেল হেচ্ট।
মাইকেলের মতে, অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গলে নভশ্চরদের নিয়ে যেতে হলে অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়বে। এমনকী, মহাকাশযানের জ্বালানির জন্যও অক্সিজেন জরুরি। এই বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়সাপেক্ষ। তাই অক্সিজেন তৈরির কাজ যদি মঙ্গলের মাটিতেই সেরে ফেলা যায়, তাহলে অভিযান সফল করতে অনেক সুবিধা হবে বিজ্ঞানীদের।