মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তাতে ভারতের কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু তাদের এদিনের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ‘কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে আমরা আরও জোর দেব। কারণ, ভারতের মতো বেশকিছু বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এর মধ্যে রয়েছে। আর ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বহু পুরনো। এই যোগাযোগ এবং এই সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে আমাদের বাজার আরও সম্প্রসারিত করতে হবে ব্যবসা ধরার জন্য।’ নাম না নিলেও, এখানে সম্প্রদায় বলতে তিনি ‘ভারতীয়’দেরই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, ১ কোটি ৫০ লক্ষ ভারতীয় ব্রিটেনে বসবাস করেন এবং এই নির্বাচনের প্রতি তাঁরা খুব মন দিয়ে নজর রেখেছেন। ভারতের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করে এই নির্বাচনের মুখে বরিস এই সম্প্রদায়কে কাছে টানার চেষ্টা করছেন বলেই অনুমান।
তবে শুধু ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নই নয়, ৫৯ পৃষ্ঠার নির্বাচনী ইস্তাহারে বরিস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এক বছরে ৭৫ কোটি পাউন্ড ব্যয়ে ৫০ হাজার নতুন নার্সের প্রশিক্ষণ এবং ৫ কোটি চিকিৎসক নিয়োগ করার।
ভোটের এই আবহে রবিবার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ‘মাই ভোট ম্যাটারস’ প্রচার শুরু করেছে ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস অ্যান্ড অ্যালমনাই ইউনিয়ন (নিসাউ)। ভারতীয় পড়ুয়া এবং তরুণ পেশাদারদের সর্বোচ্চ সংস্থার লক্ষ্য ব্রিটিশ নির্বাচনে ভারতীয়দের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করা। ১০ দফা এজেন্ডায় এই সংস্থা বুঝিয়ে দিতে চাইছে কোন ইস্যুতে ভোট দিলে তা ভারতীয় পড়ুয়া এবং তরুণ পেশাদারদের স্বার্থের সহায়ক হবে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, দু’বছরের পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা ফিরিয়ে আনা, জিসিএসই’তে (দশম শ্রেণীর পাঠক্রম) ব্রিটিশ কলোনিয়ান ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা এবং জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাওয়া। বিগত ৫ বছর ধরে এই প্রচার করছে তারা।