মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এখানেই শেষ নয়। ইস্তাহারে ‘এফেক্টিভ ডিপ্লোম্যাসি’ শীর্ষক অংশে অতীতের অন্যান্য অন্যায় নিয়ে একজন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি গড়া, শিখবিরোধী হিংসার সময় ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এ ব্রিটেনের ভূমিকা নিয়েও প্রকাশ্যে পর্যালোচনার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৪ সালে ব্রিটেন সরকার কিছু নথি প্রকাশ্যে আনে। সেখানেই অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে প্রবেশের আগে ভারতীয় সেনাকে ব্রিটিশ সেনার পরামর্শ দেওয়ার কথা সামনে আসে। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে কয়েকটি ব্রিটিশ শিখ গোষ্ঠী।
এই একই বিভাগে কাশ্মীর সমস্যার কথা উল্লেখ করে উপমহাদেশে এই ধরনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্বগুলির সমাধান এবং উপদ্রুত অঞ্চলে শান্তি ফেরানোর কথাও বলা হয়েছে। ২০১৭ সালের ইস্তাহারে এই প্রসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ মানবতার সঙ্কট দেখা দিয়েছে কাশ্মীর, ইয়েমেন এবং মায়ানমারে। এছাড়া ইরানের সঙ্গে সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলছে। যা নিয়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে পার্টি সম্মেলনে কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি জরুরি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছিল লেবার পার্টি। যা একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেই কারণেই নির্বাচনী ইস্তাহারে ভারতীয়দের প্রতি ন্যায়বিচার দেওয়ার ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেরেমি করবিনরা। সেই কারণেই কাশ্মীরে মানবতার সঙ্কটের প্রসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ইরান, ইয়েমেন এবং মায়ানমারের নাম।
নয়া আন্তর্জাতিকতাবাদের পক্ষেও নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে লেবার পার্টির ইস্তাহারে। পার্টি জানিয়েছে, ব্রিটেনের সংসদে ক্ষমতায় এলে প্রথম বছরেই দেশের ঔপনিবেশিক অতীতের প্রভাবের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। যা থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনে নৃশংসতা এবং নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি বুঝতে চাইছেন তাঁরা।
ইস্তাহারে দলের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তগুলির প্রশংসা করেছেন জেরেমি করবিন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্রিটেনের সদস্যপদ রাখা নিয়ে সরকারিভাবে দ্বিতীয় গণভোটের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। করবিন আরও বলেন, ‘আগামী তিন সপ্তাহ ধরে ব্রিটেনের সবথেকে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা আপনাদের জানাবেন যে এই ইস্তাহারে বলা সবকিছু অবাস্তব। কারণ, ওরা সত্যিকারের বদল চায় না। কেনই বা চাইবে? বর্তমান ব্যবস্থাই ওদের জন্য সবথেকে ভালো।’ বিরোধী দলের ইস্তাহারের তীব্র সমালোচনা করেছে কনজারভেটিভ পার্টি। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘করবিনের নেতৃত্বাধীন সরকার মানে আরও চড়া কর, আরও দু’টি গণভোটের বিশৃঙ্খলা এবং ঋণের জালে জড়িয়ে যাওয়া।’