আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
আদতে নয়ডার বাসিন্দা ওই দম্পতি হোলির সময় বিহারে এসেছিলেন। ৯ এপ্রিল তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাগলপুরের গ্লোকাল হাসপাতালে। যদিও করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। তবে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সেখানে তাঁর মা’ও ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দামি রেমডিসিভিরের প্রায় অর্ধেক ফেলে দেয় সে। তাঁর স্বামী জল চাইলেও, তা দেওয়া হয়নি। হাসপাতালের চাদর নোংরা ছিল। ওই মহিলা তা বদলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। ঠিক তখনই এক হাসপাতাল কর্মী জ্যোতি কুমার পিছন থেকে তাঁর ওড়না টেনে খুলে দেয়। তাঁর কোমরেও হাত দেওয়া হয়। স্বামী ও মা সেখানে ভর্তি থাকায় ভয়ে প্রতিবাদ করেননি তিনি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই জ্যোতিকে সাসপেন্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ মায়াগঞ্জের সরসারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও। সেখানে তাঁর স্বামী ভর্তি থাকলেও দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন। এক চিকিৎসকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কান দেননি। এর পরে সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁর স্বামীকে নিয়ে আসা হয় পাটনার একটি হাসপাতালে। সেখানেও অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে। রোগী সামান্য সুস্থ হতেই খুলে নেওয়া হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। বাজার থেকে চড়া দামে সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। মহিলার করুণ আর্তির ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিহারজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।