কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির অনবদ্য বৈশিষ্ট্য। কলকাতা হোক বা জেলা, মমতা যেখানেই যান পথ চলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন, তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। এই ছবি দেখা গিয়েছে বার বার, সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে মমতা তাঁদেরই ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন। জেলা সফরে মমতাকে সবসময় দেখা যায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। তাছাড়া রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নে যেমন অভিযোগ জানানোর জন্য একটি সেল রয়েছে, তেমনি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামে হেল্পলাইনও চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরভর জনসংযোগ এবং মানুষের পাশে থাকার কথা জনপ্রতিনিধিদের বার বার মনে করিয়ে দেন মমতা। এমনকী, ভোট মেটার পর একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সারাবছর মানুষের পাশে থাকলে ভোটের সময়ও মানুষ মনে রাখবেন।
এই সূত্রে মমতারই নির্দেশে চালু হয় জনতার দরবার। প্রতি রবিবার তাঁর বাড়ির কাছে কালীঘাট মিলন সংঘে এই দরবার বসছে, চলছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। কয়েকশো মানুষ হাজির হচ্ছেন সেখানে। কোনও সরকারি প্রকল্পের ভাতা সংক্রান্ত বিষয় কিংবা জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসছেন মানুষ। তাঁদের প্রয়োজনমতো সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কোনও বিষয় থাকলে জমা নেওয়া হচ্ছে সেই সংক্রান্ত নথি। সমস্যা ও অভিযোগের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে জানানোও হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি প্রতি রবিবার এই দরবারে হাজির থাকছেন। দ্রুত সমাধানের উদ্দেশ্যে অভিযোগকারীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধায়ক কিংবা পুর চেয়ারম্যানের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেমন রবিবার মিউটেশনের একটি সমস্যা নিয়ে এই দরবারে আসেন উত্তর দমদমের একজন। তৎক্ষণাৎ পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের কাছে ফোন যায় দরবার থেকেই এবং ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের এই যোগাযোগ সুরাহার রাস্তাই প্রশস্ত করেছে। হাসপাতাল বিষয়ক সমস্যাগুলি পর্যালোচনা করছেন শান্তনু সেনরা। বাড়ির সামনে জবরদস্তি দোকান বসানোরও একাধিক অভিযোগ পেয়েছে দরবার। সেগুলিও খতিয়ে দেখে দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। - ফাইল চিত্র