শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
আমাদের দেশে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজ চাষ হয়। তবে চাহিদার তুলনায় এ রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন অনেক কম। ফলে অন্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। হুগলি, নদীয়া, মালদহ, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। শীতকালীন এই পেঁয়াজ চৈত্র-বৈশাখ মাসে তোলার উপযুক্ত হয়। কিন্তু সংরক্ষণের তেমন ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা কাঙ্খিত দাম পান না। স্থানীয় উপায়ে বড়জোর ৪-৫ মাস তাঁরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে ভাদ্র-আশ্বিন মাস থেকে আবার পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। আশ্বিন মাস থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরশুম। তখন পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। যেকারণে দামও চড়ে। মহারাষ্ট্রে বছরে তিনবার পেঁয়াজ চাষ হয়। পেঁয়াজের ব্যাপারে আমরা মূলত ওই রাজ্যের উপরেই নির্ভরশীল। কৃষিবিদরা বলছেন, ভাদ্র-আশ্বিন থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে হলে রবি মরশুমে উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণে জোর দিতে হবে। যাতে আরও কয়েকমাস পেঁয়াজ রাখা যায়। সঙ্গে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের প্রসার ঘটাতে হবে। বর্তমানে রাজ্য সরকার বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের ভর্তুকি দিচ্ছে। পাশাপাশি ছোট ছোট পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ভর্তুকিতে। বর্ষাকীলন পেঁয়াজ চাষের জন্য দরকার জলনিকাশি ব্যবস্থা যুক্ত উঁচু জমি। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, নদীয়া জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে।
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আমাদের রাজ্যে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। বছরে উৎপাদন হয় ৩ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন। হেক্টরে উৎপাদন হার ১৪ মেট্রিক টন। কিন্তু এটা জাতীয় উৎপাদনশীলতা থেকে কিছুটা কম। বছরে এ রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদা ৩ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি। ফলে প্রতি বছর নাসিক থেকে ৫০-৭০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। ১৯৯৮-৯৯ সালে রাজ্যে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে ওনিয়ন অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়িত করা হয়। এই প্রকল্পে রবি মরশুমে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায়, গাঙ্গেয় সমভূমিতে খরিফে বেশিরভাগ জমিতে ধান চাষ হয়। বৃষ্টিপাতের আধিক্যও রয়েছে। ফলে এখানে খরিফে সেভাবে পেঁয়াজ চাষ সম্ভব নয়।