শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
২৫ পয়সা অনেক আগেই বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৭ সালেরএপ্রিল পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল ৫০ পয়সা। এরপর আর ৫০ পয়সা উৎপাদিত হয়নি কোনও টাঁকশালে। ওই আর্থিক বছরে তিন কোটি কয়েনের বরাত দেওয়া হয়। সেই মতো জোগানও দেওয়া হয় আরবিআইতে। বাজারে এখন ৫০ পয়সার লেনদেন হয় না বললেই চলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। কিন্তু এক, দুই, পাঁচ এবং ১০ টাকার কয়েনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার কারণ অবশ্য জানায়নি আরবিআই।
দেশে খুচরো কয়েনের জোগান দেওয়া হয় কারেন্সি চেস্টগুলি থেকে। সেই চেস্ট থাকে এসবিআই সহ অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, বিদেশি ব্যাঙ্ক, রিজিওনাল এবং সাব ট্রেজারি অফিসগুলিতে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজেও নগদ টাকার পাশাপাশি খুচরো কয়েনের জোগান দেয় বাজারে। সব মিলিয়ে দেশে কারেন্সি চেস্টের সংখ্যা ৩ হাজার ৮১২। স্মল কয়েন ডিপোজিট, যেগুলিও ব্যাঙ্কের আওতায় থাকে, তার সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৯। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, ওই চেস্টগুলি মারফত গোটা দেশে যে সংখ্যক কয়েন লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তার সংখ্যা ১২ হাজার ৩২ কোটি। কয়েনগুলির মোট আর্থিক মূল্য ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা অর্থনীতিতে খুচরো কয়েনের এত রমরমা কমাতেই তার বরাত ও উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাই টাকার খরচ বা লেনদেন বাড়বে বলেই এই সিদ্ধান্ত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দেওয়াও এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। মোবাইল ফোন মারফত পেমেন্টে আগ্রহ বৃদ্ধিতে খুচরোর বহর কমানো হচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
কিন্তু এতে কি খুচরোর সঙ্কট বাড়বে না? সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোনও মহলই। নোট বাতিলের আগে বাজারে খুচরো সঙ্কট কীভাবে সমস্যা তৈরি করেছিল, তা কমবেশি সবাই জানেন। খুচরোর অভাবে বাজারে, দোকানে, রাস্তাঘাটে, ট্রামে-বাসে অশান্তি ছিল নিত্য ঘটনা। শুধু খুচরো কয়েন নিয়ে বচসার থেকে রক্তপাত ও হিংসার ঘটনাও ঘটেছে খোদ কলকাতাতেই। জেলা থেকেও এসেছে এমন একাধিক অভিযোগ। নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্ক যেভাবে কয়েন বাজারে ছেড়েছিল, তাতে সেই সঙ্কটে লাগাম দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি আবার সেই সঙ্কটের জায়গাতেই ফিরছে, এমন আভাস পাচ্ছেন অনেকেই।