বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে নানা দর্শনীয় স্থান থাকায় বহু পর্যটক জেলায় আসেন। বিশেষ করে পুজোর ছুটির মরশুমে ভিড় আরও বেড়ে যায়। সেসময় ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই ভালো হোটেল বা কটেজ পান না। তাঁদের কথা চিন্তা করেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় গাড়ি ভাড়া করতে গিয়েও পর্যটকদের কসরত করতে হয়। চালকরা যে যার খুশিমতো গাড়ি ভাড়া নেয় বলে অভিযোগ।
জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা কোনও ট্যুর অপরেটরের সঙ্গে চুক্তি করবে। তাদের গাড়ি চড়ে বাইরে থেকে আসা লোকজন জেলায় দর্শনীয় স্থানগুলি দেখতে পারবেন। ভাড়া নির্দিষ্ট থাকবে। জেলার কোথায় কোথায় বেড়ানোর জায়গা রয়েছে তা নিয়ে ট্যুর অপরেটরাই পর্যটকদের গাইড করবেন।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বহরমপুর শহরেই জেলা পরিষদের এই ভবনটি থাকায় যোগাযোগের দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। কলকাতা থেকে কেউ বাসে বা ট্রেনে এলে খুব সহজেই এখানে চলে আসতে পারবেন। ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের গাড়ি আনারও দরকার হবে না।
জেলা পরিষদ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই কটেজগুলির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঝোপ জঙ্গলে ভর্তি থাকা পুরো এলাকার ভোল বদলে যাবে। ওই এলাকায় থাকা পুকুর পাড় বাঁধানো হবে। পর্যটকরা অবসর সময় সেখানে বসে সময় কাটাতে পারবেন। তাছাড়া ওই ভবনের সামনে একটি পার্ক তৈরি হবে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সেখানে ঘুরতে পারবে। একটি মিউজিয়ামও তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ভিনজেলার পর্যটকদের বিভিন্ন জিনিস চাক্ষুষ করার সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহ এবং ডাইনিং হলও তৈরি হবে।
জেলার বাসিন্দারা বলেন, বিভিন্ন কারণে বাইরের পর্যটকরা সব সময় সরকারি আবাসন বা কটেজে থাকতে পছন্দ করেন। জেলায় যে কয়েকটি গেস্ট হাউস রয়েছে সেগুলিতে ছুটির সময় রুম পাওয়াই দায়। ছুটি পড়ার অনেক আগেই বুকিং হয়ে যায়। তাই জেলা পরিষদের এই ভবন হলে পর্যটকদের সুবিধা হবে।
বহরমপুর শহর থেকে হাজারদুয়ারি বেশি দূরে নয়। গাড়িতে চড়ে তাঁরা যেমন খুব সহজেই সেখানে যেতে পারবেন তেমনই বহরমপুর শহরের দর্শনীয় স্থানগুলিও ঘুরতে পারবেন। জেলা পরিষদের সঙ্গে ট্যুর অপারেটরদের চুক্তি থাকায় পর্যটকদের কোনও অসুবিধা হবে না। তবে ওই কটেজগুলি কখন কীভাবে বুক করতে হবে তা জেলাপরিষদ পরে জানাবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বলেন, পুজোর আগেই কটেজগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করি। কীভাবে কী কাজ হবে তার রূপরেখা ঠিক হয়ে গিয়েছে।