কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার থেকে আসানসোল ডিভিশনে কাজ শুরু করে দিয়েছে ‘প্রগতি’। সূচনা করেছেন আসানসোলের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং। ধাপে ধাপে পূর্ব রেলের প্রতিটি ডিভিশনে টিকিট পরীক্ষা শুরু করবে এই ‘মাল্টিপারপাস টিকিট চেকিং স্পেশাল’। ‘মাল্টিপারপাস’ বলা হচ্ছে কারণ, টিকিট পরীক্ষকদের পাশাপাশি কোনও দুর্ঘটনাস্থলে রেলকর্তা, প্রযুক্তিবিদদের দ্রুত পৌঁছে দেওয়া, এমনকী লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজেও ট্রেনটি ব্যবহার করা হবে। তবে মূল লক্ষ্য হল অবৈধ যাত্রীদের ভ্রমণ মাঝপথে রুখে দেওয়া এবং শাস্তি প্রদান। মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে টিকিট পরীক্ষার বন্দোবস্ত কেন? রেলকর্তারা বলছেন, বিনা টিকিটের যাত্রীদের বেশিরভাগই বেশ ধুরন্ধর। কোনওরকমে প্ল্যাটফর্মে নেমে চোরগোপ্তা পথ ধরে চম্পট দেওয়াটাই তাদের টার্গেট। তাদের এই কৌশল বানচাল করে দেবে ‘প্রগতি’। ধরা যাক, আসানসোল স্টেশন থেকে বন্দে ভারত ছাড়ল। ঠিক হল যে পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগেই টিকিট পরীক্ষা হবে। সেই মতো কর্ড অথবা মেইন লাইনে ছুটিয়ে দেওয়া হবে বিশেষ ট্রেনটি। বন্দে ভারতের ট্র্যাকে কোনও একটি সিগন্যাল ‘রেড’ করে ট্রেন দাঁড় করানো হবে। দ্রুত ‘প্রগতি’ পৌঁছে যাবে সেখানে। আবৈধ যাত্রীদের পালানোর সব পথই তখন বন্ধ!
১২ থেকে ২০ জুন আসানসোল ডিভিশনে বিশেষ টিকিট চেকিং ড্রাইভ চালায় রেল। প্রায় ১৩ হাজার অবৈধ যাত্রী ধরা পড়ে। আধিকারিকদের মতে, ইদানীং টিকিট না কেটে ট্রেনে চাপার প্রবণতা বাড়তে থাকায় রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে রেলের। এই সমস্যা নির্মূল করতে ত্রাতা হয়ে উঠবে ‘প্রগতি’। ট্রেনের কোচগুলির নবরূপ দিয়েছে রেলের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপ। মাঝের কোচে মাঝারি ও ছোট সরঞ্জাম বহন করা যাবে। বাকি দু’টি কোচে রেলকর্তা, টিকিট পরীক্ষক ও মেকানিকদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘প্রগতি স্পেশাল অন্যান্য ডিভিশনেও শীঘ্রই চালু করা হবে।’ ডিআরএম চেতনানন্দ সিং বলেন, ‘সবাইকে নিয়ম মেনে ট্রেনে চাপা শেখাতে বড় ভূমিকা নেবে প্রগতি। সার্বিক পরিষেবার উন্নয়নেও অবদান রাখবে।’ গত মে মাসে পূর্ব রেল টিকিট বিক্রি করে (প্যাসেঞ্জার্স রেভিনিউ) ৩০৮.১২ কোটি টাকা তুলেছে। ‘প্রগতি’র দৌলতে এই অঙ্ক কতটা বাড়ে, সেটাই এখন দেখার।