কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
গত শনিবার রাতে অনুব্রতর জামিনের আদালতের রায়ের অর্ডার কপি হাতে পান আইনজীবী শাম্ব নন্দী। বেল বন্ডের ভেরিফিকেশন রিপোর্ট না পাওয়ায় মেলেনি মুক্তি। সোমবার তিহারে পৌঁছয় যাবতীয় নথি। তা খতিয়ে দেখেই বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে মুক্তি দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে একই ইস্যুতে সিবিআইয়ের মামলায় গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু ইডির মামলা ঝুলে থাকায় তিহার থেকে বেরতে পারেননি তিনি।
এদিন জেল থেকে বেরিয়ে মেয়ে সুকন্যা এবং দূর সম্পর্কের ভাগ্নে বিশ্বরূপের সঙ্গে সোজা দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী। রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। উল্লেখ্য, মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও গোরু পাচার মামলায় বন্দি ছিলেন তিহারে। গত ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। মেয়ের পর অনুব্রতও জেল থেকে বের হতেই মণ্ডল পরিবারে খুশির হাওয়া। বাবা জেলের বাইরে পা রাখতেই আনন্দে জড়িয়ে ধরেন অপেক্ষমান সুকন্যা। মেয়েকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অনুব্রতও।
বাংলাদেশে গোরু পাচার মামলায় সিবিআই ও ইডি—কেন্দ্রের দুই তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত ও চক্রের অন্যতম মূল পাণ্ডা এনামুল হক। সিবিআইয়ের মামলায় ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জামিন পেয়েছিলেন এনামুল। কিন্তু ইডির মামলায় জেলেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেও গত ২৯ জুলাই তা খারিজ হয়ে যায়। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই সোমবার মিলল জামিন।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন আটকে রাখার পরেও বিচার প্রক্রিয়া ঠিকমতো শুরু না হওয়ার পাশাপাশি গোরু পাচার মামলায় অন্য অভিযুক্তদের জামিন মেলার উদাহরণ সামনে রেখেই এনামুলকেও আপাতত আটকে রাখা অর্থহীন জানিয়েই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে সাহায্য করতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।