কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে দেশের সমস্ত রাজ্যের বিধানসভাগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে সম্মেলন। দু’দিন ধরে চলবে। উপস্থিত ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং প্রমুখ। আইন প্রণয়ন সংস্থাগুলির ভূমিকা ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় সম্মেলনে। এই আলোচনায় ইডি, সিবিআই প্রভৃতির কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বিধায়ক হলেন এলাকার একজন গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি। কিন্তু একাধিকবার দেখা গিয়েছে, আগাম খবর না দিয়ে বিধায়কের বাড়িতে যখন-তখন চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর ফলে জনপ্রতিনিধির কাজকর্ম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি হস্তক্ষেপ করছে বা নাক গলাচ্ছে, তাতে বিধায়করা নির্ভয়ে কাজ করতে পারছেন না।
বিধানসভায় আইন প্রণয়ন হয়। ফলে বিধায়করা যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারেন, তার জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এবং ভয়ের এই বাতাবরণ থেকে বেরিয়ে এসে একটা সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তিনি বলেছেন, কোনও বিষয়ে তদন্তের জন্য বিধায়কদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কথা বলতেই পারে। কিন্তু এমন কোনও ঘটনা যেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি না ঘটায় যাতে জনসমাজে একজন বিধায়কের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। লক্ষণীয় যে, এদিনের সম্মেলনে দিল্লিসহ দেশের একাধিক বিধানসভার স্পিকাররাও তুলে ধরেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা খেলায় মেতেছে। মুখ্যমন্ত্রীদের পর্যন্ত গ্রেপ্তার করছে তারা! রাজ্যে রাজ্যে দল ভাঙানোর খেলা চলছে। এই বিষয়টির দিকে অবিলম্বে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, আইন প্রণয়নের আগে বিধানসভায় বিল পাস হলেও তা রাজভবনে গিয়ে গিয়ে পড়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে পাস হওয়া বহু বিলের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করছেন না বলে এদিনের সম্মেলনে তুলে ধরেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণ-বিরোধী ‘অপরাজিত বিল’ বিধানসভায় পাস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই বিলটিও রাজভবনে পড়ে আছে বলে জানানো হয়। এছাড়া নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিয়ে ‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকর করা বাস্তবসম্মত নয় বলেও মত প্রকাশ করেছেন বিমানবাবু।