কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর সিবিআই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। এখান থেকে তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে কোন কোন নথি গায়েব করা হয়েছে। আর সেটি হয়ে থাকলে তাঁরা প্রমাণ করতে পারবেন, আসল সত্য চাপতেই পরিকল্পনা করে গোটা ঘটনা সাজানো হয়। খুনে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতির তত্ত্ব তাঁরা মিলিয়ে দিতে পারবেন। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মধ্যে ডিজিটাল নথি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এজেন্সির কাছে। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এখানে বড় কেলেঙ্কারি হয়ে থাকতে পারে। ফুটেজ ব্লক করে ঘটনায় জড়িতদের আড়াল করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। সেই কারণে ১৪ আগস্ট সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিকে পাঠানো হয়। তার মধ্যে ছিল এই মোবাইল। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানায়, পাঠানো নমুনার মধ্যে মোবাইলের ফরেন্সিক রিপোর্ট এসে গিয়েছে। সেটিকে সাক্ষীদের সামনে খোলার জন্য আদালতে আবেদন জানায় তারা। বিচারক তা মঞ্জুর করে ২৫ সেপ্টেম্বর সেটি খোলার দিন ধার্য করেছেন। সংস্থার আশা, বহু নতুন তথ্যের সন্ধান মিলতে পারে।
একইসঙ্গে এদিন টালা থানার তদানীন্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে পলিগ্রাফ ও আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের নারকো পরীক্ষার কনসেন্টের জন্য আনার কথা ছিল। এজেন্সি আদালতে জানিয়েছে. সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্সে এই সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য যে বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তিনি আগে থেকেই অন্য জায়গায় বুকড রয়েছেন। তাই অভিজিৎ ও সন্দীপকে সোমবার আদালতে আনা হয়নি। ২৫ তারিখ বিশেষজ্ঞ থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। তাই তাঁদের ওইদিন আদালতে নিয়ে আসার আবেদন করে সিবিআই। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত আরও কিছু নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আর্জি করে। এজেন্সির করা সবকটি আবেদনই মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
সোমবার আবার সিবিআই দপ্তরে আসেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কারা চাপ দিয়েছিলেন এবং সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ভোররাতে তরুণী খুনের বিষয়ে জেনেছিলেন। যে কারণে ভোর চারটে দশে পৌঁছে যান হাসপাতালে। এছাড়া সংস্থা জানতে পেরেছে, বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে সন্দীপ ফিরে যান সকাল ছ’টা কুড়িতে। ময়নাতদন্ত যাতে নিয়ম মেনে না হয়, তখন থেকেই সমস্ত পরিকল্পনা করে ফেলেন সন্দীপ। সেইমতো সকালে তিনি কথা বলে নেন ফরেন্সিক মেডিসিনের ডেমনেস্ট্রেটরের সঙ্গে। সন্দীপ প্রথমে থেকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের সদস্যদের চাপ দিচ্ছিলেন তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, সেটি যেন ধামাচাপা দেওয়া হয়। দেহের বেশকিছু নমুনা যেন সংগ্রহ করা না হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের দাবি, তাঁরা চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে আইন মেনেই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। এদিকে, এদিন আর জি কর দুর্নীতি মামলায় চারজন অভিযুক্তকে ভার্চুয়ালি হাজির করা হলে সকলেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।