Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। কথা দিয়েছেন তাঁর মেয়েকে ফিরিয়ে দেবেন। বিখ্যাত সার্জেন মাধবিকা মিত্র কি একটু অন্যমনা হলেন? 
তাঁর কি মনে পড়ল দু’বছর আগে এই হাসপাতালে একটি সপ্তদশী মেয়ে জীবনের কাছে হার মেনেছিল? সেদিন মাধবিকা কিছু করতে পারেননি। নিজে বিশেষজ্ঞ হয়েও বাঁচাতে পারেননি নিজের মেয়েকে। মেয়ের প্রাণহীন দেহের দিকে তাকিয়ে চোখের জলও ফেলেননি। শুধু মনে মনে শপথ নিয়েছিলেন নিজের কাছে— এমন করে আর কোনও মেয়েকে হারিয়ে যেতে দেবেন না। অসহায় মায়ের কোলে তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দেবেন। 
চেম্বারের টেবিলে রাখা মেয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে যেন শক্তি সঞ্চয় করলেন মাধবিকা। অপারেশন থিয়েটারে যখন ঢুকলেন, তখন চোখে জল নয়, এক দুর্জয় সংকল্প। 
ঠিক সেই সময় শহরের পাঁচতারা হোটেলে বিশেষ এক সংবর্ধনা সভায় মধ্যমণি ডাক্তার সুজয় মিত্র ও তাঁর স্ত্রী ডাক্তার জয়ন্তী মিত্র। দু’জনের সম্মিলিত গবেষণায় এক মারণ রোগের ভাইরাস ও তার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে তাঁরা যুগ্মভাবে বিশেষ পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত। খবরটি সাড়ম্বরে বিজ্ঞাপিত। 
ডাক্তার সুজয় মিত্রের পদবিটা আজও মাধবিকা নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন, ডিভোর্সের পরও শুধু তাঁদের মেয়ে জয়িতার পিতৃপরিচয়কে সম্মান দিতে। অথচ মেয়ের মারণব্যাধির খবর পেয়েও সেদিন ডাঃ সুজয় মিত্র সময় দিতে পারেননি। তখন তিনি সহকারী জয়ন্তী সেনের সঙ্গে উচ্চতর গবেষণার জন্য বিদেশে। যখন ফিরে এলেন তখন আসন্ন মাতৃত্বের গৌরবে পাশে রয়েছেন জয়ন্তী, যিনি পরে ‘সেন’ থেকে নতুন পরিচয়ে হয়েছেন ডাঃ জয়ন্তী মিত্র। 
মাধবিকা সেদিন ভেবেছিলেন এবার ‘মিত্র’ পদবিটা বর্জন করে বিবাহপূর্ব ‘বসু’ পদবিটাই ফিরে গ্রহণ করবেন। পিতৃপদবিতে পরিচিত কন্যা জয়িতাই যখন হারিয়ে গেল— তখন আর সুজয় মিত্রের পতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে কী লাভ? বিশেষত তখন বিখ্যাত চিকিৎসক যুগল নবদম্পতি সুজয় ও জয়ন্তী মিত্র নতুন সংসারে সানন্দে প্রতিষ্ঠিত। 
অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরলেন মাধবিকা। একটা সাফল্যের স্বাদ অনুভব করছেন। চেম্বারে এসে তাকালেন জয়িতার ছবির দিকে। সেদিন হার মেনেছিলেন, তাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। কিন্তু আজ কিশোরী রোগিণীকে জীবনে ফেরাতে পেরেছেন— এই প্রত্যয়ে উজ্জ্বল হল তাঁর দৃষ্টি— শান্ত হল তাঁর হৃদয়। ক্ষণকালের জন্য মগ্ন চৈতন্যে ফিরে এল হারানো অতীত। 
মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল দুই ছাত্রছাত্রী সুজয় মিত্র ও মাধবিকা বসুর জুটি সর্বজন পরিচিত। 
ডাক্তার থেকে সিনিয়র স্টুডেন্ট মহল, সহপাঠী বন্ধুর দল সকলেই ওদের সম্পর্কের কথা জেনে খুশি। সেদিনের অনেক টুকরো স্মৃতি আজ উজান বেয়ে ফিরে এল মাধবিকার মনে। আজকের তারিখটাই তো স্মৃতিচিহ্নিত। এই মুহূর্তে হসপিটালের সিনিয়র সার্জেন মাধবিকা মিত্র ফিরে গিয়েছেন দু’দশক আগের হারানো অতীতে। পনেরোই মার্চ তাঁদের যুগল জীবনের পথচলা শুরু হয়েছিল। আর আজ পনেরোই মার্চ ডাঃ সুজয় মিত্র নতুন সাথীকে নিয়ে সংবর্ধিত হচ্ছেন, ভেঙে যাওয়া বিবাহবার্ষিকীর দিনে। মনে মনে গুঞ্জরিত হল প্রিয় গানের কলি— 
‘অনেক কথা বলেছিলেম/ কবে তোমার কানে কানে 
কত নিশীথ অন্ধকারে/ কত গোপন গানে গানে। 
সে কী তোমার মনে আছে?’ 
সব স্মৃতিই একদিন বিবর্ণ হয়ে যায়— নতুন পাতা দেখা দেয় পুরনো শুকনো ডালে। একমাত্র সন্তান জয়িতা বাবা-মায়ের স্নেহাদরে বেড়ে ওঠা জয়ী কেমন করে যেন জেনে গিয়েছিল তাদের সংসারে, বাবার জীবনে সূক্ষ্ম চোরাপথে আসছে নতুন কেউ। ভেসে আসা জনশ্রুতিতে আহত হৃদয় জয়িতা সেদিন অসহ্য যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিল। মাধবিকা তাকে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে এনেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জয়িতার মানসিক যন্ত্রণা সংক্রমিত হল তার শরীরেও। সেদিন সব অভিমান ভুলে মাধবিকা সুজয়কে ডেকেছিলেন। কিন্তু সুজয় তখন সহকারী-বান্ধবী জয়ন্তীকে নিয়ে প্রবাসে উচ্চতর গবেষণায় ব্যস্ত। স্ত্রী, কন্যা কারওর ডাকেই সাড়া দেয়নি। সাফল্যের হাতছানিতে স্নেহের অধিকার হার মেনেছিল। 
অসুস্থ মেয়ে, ভাঙা সংসার, হাসপাতালের দায়িত্ব ও কাজের ভারে নিষ্পেষিত হৃদয় মাধবিকার সেই দিনগুলি ছিল যন্ত্রণাদগ্ধ। অভিমান, রাগ সব ভুলে আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বারবার ডেকেছিল সুজয়কে, কিন্তু সুজয় তখন স্বপ্নমদির নেশায় উন্মত্ত— কাজের দোহাই, গবেষণার দায়িত্ব দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছে। ফেলে আসা সংসার এককালের প্রেমিকা-স্ত্রী, কন্যা স্নেহ কিছুই তাকে ফেরাতে পারেনি। মাধবিকার মনে হয়েছিল পুরাতন প্রেম কি সত্যিই নবপ্রেমজালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে? 
— উত্তর মেলেনি। 
এই তো কিছুদিন আগেও ছিল কত আনন্দঘন মুহূর্ত, কত অভিমাননা হত প্রেম, কত বিরহতাপিত প্রহর, কত স্মৃতিসুখকর জীবন— কোন মন্ত্রবলে সব হারিয়ে গেল। মনে পড়ল তার মাতৃত্বের সম্ভাবনা জেনে নবীন ডাক্তার সুজয়ের আনন্দ উচ্ছ্বাস, কত গান কবিতা আদর উপহারে তার মাতৃত্বকে অভিষিক্ত করেছিল সুজয়। নার্সিংহোমে সদ্যোজাত কন্যাকে দেখে তার পিতৃহৃদয়ের স্নেহাসিক্ত দৃষ্টি— সব মনে এল মাধবিকার। সে যেন ভুলে গেল— এটা তাদের দাম্পত্য জীবনের খেলাঘর নয়— এটা কলকাতার বিখ্যাত হসপিটাল, এখানে তাঁর পরিচয় সিনিয়র সার্জেন ডাঃ মাধবিকা মিত্র। দুটো ক্রিটিক্যাল অপারেশনের পর এখন তাঁর ক্ষণকালের বিশ্রাম। 
নাহ, বিশ্রাম মিলল না। মৃদু নক করে তাঁর চেম্বারে এলেন আগন্তুক— 
‘গুড আফটারনুন ডাঃ মিত্র।’ 
‘গুড আফটারনুন’ চোখ তুললেন মাধবিকা। সামনের চেয়ার টেনে বসলেন ডাঃ সুধাকর চৌধুরী। 
‘অভিনন্দন’ 
মাধবিকার সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে হাসি খেলে গেল সুধাকর চৌধুরীর মুখে— 
‘আজ এমন একটা দিন, তোমাকেই তো অভিনন্দিত করব মাধবী।’ 
তির্যক উক্তি শুনে ফিরে তাকালেন মাধবিকা। মনে পড়ে গেল অতীতের ছাত্রীজীবনের কথা। সুধাকর ওদের চেয়ে এক বছরের সিনিয়র ছিল। মাধবিকার প্রতি ছিল দুর্বার আকর্ষণ। কিন্তু সুজয়ের জন্য তাকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। আজ কি তাই 
কৌতুক কটাক্ষ? 
‘আরে আজ তোমার প্রাক্তন প্রেমিক স্বামীর এত বড় সম্মান প্রাপ্তি, তাই তোমাকেই কনগ্র্যাচুলেট করছি।’ 
‘ধন্যবাদ। ডাঃ সুজয় ও জয়ন্তী মিত্রের গবেষণার সাফল্যে সকলের মতোই আমিও খুশি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার।’ 
‘অফকোর্স। এ যুগের পিয়ের ক্যুরি ও মেরি ক্যুরি। তুমি যাবে না সংবর্ধনা সভায়? তোমাকে দেখলে সুজয় খুশি হতো— আফটার অল ওল্ড ফ্লেম।’ 
মৃদু হেসে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন মাধবিকা— 
‘ডাঃ চৌধুরী আমার একটু কাজ আছে, উঠতে হবে— সরি।’ 
‘ও সিওর’ কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বেরিয়ে গেলেন সুধাকর চৌধুরী। 
একইসঙ্গে বিরক্তি ও কৌতুক দেখা দিল মাধবিকার মুখে। এখনও ঈর্ষা, এখনও আক্রোশ। সত্যি, বিচিত্র পুরুষের মন। একজন পুরানো ঈর্ষা পুষে রেখেছেন, অন্যজন ভুলে গিয়েছেন পুরানো প্রেম। বিচিত্র হৃদয়। অথচ চিরস্মৃত থাকার প্রতিশ্রুতি ছিল সেদিনের অঙ্গীকারে। মনে পড়ল বিয়ের পরে শৈলশিখরের নির্জন মধুচন্দ্রিমায় কত প্রেমগুঞ্জন। মাধবিকা সেদিন স্মিত কৌতুকে শুনিয়েছিল প্রিয় কবি বুদ্ধদেব বসুর একটি কবিতার চরণ— 
‘ভুলিব না, এত বড় স্পর্ধিত শপথে 
জীবন করে না ক্ষমা 
তাই মিথ্যা অঙ্গীকার থাক।’ 
কবিতা শেষ করতে না দিয়ে তার মাধবীর মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল সুজয়, তরুণ ডাক্তার সুজয় মিত্র। তখন কাঞ্চনজঙ্ঘার অরুণ রশ্মির চকিত রক্তিমা লেগেছিল নবদম্পতির নতুন জীবনে। আশ্চর্য এসব ভুলে যাওয়া কথা। বিস্মৃত স্মৃতি আজ কেন আমার রন্ধ্রে মৃতমাধুরীর কণা সঞ্চিত করছে। অতীতের বিশেষ দিনের স্মৃতিবহ তারিখ কি আজ দু’দশক পেরিয়েও মনে মনে চিরস্মৃত! ‘ধূসর জীবনের গোধূলিতে ক্লান্ত আলোয় ম্লান স্মৃতি’— কবির বাণী মনে এল। চেম্বারের নির্জনতায় মাধবিকা আজ যেন অতীতের মায়াতরীতে ভেসে চলেছে। তার মনে এল আজকের সুজয়-জয়ন্তীর এই গবেষণালব্ধ আবিষ্কারের গৌরবে তো তারই থাকার কথা। গবেষণার প্রথম পর্যায়ে সে-ই তো ছিল সুজয়ের সঙ্গে। দু’জনের মাঝখানে সহকারী জয়ন্তী সেন কবে, কখন, কীভাবে অধিকার করেছিল সুজয়ের হৃদয় কর্মব্যস্ত মাধবিকা জানতেও পারেনি। 
তারপর, তার ছিঁড়ে গিয়েছে কবে। 
জুনিয়র ডাঃ সুমনের ডাকে বর্তমানে ফিরে এলেন মাধবিকা। সকালের পেশেন্ট পার্টি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে সারলেন। কিছু উপদেশ। একটু তাকালেন। যে মেয়েটির অপারেশন হল তার মা তো আসেননি। পেশেন্ট পার্টির ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ তো পনেরোই মার্চ, কবে আমার স্ত্রীকে রিলিজ করবেন ম্যাডাম?’ 
‘দিন পাঁচেক পরে’ —এগিয়ে গেলেন মাধবিকা। তারিখটা বারবার ফিরে আসছে। ভেঙে যাওয়া এক শপথের দিন। পঁচিশ বছর আগেকার বিশেষ তারিখ হারিয়ে যাওয়া বিবাহবার্ষিকীর স্মৃতিচিহ্নিত স্বাক্ষর। 
গাড়িতে ওঠার মুখে আবার দাঁড়াতে হল। 
‘ডাঃ মিত্র আপনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা’ 
মুখোমুখি সজল চোখে দাঁড়িয়ে ভদ্রমহিলা। 
‘আমার মেয়েকে আপনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনাকে প্রণাম জানাতে এলাম।’ 
নত হয়ে প্রণামরত মহিলাকে হাত ধরে তুললেন মাধবিকা। 
‘ওকে ফিরিয়ে দিয়ে আমি নিজেকেই ফিরে পেয়েছি। ওকে না ফেরাতে পারলে আজ আমি হেরে যেতাম। বিশ্বাস করুন, আজ আপনার মেয়ে আমাকে জিতিয়ে দিয়েছে।’ সাফল্যের হাসির সঙ্গে কি ডাক্তার মিত্রের চোখে অশ্রুর আভাস? বিস্মিত মহিলা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। তাঁর সামনে দিয়ে চলে গেলেন প্রত্যয়দীপ্ত, কর্তব্যে অবিচল প্রশান্ত মূর্তিতে স্বয়ং প্রকাশ বিখ্যাত সার্জেন মাধবিকা মিত্র। 
এবার তাঁর আজকের শেষ কাজ— প্রধান কর্তব্য।... তখন সুসজ্জিত মঞ্চে আসীন চিকিৎসক দম্পতি— ডাঃ সুজয় মিত্র ও ডাঃ জয়ন্তী মিত্র। করতালিতে মুখরিত হল অডিটোরিয়াম। এবার সভাপতি এগিয়ে এলেন— দর্শকদের উদ্দেশে বললেন— সমবেত সুধীবৃন্দ, আপনারা জানেন এবছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ গবেষণার জন্য এই বিশেষ পুরস্কার। প্রাপকদের নামও আপনাদের জানা। তাঁদের অভিনন্দন। তবে আপনাদের জন্য আছে একটি চমক। All India Physicians Association-এর তরফে মাননীয়া ডাক্তার মাধবিকা মিত্র তাঁর প্রয়াত কন্যা জয়িতার স্মৃতিতে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন। এ বছরের যুগ্ম প্রাপক ডাঃ সুজয় ও ডাঃ জয়ন্তী মিত্রের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ডাঃ মাধবিকা মিত্র ম্যাডাম স্বয়ং। 
মুগ্ধ বিস্ময়ে দর্শকমণ্ডলী উঠে দাঁড়িয়েছেন। মঞ্চে পুরস্কৃত চিকিৎসক দম্পতিও নতমস্তকে দাঁড়িয়ে। সমবেত দর্শক তখন করতালিতে অভিনন্দিত করছে তাঁকে, যিনি আজ পুরস্কৃত দম্পতির চেয়ে উজ্জ্বলতর মহিমায় দীপ্তিময়ী আজকের সার্থক বিজয়িনী ডাক্তার মাধবিকা মিত্র। 
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
18th  February, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের দাবি মেনে অবশেষে বেহাল আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কার হচ্ছে। এই কাজের জন্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর থেকে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৩ ...

ইজরায়েলি হামলায় খতম হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বৃহস্পতিবার এই খবর জানাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যা ও নৃশংসতার মূলচক্রী সিনওয়ারকে নিকেশ করেছেন ইজরায়েলি সেনা।’ ...

বিমানে বোমাতঙ্ক থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না কিছুতেই। সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল বিমানে বোমা রাখার হুমকি। বৃহস্পতিবারও তাতে ছেদ পড়ল না। এদিনও হুমকির জেরে  ফের একের পর এক বিমানে আতঙ্ক ছড়াল। গত চারদিনে এই নিয়ে মোট ২০টি বিমান এমন হুমকির মুখে ...

নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমন খান! তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করল মুম্বই পুলিস

12:15:15 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গিদের গুলিতে হত এক, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নিরাপত্তা বাহিনী

12:14:00 PM

দিল্লির ভোলানাথ নগরের একটি বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হল ২ জনের, জখম ৪

12:08:36 PM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। তবুও বৃষ্টি চলছে কোথাও ...বিশদ

12:05:12 PM

শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড: ঘটনাস্থলে গিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলছেন কলকাতার সিপি মনোজ ভর্মা

12:03:00 PM

সদগুরুর প্রতিষ্ঠান ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

12:03:00 PM