Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

আলফা, ব্রেভো, ডেলটা, ফক্সডোর্ট, ইয়ার্নি, ইকো আর চার্লি। এগুলো হল অপারেশনাল সেক্টর। পূর্ব পাকিস্তানের তিনটি বন্দরে মোতায়েন করা পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ধ্বংসের অভিযান যখন চলবে, তখন যদি সেই অপারেশন টিম ব্যর্থ হয় কিংবা কোনও কারণে ধরা পড়ে যায়, তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর নৌসেনার এই সাতটি সেক্টর ব্যাক আপ সাপোর্ট টিম হিসেবে থাকবে। অভিযান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। টিম ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু অপারেশন জ্যাকপট সফল করতেই হবে। পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান যখন পূর্ব পকিস্তানে বাঙালি নিধন প্রোগ্রামে মত্ত হয়ে মহানন্দে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে আছেন এবং একের পর এক অত্যাচারের কাহিনি শুনে আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন, তখন ভারতের অন্দরে উত্তরবঙ্গের মূর্তি নদীর কাছে, রাজগঞ্জে, বিহারের চাকুলায়, ত্রিপুরার দেবতামুড়ায়, অসমের মাসিমপুরে, মেঘালয়ের টুরায়, ডোমকল জলঙ্গির বর্ডারে তৈরি হয়েছে ব্যাক অ্যাপ ক্যাম্প। চলছে ট্রেনিং। মুর্শিদাবাদ আর নদীয়ার বর্ডার পলাশির প্রান্তরে মূল প্রশিক্ষণ চলছে। আর সেই যোদ্ধারা মাঝেমধ্যেই এই ক্যাম্পগুলিতে এসে টেকনিক্যাল সাপোর্ট সম্পর্কে অবহিত হয়ে ফের ফিরে যাচ্ছে পলাশিতে। 
১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। কিন্তু এ কাজের দায়িত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সাবমেরিনার্স, বিদ্রোহী নৌসেনা, একঝাঁক মুক্তিযোদ্ধা আর ইস্ট পাকিস্তান বেঙ্গল ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের নেওয়া হয়েছে। তাদের এই কয়েকমাসের মাত্র ট্রেনিং-এ এত বড় একটা অভিযানে পাঠালে মিনিট বাই মিনিট অপারেশন সাকসেসফুল হবেই তার নিশ্চয়তা নেই। অন্য দেশ, অন্য অজানা ভূগোলের দিকে পাঠানো হবে অন্য দেশের একঝাঁক যোদ্ধাকে। সবটাই এক চান্স ফ্যাক্টর। তাই অ্যাডমিরাল নন্দা এই বাছাই করা ৩০০ জন যোদ্ধাকে বললেন, আপনাদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আপনাদের মনোবল। আপনাদের ভবিষ্যৎ বিজয়। ইন্ডিয়ান আর্মি আর নেভির স্ট্র্যাটেজির কুশলতা। সব কিছু আপনাদের হাতে। মনে রাখবেন একটা কথা, শুধু‌ই পাকিস্তানের মোতায়েন করা জাহাজগুলিকে ধ্বংস করাই আপনাদের লক্ষ্য হবে না। এই ধ্বংসলীলার পিছনে আরও গভীর কারণ আছে। আমাদের স্ট্র্যাটেজি যদি সফল হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলও কিন্তু ভয় পাবে। তারা বুঝতে পারবে, ইস্ট পাকিস্তানের সমুদ্র কিংবা নদীপথ মোটেই সুরক্ষিত নয়। যে কোনও সময় জাহাজ, ভেসেল অথবা ন্যাভাল বোটে অ্যাটাক করা হতে পারে। তাই পাকিস্তানের আহ্বান সত্ত্বেও ওই সব আন্তর্জাতিক মহল এরপর নিজেদের যুদ্ধজাহাজ কিংবা নৌবাহিনীর বোট পূর্ব পাকিস্তানে সাপ্লা‌ই করতে ভয় পাবে। তারা যতই পাকিস্তানের বন্ধু হোক, নিজেদের সেনাবাহিনীকে এভাবে মৃত্যুর মুখে কে পাঠাবে? তাই তাদের ভয় পাইয়ে দিতে হবে। তার ফলে পাকিস্তান বিদেশ থেকে সাহায্য পাবে না। একবার যদি একসঙ্গে এতগুলো জাহাজ উড়িয়ে দেওয়া যায়,  পাকিস্তানের আর্মস আর অ্যামুনিশনের সাপ্লাই লা‌ইনও বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এয়ার ফোর্স ইতিমধ্যেই কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছে এয়ারস্পেস। ইন্ডিয়ার এয়ারস্পেস লঙ্ঘন করলেই গুলি করে নামানো হবে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা যে কোনও বিমানকে। এবার সমুদ্র আর নদী রুটও আমরা বন্ধ করে দেব। সম্পূর্ণ বন্দি হয়ে যাবে পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তানের মধ্যেই।  তাই এবার ফাইনাল কাজটা আপনাদের হাতযশ আর মনের জোর। পারবেন তো? সমস্বরে প্রায় তিনশো যোদ্ধা হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চিৎকার করে বলে উঠলেন, পারব স্যার!
মোট ৮টা গ্রেডে ভাগ করা হল কমান্ডোদের। পলাশির প্রান্তরে গঙ্গায় অন্তত ১৫ থেকে ১৭ ঘণ্টা প্রতিদিন ট্রেনিং। নিয়ম করে পরীক্ষা নিচ্ছেন ভারতের ২০ জন নেভি ইনস্ট্রাকটর। লেফটেন্যান্ট এস দাস, লেফটেন্যান্ট ভি পি কপি, লিডিং সি ম্যান এম কে গুপ্তা, এস সিং। নানা বুজ রয়েছেন নেতৃত্বে। পরীক্ষায় সবথেকে ভালো ফল যারা করছে, তাদের জন্য এ গ্রেড। এভাবে এইচ গ্রেড পর্যন্ত। এ গ্রেডে যারা থাকবে, তারাই লিমপেট মাইন উইথ টাইমার রাখবে যুদ্ধজাহাজে।  ওই মাইন জাহাজের কেবলবক্সে রেখে নিমেষের মধ্যেই ঝড়ের গতিতে সাঁতরাতে হবে। দরকার হলে ওলিম্পিক্সের চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডও ভেঙে দিতে হবে। শুধুই পরীক্ষার রেজাল্ট নয়। দরকার ভূগোল জানা। তাই ঠিক যেখানে যেখানে জাহাজকে টার্গেট করা হবে, সেই জেলা আর আশপাশের জেলায় যাদের বাড়ি, সেই যোদ্ধাদের চান্স দেওয়া হল। কারণ, নদী, ঘাট, বন্দর, গ্রাম এবং স্থানীয় ভাষা, এটা সম্যকভাবে জানা দরকার। পূর্ব পাকিস্তান মানেই তো আর সর্বত্র একইরকম বাংলা ভাষা নয়। অসংখ্য ভিন্ন উচ্চারণ, ডায়ালেক্ট আর বাচনভঙ্গি। সেরকমভাবেই কথা বলতে পারলে, গ্রামবাসীর সাহায্য যখন লাগবে, সেই সময় সুবিধা হয় অনেক। কোনও গেরিলা যুদ্ধ অথবা বিপ্লবই স্থানীয় জনগণের সহায়তা ছাড়া সফল হতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষী। 
মোংলা বন্দর অপারেশনের জন্য ৬০ জন কমান্ডো বাছাই করা হল। তারা প্রত্যেকেই খুলনা জোনের। দুঃসাহসিক যাত্রাপথের সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে তাদের। তাই বাছাই করা হয়েছে এই টিমকে। প্রথমে পলাশি ক্যাম্প থেকে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট। একপ্রস্থ ব্রিফিং। তারপর ক্যানিং। মাতলা নদীর পাশে একটি  বেস ক্যাম্পে এসে রিপোর্টিং। আগে থেকেই সেখানে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জি এস অরোরা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শালিক।  কলকাতা রেডিওর একজন  রিজিওনাল ডিরেক্টর আছেন তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু এই নৌবাহিনীর অভিযানে কলকাতার রেডিও সেন্টারের রিজিওনাল সেন্টারের কী ভূমিকা? তিনি এবং তাঁর দুই টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কেন এসেছেন এই আদ্যন্ত এক গেরিলা অভিযানে? কারণ, এই অভিযানে ঠিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ  নৌবাহিনী আর সেনা কমান্ডোদের সহায়তা, ঠিক সমপরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব কলকাতার আকাশবাণীর। কেন? 
পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ আর মিলিটারি ভেসেল ধ্বংস করার জন্য অপারেশনে যাওয়া কমান্ডোদের সঙ্কেত দেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধার এই দল থাকবে তখন কোথায়? কোনও জঙ্গলে।  নদীবক্ষে। অথবা সমুদ্রবন্দরের কাছে গ্রামের গোপন আস্তানায়। তাহলে কীভাবে পৌঁছনো যাবে সঙ্কেত? বহু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, ভারতীয় রেডিও মারফত দু’টি গান বাজানো হবে। কখন আক্রমণ করতে হবে তার সঠিক সময়ের দুটি অ্যালার্ট দেবে আকাশবাণী। 
ন্যাভাল কমান্ডো নম্বর জিরো জিরো থ্রি নাইনের কমান্ডার আমিনুর রহমান খুসরুকে ভারতের লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা স্পষ্ট করে দিয়ে বললেন, লুক কমান্ডারস,  একটা জিনিস ভুলবেন না। ওই গান কিন্তু একটা নির্দিষ্ট দিনে সারাদিনে শুধুমাত্র দু’বারই বাজানো হবে। আর নয়। এমনকী স্বয়ং আমাদের প্রাইম মিনিস্টার অনুরোধ করলেও আমরা আর বাজাতে পারব না। মিলিটারি সঙ্কেত সিস্টেম এমনই। সুতরাং আপনাদের রেডি থাকতে হবে। আর চরম সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ, গান বাজবে যে কোনও মোমেন্টে। ওই গান বাজার অপেক্ষায় আপনাদের রেডিওর অনুষ্ঠান ফলো করতে হবে। এক্সট্রা ব্যাটারি নেবেন। কারণ, অভিযানের পথে ব্যাটারি জলে ভিজে যেতে পারে। রেডিও নষ্ট হতে পারে। তাই দুটো সেট রাখবেন। আর অনেক ব্যাটারি। 
কীভাবে আসবে গানের সিগন্যাল? আকাশবাণী কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগ্রামে বাজানো হবে সেই সাঙ্কেতিক গান দু’টি। কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের রেডি করার জন্য সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টায় একবার বাজানো হবে একটি গান। আর অন্য গানটি বাজবে ঠিক রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে কোনও এক সময়। পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্রং। তাই এই গান নদীতেও শোনা যাবে। রেডিওর সাধারণ শ্রোতারা প্রতিদিনের মতোই ভাববে স্বাভাবিক নিয়মেই রেডিওর প্রোগ্রামে গান বাজছে। কিন্তু একমাত্র কলকাতা আকাশবাণীর কিছু কর্মী, ভারতের সামরিক ও নৌসেনার অফিসাররা, গুপ্তচর সংস্থা আইবি এবং RAW, আর অভিযানে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারাই বুঝতে পারবেন বিশেষ ওই দুই  গানের অর্থ কী! সেই গান অনুসরণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা অভিযানকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। 
কী  সেই গান, যা পাকিস্তানের নৌবাহিনীকে ধ্বংস করার এই মহাযুদ্ধের সর্বপ্রথম শক্তিশালী এক অস্ত্র হতে চলেছে? প্রথম গান পঙ্কজকুমার মল্লিকের। ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান’। যখনই এই গান বাজানো হবে অর্থাৎ ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৬ টায়, তখন রেডি হয়ে যেতে হবে। বুঝে নিতে হবে যে, ভারতীয় স্পাই ও মিলিটারি বাহিনী মাহেন্দ্রক্ষণটি চিহ্নিত করতে পেরেছে যে আজই অভিযান! অতএব তৈরি হও। এই গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে যেন মুক্তিযোদ্ধারা বন্দরের ঘাঁটির কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে। এবং অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী গানের জন্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণ করতে হবে। তাহলে অ্যাটাক করা শুরু হবে কখন? সেটা দ্বিতীয় গান বাজার পরই। দ্বিতীয় গান সন্ধ্যা মুখোধ্যায়ের— ‘আমার পুতুল লক্ষ্মী পুতুল আজকে প্রথম যাবে শ্বশুরবাড়ি’। এই গানের অর্থ কী? অর্থ হল, যে টিম যেখানে আছে, তারা সেই  বেসস্টেশন ছেড়ে তখনই বেরিয়ে পড়ুক গন্তব্যে। এর পর আর কোনও অ্যালার্ট দেওয়া হবে না। ওই দ্বিতীয় গানই হবে চূড়ান্ত সঙ্কেত।  
ব্রিফিং শেষ। বেরিয়ে পড়ল চারটি টিম। টার্গেট মোংলা সমুদ্রবন্দর, চাঁদপুর নৌবন্দর, নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর, দাউদকান্দি ফেরিঘাট এবং হিরণ পয়েন্ট। 
কর্ণফুলী নদীতীরে এসে পৌঁছনো গেল দীর্ঘ যাত্রাশেষে। আপাতত নদীতীর ফাঁকা। তবে বৃষ্টি হচ্ছে। নিঃশব্দে আরও একটু উপরে এসে জড়ো হয়েছে ৬০ জনের দল। বোটগুলি জলের অনেকটা ভিতরে রেখে নদীজলে নেমে তটভূমিতে আসা হয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা। দু’জন যোদ্ধাকে মাঝি সাজানো হয়েছে। তারা  যুদ্ধজাহাজের অবস্থান আর গতিপ্রকৃতি দেখে আসবে। তারপর সেই গান বাজলে হবে চূড়ান্ত অপারেশন। 
যদি তাদের দেখে পাকিস্তানি নৌসেনার সন্দেহ হয় আর গুলিও ছোড়ে, তাহলে কিন্তু তাদের পাল্টা প্রত্যাঘাত করা চলবে না। জলে ঝাঁপ দিতে হবে। থাকতে হবে ডুবে। ডুবসাঁতারে ফিরে আসতে হবে। গুলি লাগতে পারে। হ্যাঁ। তবু পাল্টা আক্রমণ নয়। যাতে পাকবাহিনী বুঝতে না পারে যে, একটি গেরিলা অভিযানের সম্ভাবনা আছে। ১৩ আগস্ট। সন্ধ্যাতেই নিকষ কালো অন্ধকার। ক্যানিং থেকে বেরনোর পর সুন্দরবন পেরিয়ে আসতে হয়েছে। অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।  চরাচর ভেজা । মাটি কর্দমাক্ত। আকাশ থমথমে। ভোর হয়েছে। এখন অপেক্ষা। যোদ্ধাদের ক্লান্ত শরীর অবসন্ন। চোখ আর জেগে থাকতে চাইছে না। কেটে গেল সারারাত। আচমকা তন্দ্রাচ্ছন্ন সেই শরীরগুলোয় চমক লাগল। ভোরের আলো। রেডিও চালানো হল তৎক্ষণাৎ। হঠাৎ চমক। গান বাজছে। ১৪ আগস্ট। স্নায়ুগুলো টানটান। অবশেষে সেই গান। ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান..’ উত্তেজনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে যেন লাফিয়ে উঠলেন যোদ্ধারা। মাঝি সেজে পাকিস্তানের জাহাজের কাছে যাওয়া দু‌ই যোদ্ধা নিরাপদে ফিরে এসেছে রাতেই। তারা বলেছে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। অপারেশন করা যাবে। তবে সার্চলাইট চলে সারারাত। দলনেতা ওয়াহিদ চৌধুরী বললেন, আমরা তিনজন করে ঝাঁপ দেব পানিতে। পেটে বাঁধা হল গামছা। তার মধ্যে প্লাস্টিকে মোড়া লিমপেট মাইন। প্রত্যেক জাহাজে অন্তত তিনটে করে মাইন লাগাতে হবে। কারণ, জলে ভিজে যদি একটি দু’টি না কাজ করে! তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। আজ রাতে দ্বিতীয় গান বাজলে অপারেশন শুরু। টানটান স্নায়ু নিয়ে মানুষগুলি অপেক্ষা করছে। স্বাধীন দেশ গড়ার স্বপ্ন তাদের চোখে। দপ দপ করছে সেই চোখ উত্তেজনায়। কেটে গেল দিনটি। 
এখন সন্ধ্যা। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজ। তবে একটাই সমস্যা। অবিরত সার্চলাইট। সারাদিন কেটে গেল। রাতের অপেক্ষা। উত্তেজনায় ক্ষুধা তৃষ্ণা যেন নেই। কিন্তু গান বাজছে না। কী হল? প্রথম গান আবার বাজল। অর্থাৎ এখনও গ্রিন সিগন্যাল নয়। অবশেষে পরদিন ভোরে এল মাহেন্দ্রক্ষণ। ‘আমার পুতুল লক্ষ্মী পুতুল’ বেজে উঠল। বন্দর থেকে দুই কিলোমিটার হেঁটে উজানে যাওয়া। নাহলে স্রোতে ভেসে যাবে সবাই। আজ সন্ধ্যার পর অভিযান। একটু পরই নদীতে নেমে কাছাকাছি পৌঁছতে হবে। তারপর পরস্পরের দিকে তাকিয়ে নদীতে নামল এই অসমসাহসীরা। কন্ট্রোল রুমে জেনারেল অরোরা আর অ্যাডমিরাল নন্দা ততোধিক টেনশনে। কাজটা পারবে তো এই কমান্ডোরা? সারাদিনের মতো মুড়ি, ছাতু, কলা খেয়ে নিয়ে তিনজন করে করে নদীতে নামার পর পরস্পরের হাত ধরে থাকল। যাতে কেউ ছিটকে না যায়। সন্ধ্যা নেমে এল। এবার অন্ধকার ঘন হচ্ছে। জলে নামা যাক। সামনেই চরলাক্ষ্যা নেভি বেস ক্যাম্প। ওখানেই পরপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের জাহাজ। 
কিন্তু এ কী ঠান্ডা জল! অসম্ভব এক শীতলতা গ্রাস করল প্রতিটি শরীরকে। আগস্ট মাসে এত ঠান্ডা জল! ঠকঠক করে কাঁপুনি শুরু হল। হাত ধরা ছিল এতক্ষণ। কিছুক্ষণ পর আর পরস্পরকে ধরে রাখা গেল না। হাত ছেড়ে গেল। তিনজন তিনদিকে। প্রতিটি টিমের। মোট ৩৯ জন নেমেছিল। এখন সবাই একা। অন্ধকারে কেউ যেন বুঝতেই পারছে না টিমের বাকিরা কোথায়! প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে এগতে থাকল। ঠান্ডা জলে টের পাওয়া গেল আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নেমেছে। বুকডোবা জলে দাঁড়িয়ে সক঩লেই একবার আকাশে তাকাচ্ছে। ঈশ্বর-আল্লাহের দোয়া থাকবে তো? হঠাৎ তীব্র সার্চলা‌ইট এসে পড়ল কর্ণফুলীর জলে! 
২০ মিনিট কেটে গেল। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটল বার্জে। অর্থাৎ একটি টিম অথবা অন্তত একজন পৌঁছে গিয়েছে। শুরু হয়েছে অপারেশন।  মুহূর্তের মধ্যে আরও একঝাঁক সার্চলাইট জ্বলে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুরু হল গুলি। পাকিস্তানি নেভি গুলি করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিক এরকমই ট্রেনিং দিয়েছিলেন ভারতীয় নেভি অফিসাররা। কীভাবে গুলির মধ্যেই সাঁতরে যেতে হবে। কীভাবে সার্চলাইট এড়িয়ে জলে ডুবে থেকে টার্গেটের কাছে পৌঁছে মাইন লাগাতে হবে কেবলের বক্সে। সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছে ৩৯ জনের দলটি। গুলি যাচ্ছে কানের পাশ থেকে। গুলি যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। জল ছিটকে উঠছে গুলির অভিঘাতে। জলের আন্দোলনের কোনটা বৃষ্টির ফোঁটা আর কোনটা বুলেটের অভিঘাত, তা যেন বোঝা যায় না। সার্চলাইট, গুলি ছিলই। তার মধ্যেই আচমকা তিনটে বোট এগিয়ে আসছে নদীবক্ষ দিয়ে। কী করবে এই অবস্থায় এই যোদ্ধারা?
(চলবে)
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
দুর্গা
তপন বন্দ্যেপাধ্যায়

অনেকক্ষণ ধরে একটি গল্পের প্লট খুঁজছেন ভাস্করবাবু, মগজের ভাঁজ খুলে-খুলে দেখছেন কোন ঘটনাটা তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই মুহূর্তে, কোন দুটি চোখ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর মনের অন্দরমহল, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না মনোমতো প্লট। যা-ও দু-একটি ঘটনা মনে পড়ছে কোনওটাই মনঃপূত হচ্ছে না। বিশদ

10th  October, 2021
পর্ব  ১: অপারেশন ৭১
সিচ্যুয়েশন রুম
সমৃদ্ধ দত্ত
 

কেন রিচার্ড নিক্সন এতটা ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী? কারণ একাধিক। নিক্সন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন‌ই এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছেন তিনি দেখতে পেয়েছেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের চোখে এক সমীহ। এক বিশেষ শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। ইনি সর্বশক্তিমান। সুতরাং নিক্সন আনুগত্য পেতেই অভ্যস্ত। তাঁর স্বভাবও সেরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম এই মহিলা।
বিশদ

03rd  October, 2021
ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস। বিশদ

03rd  October, 2021
পিশাচ সাধু
 

ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বিশদ

26th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’  ‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু।  বিশদ

05th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর... বিশদ

29th  August, 2021
একনজরে
তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...

রাজ্যের ‘টি ট্যুরিজম’ প্রকল্পের স্বার্থে এক চা বাগানের রাস্তার একটি অংশ দেওয়া হয় অন্য দু’টি কোম্পানিকে। বাগান কর্তৃপক্ষ বিকল্প রাস্তা বানাতে গিয়ে স্থানীয় বিরোধের সম্মুখীন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM