Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর...

একমাথা আগুন নিয়ে বসেছিল বঁড়শি। দু’চোখ টকটকে লাল। ওর এই উদভ্রান্ত চেহারা, আলুথালু বেশবাস দেখলে যে কেউ মনে করবে রাতে পিশাচ সাধুর সঙ্গে সে-ও পাল্লা দিয়ে নেশা করেছে। সকালে সেই নেশার ঘোর কাটেনি। এখনও খোয়াড়ি ভাঙেনি। মাথার চুলগুলো উসকো খুসকো, ফণা তোলা সাপের মতো সেগুলো মাথা জুড়ে লাফাচ্ছে।  বঁড়শি আগুন। কিন্তু সেই আগুনে খইয়ের মতো কথা ফুটছে না। বরং তার কপালের শিরাগুলো দপ দপ করেছে।
সাধু চা চেয়েছেন বেশ কয়েকবার। বঁড়শি চা করে দেয়নি। চা না পেলে মদ খেতে হয়। গ্লাসে ভরে মদ ঢেলে এক চুমুক মেরে সাধু ব্যোমভোলা হয়ে বসে আছেন। তার মনের মধ্যে নানান কথার বুজকুড়ি!  
তিনি জানেন, বঁড়শিকে কীভাবে ঠান্ডা করতে হয়। ওর এই মৌনতার সময় কথা বলতে নেই। বঁড়শি এখন মনে মনে কথা বলছে। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করছে। এখন চুপ করে থাকাই সমীচীন। পিশাচ সাধু তাই করবেন। ওই মেয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া সেরে হঠাৎই উঠবে ঝাড়া মেরে। তারপর আবার দাপাবে। ওই আশ্রমে তিনি এমনটাই দেখেছেন বঁড়শিকে, এখন সংসারে দেখছেন। 
কিন্তু তিনি এ-কথা সে-কথায় বড় বেশি কথা বলছেন ইদানীং। কথার মোহে নিজেকে বেসামাল করে ফেলেছেন। এখন আফশোস করছেন। মন বলছে— ওর সর্পতান্ত্রিক বাপের কথা না-তুললেই ভালো হতো। কী যে হল, গড়গড় করে বলে বসলেন। কিন্তু কী কথা বলেছেন তিনি? কী এমন মহাভারত-এঁটো করা কথা বেরিয়েছে তাঁর মুখ দিয়ে? বঁড়শির বাপ তো সর্পতান্ত্রিক, সাপই তাঁর উপাস্য দেবতা, মিথ্যে নয়। ফি বছর বসন্তকালে দেওকি গ্রামের পাগলিমায়ের আশ্রমে গিয়ে পড়ে থাকত। আশ্রমের মা বলত— মায়ের দয়া হয়েছে। কিন্তু ফি বছর কারও মায়ের দয়া হয় না, ওর গা থেকে খোসা ছাড়ে। খোলস! খোলস! পাপের খোলস! বড় তান্ত্রিক ছিল বঁড়শির বাপ। কথা বলত কম, কেন না জিভের মাঝখান দিয়ে চিরে ধরেছিল সাধনকালেই। কিন্তু সেই জিভ ওর লকলক করত গর্ভহীনা-মেয়েমানুষ দেখলেই। পাপিষ্ঠ নিজেকে খেলার পুতুল বানিয়ে ফেলল। সর্প যৌনতার প্রতীক। সাধন করে যে গুণ ওর বাপ রপ্ত করেছিল, সে গুণই ওর কাল হল।
বঁড়শি কী জানে ওর বাপের গুণের কথা? 
তাছাড়া তো শুধু গর্ভদান নয়, ওই বাপ মাঝে মাঝে গর্ভ-নষ্ট করার মতো কাজও করত লোভে পড়ে। 
পুরনো কথা মনের মধ্যে ঘুরে ফিরে আসে— পিশাচ সাধু গ্লাস তুলে লম্বা চুমুক মারে। ঘরের আলো বড় কম। মনে হয় উঠে গিয়ে লাথি মেরে দেওয়াল ভেঙে দেয়। ক্রমশ তার মাথার মধ্যে অন্ধকার ঢুকছে হু হু করে—
বঁড়শির বাপকে মরতেই হবে বিষে। মরণ ছাড়া ওর গতি নাই। পিশাচ সাধু বিধান দিয়েছিলেন। এই বিধান একান্ত তার নিজের ঘোষণা করা বিধান। এই বিধান তিনি নিজেই সম্পন্ন করেছিলেন। তার জন্যে এতটুকু দুঃখ বা পাপবোধ নেই তাঁর। 
হ্যাঁ, হ্যাঁ, সে-ই গতিই দিয়েছিল বঁড়শির বাপকে। পিশাচ সাধুই তাকে ঠেলে দিয়েছিল মরণের দিকে। গাঁজা সেজে দিয়েছিলেন তিনি। গাঁজার কাপড় সাফিতে বিষ ছিল। সাফিতে রাখা ওই বিষ ঠিক মুখে যাবে। শুকনো কাশি উঠবে অল্প অল্প।  কিন্তু নেশায় মশগুল তখন প্রসাদিতে মত্ত। পিশাচ সাধু মদের বোতল খুলে একটু একটু পান করেন, আর অপেক্ষা করেন। সাফি থেকে কখন শুকনো বিষে জর্জরিত হবে সামনের জন, তখন জল চাইবেন, গলা ভেজাতে। জলেও বিষ। পিশাচ সাধু হাসেন— জলে স্থলে বাতাসে বিষ রেখেছি, বাঁচবি কীভাবে?
টান মেরে এলিয়ে পড়েছিল বঁড়শির বাপ। শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁকপাঁক করতে করতে, দম বন্ধ হয়ে গেল যেন। বলল, এট্টু জল দাও বাবা। পিশাচ সাধু জল এগিয়ে দিলেন। মুখে বললেন— চাঁদি! চাঁদি! কলকে খালি। জীবনের কলকেতে আর নেশার বস্তু নাই, আগুন নাই। এবার ফাঁকা কলকের মতো বডি ফেলে দিয়ে ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যাও!
বঁড়শির বাপ যে আশ্রমে মরল, সেই আশ্রম চত্বরেই মাটি পেল। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল পিশাচ সাধু, তার যজ্ঞে একটা দান সমাপ্ত হল। 
তখন কি জানত, তারই মেয়ে এসে ওর ঘর ঠেলবে? তাকে মৃত্যুবাণ করে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে! 
আর যোগীনবাবার মরণ ঘনাইল কেন? 
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে পিশাচ সাধু। মাথা চালায় দ্রুত। মনে মনে কথা আউড়ানোর সুবিধে অনেক, মুখ ফুটে তা আর বাইরে বের হয় না। যা বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল, তা পেট থেকে উঠে বুকের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে আবার নীচে তলিয়ে যায়।
তাহলে যোগীনবাবার মরণ ঘনাইল কেন?
যোগীনবাবা সব জেনেও অন্ধ হয়ে থাকতেন। বড় সাধক ছিলেন তিনি। পিশাচ সাধু তার কাছে সাষ্টাঙ্গ হতেন। যারা যোগীনবাবার আশ্রমে আশ্রয় নিতে আসত—  রাতে ধ্যানে বসে তার সবটা জেনে যেতেন যোগীনবাবা। সে সাধু, না কতটা অসাধু? সে পাপী, আর সে কতটা তাপী? সবটা ধ্যানের আসনেই জেনে যেতেন যোগীনবাবা।  অথচ তিনি মুখে কুলুপ দিয়ে থাকতেন। পাপী তাপী সব সময় তার আশ্রম উজাড় করে থাকত। পিশাচ সাধু বার বার সাবধান করেছেন যোগীনবাবাকে। বলেছেন— কী আপনার মোহ বাবা? সাধন ছেড়ে মনোরঞ্জনে মাতছেন? 
যোগীনবাবা উত্তর দিয়েছেন, ‘আমি আর কী মনোরঞ্জন করব বাবা? আমি আগেই দেখে ফেলি— কে কী সং সেজে এসেছে। আমি তার সাধু-সাজা রঙে গঙ্গাজল ছেটাই না। থাক-না সাধু-সং সেজে। সাধু-সং সাজতে সাজতে মানুষের যদি সাধু হওয়ার নেশায় পেয়ে বসে তাহলে অনেক লাভ। ভিতর আর বাহিরে লড়াই কে জেতে, কে হারে?’
পিশাচ সাধু বলেন, ‘না, না, বাবা এটা ঠিক করেন না। দোর দেন। দোরে পাহারা বসান। পাপী-তাপীর জন্য এই আশ্রম সাধনক্ষেত্র নয়। সে শ্মশানে যাক—।’
যোগীনবাবা হাসেন, ‘যদি দোর বন্ধ করতে হয়, তাহলে আপনাকেও তো না বলতে হয় গো, মিলিটারি।’ 
পিশাচ সাধু বুঝেছিলেন, যোগীনবাবা তাকে জেনে-বুঝেই ঠাঁই দিয়েছেন। 
যোগীন বাবা দেহ রাখার দু’দিন আগে পিশাচ সাধু শেষবার চেপে ধরেছিলেন। যেমন নিত্যদিন চেপে ধরেন যোগীনবাবাকে। ‘আপনি তো এত কিছু জানেন, আমি একটা হেঁয়ালি দিচ্ছি, এর উত্তর দেন।’
‘বলুন আপনার হেঁয়ালি?’
‘রুগ্ন সন্তানের জন্য এক মা এসেছিল শ্মশানচারী তান্ত্রিক সাধুর কাছে। তান্ত্রিক সাধু বললে, তোর সন্তান তোর কোলে থাকবে না, ভালো চাস তো তাকে দান করে দে আমাকে। মা বুকে পাষাণ বেঁধে তার সন্তান নামিয়ে রাখল তান্ত্রিক সাধুর পায়ের কাছে, শ্মশান ধুলোয়।  রাত হচ্ছে। চারদিকে শেয়াল, শকুনের মেলা! সাধু যজ্ঞ করছে। মা আশায় বুক বেঁধে, সাধু কখন লাথি দিয়ে সেই সন্তান ফিরিয়ে দেবে মায়ের কোলে, বলবে, যা নিয়ে যা তোর ছেলেকে। আমি পরের ছেলে নিয়ে কী করব রে? মা বলবে, আমি কানা ফল নেব না, তোমার পায়ের ধুলো মাখিয়ে আমি ভালো ফল এই তুলে নিলাম। এ তোমার সন্তান তুমি একে দেখো। সুস্থ সন্তান কোলে নিয়ে মা ফিরবে শ্মশান থেকে। বাইরে ঝুঝকো আঁধারে তার স্বামী মানে সন্তানের বাপ প্রহর গুনছে। শেয়াল তাড়াচ্ছে, শকুন ওড়াচ্ছে, আঁধার কাটছে। এমনটিই তো হয় গো যোগীনবাবা?’
যোগীনবাবা বলেন, ‘তাই তো হয়, তাই তো হয়ে এসেছে এত কাল? শ্মশানচারী সাধু কী করবে সন্তান নিয়ে? সন্তান থাকবে মায়ের কোলে।’
‘কিন্তু তা তো হয়নি!’ ঘন ঘন মাথা নাড়ায় পিশাচ সাধু। ‘তা তো একদম হয়নি। কেন এমন হল?’
‘তাহলে কী হল?’ যোগীনবাবা মাথা ঝুঁকিয়ে প্রশ্ন করেন।
আঁধার মেখে প্রহর গুনতে গুনতে অধৈর্য হয়ে ছেলের বাপ এসে দাঁড়াল শ্মশানভুঁয়ে, যজ্ঞের সামনে। কিন্তু সেখানে এসে সে পাথর হয়ে গেল! মিলিটারি মানুষ তাই ধপ করে পড়ে গেল না। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। দেখল, তার তিন বছরের রুগ্ন ছেলে আর তার স্ত্রীর ধড় পড়ে আছে, সাধু দু’টি ছিন্ন মুণ্ড অগ্নিতে আহুতি দিয়ে যজ্ঞ সম্পন্ন করে চলে গিয়েছে। সে অনেকক্ষণ একভাবে দাঁড়িয়ে থাকার পর নিজের পাথর মূর্তি নিজে ভাঙল। স্ত্রী আর ছেলে ধড় নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দিল নদীর জলে। তারপর শ্মশানভূমিতে এসে যজ্ঞের আগুনে দুটো কাঠ গুঁজে দিয়ে বসে থাকল দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। সে রোজ নিজেকে প্রশ্ন করে— ওটা চিতা, না যজ্ঞ? যজ্ঞ, না চিতা!
সবাই এসে তাকে ঘিরে বলতে শুরু করল—সাধু, সাধু! সে নিজেকে সাধু বলল না, বলল পিশাচ?’ কথা শেষ করে যোগীনবাবার দিকে তাকিয়ে থাকেন পিশাচ সাধু? বলেন, ‘আমার হেঁয়ালি এটাই বাবা। ওটা কি চিতা, না যজ্ঞ? আপনি কী মনে করেন?’
যোগীনবাবা চুপ করে তাকিয়ে থাকেন পিশাচ সাধুর দিকে। তার দুচোখে ঘোর।
পিশাচ সাধু হাসতে হাসতে বলেন, ‘হেঁয়ালি ওটা যেমন, এটাও আবার আর একটা হেঁয়ালি— সবাই এসে দেখল একজন লোক আগুনের সামনে বসে আছে। সবাই বলল— সাধু। সাধুবাবা! কিন্তু আগুনের সামনে বসে থাকা লোকটা ঘোষণা করে দিল সে পিশাচ! এবার হেঁয়ালিটির উত্তর বলুন— লোকটি কী? সাধু, না পিশাচ?’
যোগীনবাবা চুপ করে আছেন। ধীরে ধীরে শান্ত গলায় বলেন, ‘শান্ত হোন গো বাবা!’
পিশাচ সাধু বলেন, ‘শান্ত হব, যদি বলে দেন, কোথায় গেলে তাকে পাব—সেই শ্মশানচারী তান্ত্রিক? যজ্ঞ যে চলছে তার ছিন্ন মুণ্ড সেই অগ্নি আহুতি চায়।’ পিশাচ সাধু হাসেন, ‘হেঁয়ালি না মিটিয়ে দিলে, আমিও হেঁয়ালি করে চলব বাবা। আমার কিচ্ছুটি করার নেই।’
উত্তরহীন যোগীনবাবা বসে থাকেন।  মন দিয়ে দু চোখ বন্ধ করে সব শুনে মাথা নিচু করে বলেছিলেন, বড় অন্যায় হয়েছে, বড় অন্যায় বাবা। 
পিশাচ সাধু বলেছিলেন, ‘তাকে যে আমি খুঁজছি, আপনি তার হদিশ দেন। আপনি জানেন, এটা কার কম্ম। একটা অন্তত হেঁয়ালির উত্তর দেন।’ 
উত্তরে যোগীনবাবা শান্ত গলায় বলেছিল, ‘আপনি খুঁজছেন, আপনি খোঁজেন। আপনার পথও ভালো নয়। কথা চালাচালি আমার কম্ম নয় বাবা। আপনি ফিরে আসুন।’
পিশাচ সাধু বলেন, ‘আমি ফিরব না, আমাকে ওই যজ্ঞ শেষ করতে হবে।’ 
খুব শান্ত গলায় যোগীনবাবা তাকে খণ্ডন করতে চান। বলেন, ‘আপনি আগুন নিয়ে জঙ্গলের পর্ণকুটিরে প্রবেশ করেছেন বাবা। আপনি ভাবছেন আগুনকে উপাস্য দেবতা করে অগ্নি-সাধনা করবেন। কিন্তু যজ্ঞে যদি বেশি ঘি ঢালেন, ওই আগুন কিন্তু দপ করে লাফিয়ে উঠবে। তাতে আপনার পর্ণকুটির সমেত  আপনাকেও জ্বলিয়ে খাগ করে দেবে।’
হা হা করে অট্টহাসি হেসেছিল পিশাচ সাধু। বলেছিলেন, ‘আমি জানি। ওই আগুন আমাকে ঝালসাবে। আমি তাই সর্বদা ঘি মেখে বসে থাকি। কিন্তু তার আগে আমার যজ্ঞের দান, সেই শ্মশানচারী তান্ত্রিকের ছিন্ন মুণ্ড অগ্নিতে আহুতি দিয়ে আমি যজ্ঞ সমাপন করে যাব। তারপর চিরপ্রণম্য অগ্নি যদি আমাকে গ্রহণ করে—।’
যোগীনবাবা বলেন, ‘আপনি বড় ভুল পথ বেছেছেন বাবা। এখনও সময় আছে ফিরে আসুন। ওই অগ্নি বিসর্জন দিন জলে, শান্তি পাবেন।’
পিশাচ সাধু হাসেন, ‘পিশাচের শান্তি নাই। সে অশান্তির চাষ করবে, অশান্তির গুণ ধরবে। নিন, আমি গাঁজা সাজলাম। দেখেন শান্তি পান কী না?’
তাঁর হাত থেকে গাঁজার কলকে নেন যোগীনবাবা, গাঁজার কাপড় সাফিতে বিষ গুঁড়ো। দু তিন টানেই তার বুক ভারী, বুক হালকা করতে দম ভরে টানেন। তারপর ছটফট করেন। শ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আছে। দু চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসে। বলেন, ‘এট্টু জল দেন বাবা, শরীলটা উথালিপাথালি করছে।’ জল তো প্রস্তুত করে রেখেছেন পিশাচ সাধু। একটু জল খেয়ে, গাঁজার কলকে হাতে ধরে বুক চেপে শুয়ে পড়েন যোগীনবাবা। পিশাচ সাধু তাঁর সাজা গাঁজার কলকের কাপড় সাফিটা বড় যত্নে নিয়ে ভাঁ‌জ করে পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে তুলে রাখেন। আবার কাজে লাগবে—
মদ ভরা গ্লাসটা এক নিঃশ্বাসে শেষ করে তিনি তাকান ঘরের কোণে। ওখানে পিশাচ— নর করোটি। তার কাছেই দুটি বাহুর হাড়, তাতে সেই গাঁ‌জার কলকে থেকে নিয়ে আসা কাপড় সাফিগুলো জড়ানো। সাত ফেড়ে। সাতটি আহুতি।
এই সাত ফেড়ে কাপড় আগুনে দিলে দাউ দাউ জ্বলবে। কিন্তু তার কাজ যে শেষ হয়নি। প্রতিশোধের আগুন এখনও তার বুকের ভেতর জ্বলছে। যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলে নিজের জন্য একটা কলকে বঁড়শিকে দিয়ে সাজবেন তিনি। বলবেন, এই সাত ফেড়ে কাপড় দে কলকের নীচে। দম ভরে গাঁ‌জায় টান দিতে দিতে তিনি ভাববেন, যা রে মেয়ে তোর দেনা আমি রাখিনি, আমি তোর বাবাকে মেরেছি, তুই আমাকে মারলি। শোধবোধ।
কিন্তু বঁড়শি যে তার আলজিবে বঁড়শি বিঁধিয়ে আটকে রেখেছে সংসারে। আবার তাকে বেরুতে হবে। আবার খুঁ‌঩জতে হবে, সেই শ্মশানচারী তান্ত্রিক সাধুকে। তার যজ্ঞ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। সে এখনও একটার পর একটা কাঠ দিয়ে চিতা জ্বালিয়ে রেখেছে। এই আগুন কেউ দেখতে পাবে না, শুধু তার বুকের ভেতর ধিকিধিকি জ্বলছে। জ্বলবে। 
(চলবে)
29th  August, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
দুর্গা
তপন বন্দ্যেপাধ্যায়

অনেকক্ষণ ধরে একটি গল্পের প্লট খুঁজছেন ভাস্করবাবু, মগজের ভাঁজ খুলে-খুলে দেখছেন কোন ঘটনাটা তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই মুহূর্তে, কোন দুটি চোখ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর মনের অন্দরমহল, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না মনোমতো প্লট। যা-ও দু-একটি ঘটনা মনে পড়ছে কোনওটাই মনঃপূত হচ্ছে না। বিশদ

10th  October, 2021
পর্ব  ১: অপারেশন ৭১
সিচ্যুয়েশন রুম
সমৃদ্ধ দত্ত
 

কেন রিচার্ড নিক্সন এতটা ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী? কারণ একাধিক। নিক্সন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন‌ই এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছেন তিনি দেখতে পেয়েছেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের চোখে এক সমীহ। এক বিশেষ শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। ইনি সর্বশক্তিমান। সুতরাং নিক্সন আনুগত্য পেতেই অভ্যস্ত। তাঁর স্বভাবও সেরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম এই মহিলা।
বিশদ

03rd  October, 2021
ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস। বিশদ

03rd  October, 2021
পিশাচ সাধু
 

ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বিশদ

26th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’  ‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু।  বিশদ

05th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
একনজরে
তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

দীপাবলির উপহার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পাইপলাইনের মাধ্যমে লাদাখের গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মান-মেরাগ গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM