Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
 

জয়ন্ত দে : ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ, একমাত্র ওষুধের দোকান আর দু-একটা খাবারের হোটেল খোলা। কিন্তু তারাও যেন হাফ ঝাঁপ ফেলে দিয়েছে। ক’টা বাজে? কব্জি উল্টে ঘড়ি দেখল সহজ। আটটা পঁচিশ! তার কেন এমন মনে হচ্ছে? একটু এগতেই দেখল, সব বন্ধ। তবে হ্যাঁ, গাড়ি চলছে। রাস্তার জায়গায় জায়গায় পুলিস। গলির মোড়ে মোড়ে জটলা। সহজ একটা জটলার সামনে বাইকটা দাঁড় করাল। একজনকে আলগোছে জিজ্ঞেস করল— কী হয়েছে দাদা?
কিছু হয়নি, এবার হবে। চলে যান।
তেএঁটে লোক! এরা সোজা কথার সোজা উত্তর দেয় না, অথচ অনেক বাড়তি কথা খরচ করে। সহজ চলে গেল না। সে লোকটার সামনে বাইকে বসে পকেট থেকে ফোন বের করল। কাউকে ফোন করে জেনে নেবে। কিন্তু ফোন খুলেই সে অবাক। ২৯টা মিসড কল। ক্যাপ্টেনের বাড়িতে বর্ণিনীর দ্বিতীয় ফোনটা আসার পর সে মোবাইলটিকে সাইলেন্ট মুডে করে দিয়েছিল। অনেক অচেনা নম্বরের সঙ্গে চেনা নম্বরও অনেক। বর্ণিনী, মিমি, ভানুদা, শঙ্করদা... সমর, অজিত। মিমির খান তিনেক কল। কী এমন হল? সে প্রথম মিমিকে ফোন করল। 
‘তুই কোথায়? ফোন ধরছিস না কেন? এখুনি বাড়ি আয়, মা খুব চিন্তা করছে—।’ মিমি ভয়ার্ত গলায় বলে উঠল। ফোন কেটে দিল। সহজ জিজ্ঞাসা করতে পারল না— কী হয়েছে?
বেরিয়ে বর্ণিনীকে ফোন করার কথা ছিল। ওকেই ফোন করা যাক। 
বনির খুব চাপা গলা। ‘তুই কোথায়?’
‘বনি কী হয়েছে রে?’
‘কী হয়েছে মানে, তুই কিছু জানিস না!’
‘অনেকে ফোন করেছিল, ২৯টা মিসড কল। তোর সঙ্গে কথা বলার পর আমি ফোনটা সাইলেন্ট মুডে রেখেছিলাম। সত্যি কিছু জানি না।’
‘এখন তুই কোথায় আছিস?’
‘রাস্তায়, একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে।’
‘শোন, সাতটা নাগাদ পরমেশ্বরদাকে ওর অফিসের নীচে গুলি করা হয়েছে।’
‘অ্যাক!’ সহজের গলা ফুঁড়ে আওয়াজটা বেরিয়ে এল। ‘পরমেশ্বরদার কী অবস্থা?’
‘দুটো গুলিই ওর ডানদিকের পাঁজরায় ঢুকেছে। অবস্থা ভালো নয়, ওকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছে। তুই হসপিটালে যাবি না। চারদিকে খুব উত্তেজনা। আর ওখানে তোর যাওয়া ঠিক হবে না।’
‘মানে? আমার তো হাসপাতালে যাওয়া উচিত।’
‘আমি বাবার কাছ থেকে যা শুনেছি, দু’জন ছিল। একজন বাইক চালাচ্ছিল, পিছনের জন গুলি করে। যে বাইক চালাচ্ছিল, মনে করা হচ্ছে, সে পদ্মনাভ। ওর পিছনেই বাইরের লোক ছিল। আর গুলি চলার কিছুক্ষণ আগে সুজি নাকি বাইক নিয়ে ওই জায়গায় এসেছিল। শোন, পরমেশ্বরদার যদি কিছু হয়ে যায়, তুইও একটু সমস্যায় পড়বি।’
‘আমি! আমি কেন?’
‘পদ্মনাভর সঙ্গে মিমির রিলেশন আছে, এটা সবাই জানে।’
‘পদ্মনাভর সঙ্গে মিমির কোনও রিলেশনই নেই।’
‘সেটা আমরা জানি, কিন্তু বাইরের সবাই জানে না। তুই ঠান্ডা মাথায় একটা কথা বলতো— যে গুলি খেয়েছে সে তোর বন্ধু, আর যে গুলি চালিয়েছে সে তোর বিশেষ পরিচিত। মাঝে কিন্তু তুই। তাই তোকে বলছি, মাথা ঠান্ডা করে বাড়ি চলে যা। আমি কি তোর বাড়িতে যাব?’
‘না, দরকার নেই।’
সহজ বাইকে বসল, ভাবল বাড়ি যাবে। কিন্তু মন টানছে হাসপাতালের দিকে। সে কিছুটা এসে আবার বাইক থামাল। ফোন করতে হবে। এবার শঙ্কর—।
‘তুমি কি হাসপাতালে শঙ্করদা?’
‘হ্যাঁ রে হাসপাতালে আছি?’
‘কেমন আছে?’
‘ঠিক আছে, অপারেশন করে দুটো গুলিই বের করে দিয়েছে। কিন্তু জ্ঞান ফেরেনি। প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে।’
‘আমি হাসপাতালে যাচ্ছি শঙ্করদা।’
‘আমি তোকে অনেক ফোন করেছি—তুই কোথায় গিয়েছিলি—ক্যাপ্টেনের বাড়ি?’
‘হ্যাঁ, তোমাকে কে বলল?’
‘এলাকায় এসে পরমই আমাকে ফোন করে বলল— ও নচেকে নিয়ে খুব আপসেট। ক্যাপ্টেনের জন্যই সুজি-নচে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাই ও তোকে ক্যাপ্টেনের কাছে পাঠিয়েছে। ক্যাপ্টেনকে ও মারতে চায় না, এলাকা থেকে দূরে চলে যেতে বলেছে।’
‘হ্যাঁ, আমি ক্যাপ্টেনকে বলেছি।’
‘ক্যাপ্টেন কী বলল?’
‘আমাকে গাল মন্দ করলেন, পরমেশ্বরের কুকুর-টুকুর বললেন। বিষ খাবার হুমকি দিচ্ছিলেন। উনি নাকি বিষ খেয়ে হজম করে নেবেন!’  
শঙ্কর হাসল, ‘আমি জানতাম, তুই গালাগালি খাবি। আমি শুনে পরমকে বলেছি— তুই স্যাকরার হাতুড়িকে পাঠিয়েছিস কামারশালায়—। ক্যাপ্টেনকে চমকানোর জন্য অন্য ছেলে আছে। ঠিক আছে, পরম যখন বলেছে, ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়া করে দেব।’
সহজ কাতর গলায় বলল, ‘শঙ্করদা আমি হাসপাতালে যাচ্ছি— তুমি আছ তো?’
‘তুই হাসপাতালে আসিস না, এরা সব খেপে আছে। ওরা আজই সুজির বাড়ি ভাঙচুর করবে বলছিল। এমনকী, পদ্মনাভদের ফ্ল্যাটেও হামলা চালাত। আমি ঠেকিয়ে রেখেছি। এখন হঠাৎ তোকে চোখের সামনে দেখলে খেপে যেতে পারে।’
‘কী বলছ, আমাকে কেন?’ সহজ ঠান্ডা গলায় বলল।
‘পরম আজ বিকেলেই তোর সঙ্গে হাসপাতালে ছিল। তুই আগে বেরিয়ে এসেছিস। তারপর ও এলাকায় ঢুকেছে। তারপরই গুলি চলল। আর গুলি করল তোর বোনের বয়ফ্রেন্ড— বিষয়টা কেমন একটা খটকা থেকে গেল না! পরম সুস্থ হয়ে উঠুক। তারপর তুই ঠেকের দিকে যাস। তার আগে যাস না।’
সহজের মনে হল তার কানে কেউ গরম সিসা ঢেলে দিল।
শঙ্কর কাশল। বলল, ‘তুই আবার এটা নিয়ে টেনশন করিস না। পাঁচরকম ছেলেকে নিয়ে আমাকে চলতে হয়। ও আমি সামলে নেব। একটু ঠান্ডা হতে দে। এই শোন, তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করছি— সত্যি কথা বলবি। কী রে বলব?’
‘বলো।’
‘ক্যাপ্টেনের ছুকরিটা খুব খেলুড়ে। শুনছি তুই ওটাকে তুলেছিস। সে তোল। আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মালটার বড় দেমাক! আমি যতবার গিয়েছি, আমাকে যা তা অপমান করেছে। ওর গুমোর আমি ভাঙব। ওকে একদিন জোকার রিসর্টে নিয়ে আসতে পারবি। তোর সঙ্গে তো প্রেম চলছে, তুই ওকে ম্যানেজ করে নিয়ে আয়। ওর সঙ্গে আগে বোঝাপড়া করব। তারপর ক্যাপ্টেনকে দেখব। পরম যখন হুকুম দিয়েছে। আমি সেটা পালন করব।’
সহজ ফোন কেটে দিল।
ধীর গতিতে সহজ বাড়ি ফিরল। ভালো করে স্নান করল। মায়ের ঘরে গেল। কস্তুরী বলল, ‘চিন্তা করিস না, কিছু হবে না, ঠিক হয়ে যাবে।’
সহজ বলল, ‘নচে ভালো আছে মা।’
কস্তুরী অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বলল, ‘তোর ওই দাদাও ভালো হয়ে যাবে।’
সহজ ঘরে এসে শুয়ে পড়ল। বারান্দায় চোখ বন্ধ করে বসে মিমি। ওর চোখে জলের দাগ। এর মধ্যে বর্ণিনী ফোন করল, ‘আমার খুব ভয় করছে।’
‘আমার কিছু হবে না। চিন্তা করিস না।’
‘তোর জন্য নয়, বঁড়শি জন্য। ওকে আমি ফোন করব? ওই লোকটা একটা ভয়ঙ্কর খুনি। বঁড়শির বিপদ হতে পারে। ওকে ইমিডিয়েট রেসকিউ করা দরকার।’
সহজ চুপ করে থাকল। জীবনে কোনওদিন সে এত সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেনি।
বর্ণিনী বলল, ‘ওই লোকটা যদি একবার বুঝে ফেলে ওর সব কথা আমরা জেনে গিয়েছি— ও নির্ঘাত বঁড়শিকে মেরে পালিয়ে যাবে। ওকে ধরা তখন খুবই দুঃসাধ্য হবে। সারা ভারতে অজস্র আশ্রম, ধর্মীয় স্থান। একবার গা ঢাকা দিলে পুলিসের সাধ্য নেই ওকে ধরা। দেখ, লোকটা শাস্তি পাবে কি না, সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছি। ওকে বাঁচাতেই হবে। আমি ফোন করছি ওকে। প্রয়োজন হলে আমি বাবার সাহায্য নিয়ে ওকে তুলে নিয়ে আসব।’
‘ও কি আসবে?’
‘আমাকে চেষ্টা করতেই হবে।’
সহজ খেল না। মিমিও খায়নি। দোতলায় আজ ভাই-বোন দুটি ভিন্ন কারণে যেন বিনিদ্র রাত কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্য সময় হলে একে অপরকে সান্ত্বনা দিত। কিন্তু আজ দু’জনেই যেন বেসামাল। মিমির মাথায় বার বার ঘুরে ফিরে আসছে, পদ্মনাভকে ওরা ছাড়বে না। আজ না হোক কাল মারবেই। আজ হয়তো পদ্মনাভর সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। কিন্তু অনেক অনেক সুখস্মৃতি জড়িয়ে আছে। অনেক স্বপ্ন দেখেছিল দু’জনে। পদ্মনাভর এমন লোভী হয়ে ওঠার পিছনে তার ইন্ধনও কম নেই। লোভী পদ্মনাভর সঙ্গে সেও লোভ করেছে। সমান তালে সুর মিলিয়েছে। এই লোভের চক্করে আজ যখন দিকশূন্য হয়ে পদ্মনাভ ঘুরছে, তখন তার হাত ছেড়ে দিয়েছে মিমি।
আর সহজ নিজেকে নিয়ে ভাবে না। তার সব আকাশপাতাল ভাবনা এখন বঁড়শিকে নিয়ে। বঁড়শিকে শুধু ক্যাপ্টেনের হাত থেকে নয়, শঙ্করের হাত থেকেও রক্ষা করতে হবে।
এগারোটা নাগাদ ফোন করল শঙ্কর, ‘কী রে বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়েছিস? আমরা একটু আগে হাসপাতাল থেকে ফিরলাম। ওর জ্ঞান এসেছে। আপাতত বিপদ নেই। কিন্তু ও ভুগবে। ডানদিকের পাঁজরটা পুরো ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। তুই আমার কথা মনে রেখেছিস তো। কাল সকালেই ওর বাড়ি যাবি। যদি রাজি হয় কাল দুপুরে বাইকে বসিয়ে— জায়গা আমি বলে দেব। ও খেলুড়ে মেয়ে! ওকে আমি ভাঙব না, মুচড়ে দেব।’
সহজ খুব আস্তে আস্তে বলল, ‘তুমি মদ খেয়ে লাট হয়ে আছ শঙ্করদা। ঘুমিয়ে পড়ো। এসব কথা তোমার রোবট-কালী জানতে পারলে ধরে পেটাবে!’
শঙ্কর খিস্তি দিতে যাচ্ছিল, তার আগেই সহজ ফোনটা এরোপ্লেন মুডে করে দিল। মাথার ভেতর দপ দপ করছে! নিজেকে শান্ত করতে হবে। নীচে বাবার চটির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। সহজ নীচে গেল। 
সম্বুদ্ধ মিত্র বললেন, ‘শোনো, তোমার ঠাকুরদার সব খাতা আমার হেফাজতে। আমার মনে হল তোমার আলমারিটাও সেফ নয়। তোমার ঠাকুরমার হাত অনেক লম্বা। আমি সব খাতা আমার অফিসে নিয়ে গিয়েছি। আর সাদা খাতায় ভরে দিয়েছি বাবার ট্রাঙ্ক।’
‘খাতাগুলো কি তুমি দেখেছ?’
‘দেখেছি মানে, চোখ রাখলেই হারিয়ে যাচ্ছি। পুরাণ রামায়ণ মহাভারতের চরিত্র ধরে ধরে বিশ্লেষণ!’ সম্বুদ্ধ মিত্র চাপা গলায় বললেন, ‘তা ওঁকে নিয়ে যাওয়ার কী হল, আর তো কোনও বাধা নেই! এবার ব্যবস্থা করে ফেলো। যদি টাকার দরকার পড়ে আমাকে বলো—।’
সহজ ঘাড় নাড়ল, বলল, ‘সময় হয়ে গিয়েছে, যে কোনওদিন ভোরে বেরিয়ে যাব।’
‘বাবাকে বলে রেখেছি আমি, উনি কিন্তু প্রস্তুত। তুমি ডাকলেই উনি বেরিয়ে যাবেন।’
হঠাৎ সহজের মনে হল সিঁড়ির ওপর মিমি দাঁড়িয়ে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। মিমি এক পা নেমে এসে খুব নিচু স্বরে বলল, ‘দাভাই একটু শুনবি।’
সহজ এগিয়ে গেল। সিঁড়ির ওপর উঠতেই মিমি বলল, ‘আমাকে বনি একটা এসএমএস করেছে, তোর সঙ্গে ওর খুব দরকার। তোকে ফোনে পাচ্ছে না।’
সহজ ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। মিমি বলল, ‘দাভাই আর কিছু কী হয়েছে?’
সহজ জানে না আর কী হতে পারে? আর কীসের আশঙ্কা করছে মিমি? সহজ বলল, ‘জানি না।’
মিমি বলল, ‘দাভাই আমার সঙ্গে পদ্মনাভর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি ওর সঙ্গে সব সম্পর্কই ছিন্ন করেছি। সবকিছু মিলিয়েই ও খুব ফ্রাসট্রেটেড। ও আগেই বাজে চক্করে পড়েছে। ক’দিন ধরেই খবর পাচ্ছিলাম ও দিন-রাত মদ খাচ্ছিল। আমি শুনেও কোনও যোগাযোগ করিনি। করবও না। ওকে নিজেকে নিজেই সামলাতে হবে। কিন্তু দাভাই, আমি জানি না এখন ওর কী হবে? বাড়িতে ফিরলেই নির্ঘাত মরবে। ওদিকে পুলিসও ওর পিছনে—।’ মিমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওর ঘরের দিকে চলে গেল।
সহজ ঘরে এসে ফোন করল বর্ণিনীকে।
খুব বিরক্তির স্বরে বর্ণিনী বলল, ‘তুই যে কী করিস! যখনই তোকে আমার দরকার পড়ে তখনই তোকে পাই না।’
সহজ বলল ‘তোর নিজের দরকারে তো আমাকে তোর দরকার পড়ে না। কার কী হয়েছে?’
‘আমি বঁড়শিকে নিয়ে এসেছি। আমি আগে বঁড়শিকে ফোন করেছিলাম। তখন ও আসতে চায়নি। পরে ও নিজেই ফোন করেছিল। বাবা আমার সঙ্গে ফোর্স দিয়েছে, ওখানেও পুলিস পোস্টিং আছে। নে তুই বঁড়শির সঙ্গে কথা বল, সব জানতে পারবি।’
সহজ শুনতে পেল, ফোনের হাত বদল হচ্ছে। ‘নাও তুমি কথা বলো।’
সহজ বলল, ‘হ্যালো, বঁড়শি আমি সহজ, বলো।’
ওপারে অপার নীরবতা। তারপর মৃদু গলার আওয়াজ পাওয়া গেল। ‘আমি শঙ্খিনী বলছি, আমি আর বঁড়শি নই। আপনাদের ক্যাপ্টেন, ওই পিশাচ সাধু মারা গিয়েছেন।’
‘কী!’ অস্ফুটে বলে উঠল সহজ।
‘হ্যাঁ, পাপ মিটিছে! আপনি চলে আসার পর আমাকে শাসিয়ে যাচ্ছিল, ওই ঘরে ওঁর অবর্তমানে কে এসেছিল? কারা এসেছিল? কী হয়েছে? ওঁর জিনিস কে চুরি করেছে? সব ওঁকে বলতে হবে। আমি একটা কথাই বলে গিয়েছি, কী জিনিস চুরি গিয়েছে? সে কথার উত্তর উনি দেননি। শুধু হুমকি দিচ্ছিলেন। বার বার বলছিলেন— যারা এসেছিল তারা ওকে বিষ দেবে। ওকে বিষ খাইয়ে মারবে। কিন্তু বিষে ওঁর কিছু হবে না। উনি আমাকে দেখাতে চাইছিলেন— উনি বিষ খেয়ে বিষ হজম করতে পারেন। আমি ওঁকে বললাম, যদি বিষ খেয়ে মরে যান, আমার তো জেল হবে। উনি খস খস করে একটা কাগজে লিখে দিলেন— উনি স্বেচ্ছায় বিষ খাচ্ছেন। তারপর বিষ খেলেন। কিন্তু হজম করতে পারলেন না, বমি করে, শ্বাস টানতে টানতে, ছটফট করতে করতে মারা গেলেন।’
সহজ শান্ত গলায় বলল, ‘তুমি ওকে আটকাতে পারলে না?’
‘না, আমি তো আটকাব না। তাই সে চেষ্টা করিনি। আমি মনে প্রাণে চাইছিলাম উনি বিষ খেয়ে মরুক। আমি দেখতে চেয়েছিলাম— আমার বাবা কীভাবে মরেছে। ওই সাতজন কীভাবে মরেছে।’
সহজ চুপ। বঁড়শির হাত থেকে ফোন নিল বর্ণিনী। বলল, ‘সহজ ভোরে আমরা রওনা দেব। তুই তোর ঠাকুরদাকে নিয়ে রেডি থাকবি। আপাতত তোর ঠাকুরদার সঙ্গে ওই আশ্রমেই শঙ্খিনী যেতে চাইছে। আমরা চারটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে তোর বাড়ির সামনে আসছি।’
সহজ নীচে এল বাবাকে বলল। রাত পোহালেই যাত্রা। 
সম্বুদ্ধ মিত্র স্বস্তির শ্বাস ফেললেন। সহজের দু’হাত ধরলেন, ধরা গলায় বললেন, ‘যাই বাবাকে বলে আসি— রাত পোহালেই যাত্রা!’                  (সমাপ্ত)
26th  September, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
দুর্গা
তপন বন্দ্যেপাধ্যায়

অনেকক্ষণ ধরে একটি গল্পের প্লট খুঁজছেন ভাস্করবাবু, মগজের ভাঁজ খুলে-খুলে দেখছেন কোন ঘটনাটা তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই মুহূর্তে, কোন দুটি চোখ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর মনের অন্দরমহল, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না মনোমতো প্লট। যা-ও দু-একটি ঘটনা মনে পড়ছে কোনওটাই মনঃপূত হচ্ছে না। বিশদ

10th  October, 2021
পর্ব  ১: অপারেশন ৭১
সিচ্যুয়েশন রুম
সমৃদ্ধ দত্ত
 

কেন রিচার্ড নিক্সন এতটা ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী? কারণ একাধিক। নিক্সন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন‌ই এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছেন তিনি দেখতে পেয়েছেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের চোখে এক সমীহ। এক বিশেষ শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। ইনি সর্বশক্তিমান। সুতরাং নিক্সন আনুগত্য পেতেই অভ্যস্ত। তাঁর স্বভাবও সেরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম এই মহিলা।
বিশদ

03rd  October, 2021
ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস। বিশদ

03rd  October, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’  ‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু।  বিশদ

05th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর... বিশদ

29th  August, 2021
একনজরে
সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...

রাজ্যের ‘টি ট্যুরিজম’ প্রকল্পের স্বার্থে এক চা বাগানের রাস্তার একটি অংশ দেওয়া হয় অন্য দু’টি কোম্পানিকে। বাগান কর্তৃপক্ষ বিকল্প রাস্তা বানাতে গিয়ে স্থানীয় বিরোধের সম্মুখীন। ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...

দীপাবলির উপহার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পাইপলাইনের মাধ্যমে লাদাখের গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মান-মেরাগ গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM