প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
অথচ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি যখন নামছেন, মাঠজুড়ে তখন চলছে ‘কোহলি, কোহলি’ চিৎকার। ভক্তদের আবেগের ন্যুনতম মর্যাদা দিতে পারেননি ভিকে। মাত্র ১৫ বল স্থায়ী হওয়া ইনিংসে দুটো সিঙ্গলস ছাড়া রয়েছে একটি স্ট্রেট ড্রাইভে বাউন্ডারি। এরমধ্যে বার দুয়েক পেসার কুনাল যাদবের অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে বল মিস করেন তিনি। উপস্থিত পাঁচ হাজার দর্শক উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন, অস্ট্রেলিয়ার সফরের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তো? ঘটনাচক্রে ক্যাচ না দিলেও সেই একই রকম ডেলিভারিতে এবার বোল্ড হলেন বিরাট। যথারীতি ড্রাইভ মারতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন ৩৬ বছর বয়সি তারকা। একবার পিচের দিকে তাকিয়ে হতাশ ভঙ্গিতে ড্রেসিং-রুমে ফেরেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হতে শুরু করে গ্যালারি। ব্যর্থতার দিনে অবশ্য দিল্লির তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার জন্য কোহলিকে সংবর্ধনা দেয় ডিডিসিএ। উল্লেখ্য, রেলওয়েজের ২৪১ রানের জবাবে অধিনায়ক আয়ূষ বাদোনি (৯৯) ও সুমিত মাথুর (৭৬ ব্যাটিং) চালকের আসনে বসিয়েছেন দিল্লিকে (৩৩৪-৭)।
অন্য ম্যাচে, চোট সারিয়ে ফিরে বাঁ-হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব পেয়েছেন তিন উইকেট। উত্তরপ্রদেশের হয়ে ৩১ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ৬৭০-৭ রানের জবাবে উত্তরপ্রদেশের স্কোর ৯৫-০। মুম্বইয়ের শার্দূল ঠাকুর আবার ব্যাটে-বলে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। মেঘালয়ের প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটে তাঁর সংগ্রহ ৮৪। মেঘালয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে দুটো উইকেটই তাঁর। তবে মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে আউট হলেন ৯৬ রানে। সিদ্ধেশ লাডের সংগ্রহ ১৪৫। এছাড়াও সেঞ্চুরি পেয়েছেন আকাশ আনন্দ (১০৩) এবং স্যামস মুলানি (অপরাজিত ১০০)। দ্বিতীয় দিনের শেষে মেঘালয় পিছিয়ে ৫৫৮ রানে। রাজকোটে অপর ম্যাচে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৭তম সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন চেতেশ্বর পূজারা। অসমের বিরুদ্ধে তিনি ফিরলেন ৯৯ রানে। বিহারের বিরুদ্ধে কেরলের ইনিংস ও ১৬৯ রানে জয়ে বড় ভূমিকা থাকল জলজ সাক্সেনার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তিনি।