প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএলে পা রাখে মহমেডান স্পোর্টিং। নিজের দমে খেলার গর্বে তখন ডগমগ সমর্থকরা। বিরিয়ানির খুশবুতে ম ম বিভিন্ন মহল্লা। অথচ তাল কাটতে সময় লাগেনি। ভাঁড়ে মা ভবানী। দল হবে কী করে? লগ্লিকারী সংস্থাকে কোনওরকমে বাবা-বাছা করে দল খাড়া করেন কর্তারা। কিন্তু বিতর্কের আগুন নেভেনি। বরং মরশুম গড়ানোর সঙ্গেই তা দাউদাউ করে জ্বলছে। গত কয়েক মরশুম জলের মতো টাকা খরচ করেছে বাঙ্কারহিল। কিন্তু তাঁদের দাবি, প্রাপ্য শেয়ার এখনও পাননি। শুধু প্রতিশ্রুতির কুমীর ছানা দেখিয়ে আর কতদিন? ময়দানে জোর গুঞ্জন, শেয়ার হাতছাড়া হলে কর্তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। অতএব ধীরে চলো নীতি নিলেন তাঁরা। আমিরুদ্দিন ববি, মহম্মদ কামারুদ্দিন, ইসতিয়াক আমেদরা ক্লাবের পুরনো মুখ। প্রয়াত সুলতান আমেদের দল করতেন ওঁরা। রাশ থাকত ঠান্ডা মাথার সুলতানের হাতে। এখন? সবাই রাজা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস নির্বিরোধী। তাঁর থিওরি, জলে নামব কিন্তু চুল ভেজাব না। পাশাপাশি লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গেও বিরোধ প্রবল। অগাধ টাকা নিয়ে ময়দানের মাসিহা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ইস্ট বেঙ্গলে ব্রাত্য এক কোম্পানির কর্তা। জেদের বশে নৌকো ভেড়ান রেড রোডের পাশের ক্লাবে। ঠোকাঠুকি লাগতে দেরি হয়নি। সবমিলিয়ে জট চরমে। কর্তা, ইনভেস্টর, লগ্নিকারী সংস্থা, সবার আলাদা লবি। ভুলে ভরা সিস্টেম দিয়ে ক্লাব চালানোর চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্লাব দখলের খেলায় এখানে ফুটবলই ব্রাত্য।