প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের পরপর জয় যেন দিনে চাঁদ দেখার মতো। আলেকালেই তা হয়ে থাকে। শুক্রবার অ্যাওয়ে ম্যাচে মুম্বইকে বাগে পেয়েও হারাতে ব্যর্থ ইস্ট বেঙ্গল। ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখিয়েও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় হতাশাই সঙ্গী লাল-হলুদ ব্রিগেডের। গোলশূন্য ড্র হওয়ায় সুপার সিক্সের পথ আরও কঠিন হল তাদের। ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রয়েছেন শৌভিকরা।
আইএসএলের শেষ ল্যাপ চলছে। ইস্ট বেঙ্গল এখনও তলানিতে। এমন পরিস্থিতিতে জয়ের বিকল্প নেই। আর কবে জ্বলে উঠবেন দিয়ামানতাকোস? শুক্রবার সেলিস, বিষ্ণুরা একের পর এক বল সাজিয়ে দিলেন গ্রিক স্ট্রাইকারকে। কিন্তু বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মতো সুযোগ হেলায় হারালেন তিনি। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তিন গোলের ব্যবধানে জিততেই পারত ইস্ট বেঙ্গল। গ্রিক স্ট্রাইকারের দু’বারের প্রচেষ্টা পোস্টে প্রতিহত হয়। তবে প্রশংসা করতে হবে সেলিস ও ডেভিডের। ক্লেটন সিলভার অনুপস্থিতিতে ফিডারের ভূমিকার বেশ নজর কাড়লেন মিজো ফুটবলার। উল্টোদিকে, মুম্বইকে ঘরের মাঠে বেশ বিবর্ণ দেখাল। ইস্ট বেঙ্গলের আনকোরা রক্ষণের পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ ছাংতে, বিপিনরা।
চোটের জর্জরিত ইস্ট বেঙ্গল এখন মিনি হাসপাতাল। কোনওক্রমে জোড়াতাপ্পি দিয়ে মুম্বই এরিনায় টিম নামিয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। তবে খেলা দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। ‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’ দর্শনে প্রথম মিনিট থেকে মুম্বই রক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিষ্ণু, ডেভিডরা। ১১ মিনিটেই গোল পেতে পারত ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু বিষ্ণুর শট বক্সে কোনওক্রমে ব্লক করেন মুম্বই ডিফেন্ডার মেহতাব। তার দু’মিনিট পর নাওরেমের ভাসানো ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ কেরালাইট তরুণ। এই পর্বে লাল-হলুদের অহরহ আক্রমণে যেন দিশাহারা দেখাচ্ছিল মুম্বইকে। অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই প্রধান স্ট্রাইকার কারোলিসের চোট পেয়ে উঠে যাওয়াটাও পিটার ক্র্যাটকির দলের জন্য বড় ধাক্কা। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলের লক্ষ্যে কোনও শটই রাখতে পারেনি মুম্বই। উল্টোদিকে, ৪৪ মিমিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন ইস্ট বেঙ্গলের দিয়ামানতাকোস। বিষ্ণুর ঠিকানা লেখা ক্রসে ফাঁকা গোল পেয়েও মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ লাল-হলুদ স্ট্রাইকার। পরের মিনিটে আবার বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দূরপাল্লার শট পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মুম্বইকে অপেক্ষাকৃত সংগঠিত দেখাল। কিন্তু গোল এল না। ৬৪ মিনিটে বিপিনের লবে লাল-হলুদ কিপার প্রভসুখন পরাস্ত হলেও, গোললাইন সেভ লালচুংনুঙ্গার। এরপর ৭২ মিনিটে নিজেদের বক্সের সামনে হ্যান্ডবল করে বিপজ্জনক জায়গায় প্রতিপক্ষকে ফ্রি-কিক উপহার দেন নন্দ। ৭৫ মিনিটে দিয়ামানতাকোসের হেড আবার পোস্টে প্রতিহত হয়। বাকি সময়েও স্কোরলাইনের পরিবর্তন হয়নি।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, নন্দকুমার (প্রভাত), লালচুংনুঙ্গা, হেক্টর, নিশু, শৌভিক, নাওরেম, সেলিস, বিষ্ণু (সায়ন), ডেভিড (মার্ক) ও দিয়ামানতাকোস।