পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
তারকাখচিত দল মোহন বাগান। এক ঝাঁক ম্যাচ উইনার। কিন্তু মোক্ষম সময়ে সকলেই যেন কাগুজে বাঘ হয়ে গুটিয়ে গেল। দায় এড়াতে পারে না সবুজ-মেরুন রক্ষণভাগও। জামশেদপুরের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এজে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, মোলিনার সাধের মাঝমাঠ আর ডিফেন্স কতটা ঠুনকো। তবুও শেষ লগ্নে ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত না হলে ম্যাচটা জিততেই পারত মোহন বাগান। এমন হতশ্রী রেফারিং নিয়ে নতুন করে আর কি বলব! প্রতি ম্যাচে চূড়ান্ত অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে তারা। ফেডারেশন কর্তারা কি খেলা দেখেন? দেখলে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব এরা পায় কী করে?
ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ১৩টি শট নিয়েছিল মনবীররা। তারমধ্যে তেকাঠির মধ্যে ছিল পাঁচটা। অথচ গোল মাত্র একটি। একজন প্রাক্তন স্ট্রাইকার হিসেবে এমন পরিসংখ্যান দেখে বিরক্তি জন্মাচ্ছে। চলতি আইএসএলে ম্যাকলারেন হল ‘দ্য বেস্ট ক্যাচ’। অস্ট্রেলিয়ান লিগের সর্বকালের সেরা গোলদাতা বলে কথা। কিন্তু সবুজ-মেরুন জার্সিতে সেই ধার কোথায়? ১৫ ম্যাচে তার নামের পাশে মাত্র ছয় গোল। গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ডার্বিতে লক্ষ্যভেদের পর ভেবেছিলাম ছন্দে ফিরেছে। কিন্তু শুক্রবার যেভাবে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করল তা বড় ফুটবলারের পক্ষে বেমানান। আর লিস্টন তো প্রতি ম্যাচেই এক ভুল করছে। কখনও কখনও মনে হয়, বলটা ওর ব্যক্তিগত সম্পত্তি।
মোহন বাগান ডিফেন্সও প্রতি ম্যাচেই কাঁপছে। একজন ফুটবলার প্রায় ৬০ গজের সোলো রানে গোল করল বিনা বাধায়। আপুইয়া তখন স্রেফ দর্শক। আশিস রাই লাট্টুর মতো পাক খেল বার দুই। বিদেশি ডিফেন্ডাররাও বিপদ বুঝে এগল না। আমাদের সময় মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বা আলোক মুখার্জিকে দেখেছি। এমন পরিস্থিতিতে আগেই স্লাইডিং ট্যাকলে বল বিপন্মুক্ত করে দিতেন। কিন্তু আপুইয়ারা তাঁদের ধারেকাছেই আসে না। দ্রুত হাল ফেরাতে না পারলে মোলিনা ব্রিগেডের কপালে দুর্ভোগ আছে। বিশেষ করে লিগের শেষ পর্যায়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে এভাবে পয়েন্ট নষ্ট করলে স্বপ্নভঙ্গ হতে দেরি লাগবে না।