মুম্বই: জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের রনজি ম্যাচে খেলবেন রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার শুরু হতে চলা এই ম্যাচে তাঁর খেলা তাৎপর্যপূর্ণ। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে ভরাডুবির পর বোর্ড ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার ব্যাপারে রীতিমতো কড়া বার্তা দিয়েছে। রোহিত যে তা মেনেই খেলতে বাধ্য, সেটা পরিষ্কার। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘গত ছয়-সাত বছরের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার দেখুন, আমরা ক্রমাগত ম্যাচের মধ্যেই থেকেছি। হ্যাঁ, আইপিএলের পর একটু সময় থাকে। তবে তখন ঘরোয়া ক্রিকেট হয় না। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তা চলে। ওই সময় দেশের হয়ে ম্যাচ খেলি আমরা। যারা সব ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে না তারা অবশ্য সেই সময় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেই পারে। আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, ২০১৯ সালে টেস্টে নিয়মিত হয়ে ওঠার পর থেকে প্রায় কোনও সময়ই মেলেনি। এত খেলার পর রিফ্রেশ হতে কিছু সময় প্রয়োজন। তবেই আগামী মরশুমের জন্য তৈরি হওয়া সম্ভবপর। যাই হোক পরের রনজি ম্যাচে আমি খেলব।’ ২০১৫ সালে শেষবার রনজি খেলেছিলেন তিনি। তারপর ফের এই আসরে নামবেন হিটম্যান। রোহিত বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটকে কেউই হাল্কাভাবে নেয় না।’ তাঁর নিজের ফর্ম অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই পড়তির দিকে। অস্ট্রেলিয়ায় তিন টেস্টে করেছেন মাত্র ৩১। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা।
তিনি অবশ্য এই মুহূর্তে কিছুটা চাপে রাখতে চাইছেন বিসিসিআইকে। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের উপর শৃঙ্খলা নিয়ে যে দশ দফা নিয়ম চাপানো হয়েছে, তা পছন্দ নয় রোহিতের। প্রচারমাধ্যমের মুখোমুখি বসে নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজিত আগরকরকে সেটা বলেও দিলেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘আমাকে আবার এটা নিয়ে কথা বলতে হবে বোর্ড সচিবের সঙ্গে। পরিবারকে সঙ্গে রাখার ব্যাপারে আলোচনা দরকার। ছেলেরা সব আমার দ্বারস্থ হয়েছে এই ব্যাপারে।’ উল্লেখ্য, মিডিয়ার উদ্দেশে কথাটা বলা না হলেও তা স্পষ্ট শোনা গিয়েছে মাইকে। আর রোহিত যে এই গাইডলাইন নিয়ে সন্তুষ্ট নন, তাঁর মন্তব্যেই পরিষ্কার, ‘কে আপনাদের এই নিয়মের কথা বলেছে? বোর্ডের তরফে সরকারিভাবে কি এটা জানানো হয়েছে?’ আগরকর যদিও এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওরা সকলেই পরিণত। নিজের যোগ্যতাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুপারস্টার হয়েছে। তবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়।’