একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
বোর্ড সূত্রে খবর, গিলের আঙুলে চিড় ধরেছে। এই অবস্থায় অপ্টাস স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টে তাঁর নামার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ বুড়ো আঙুলের চিড় সারতে সাধারণত দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তারপরই নেটে নামা সম্ভবপর। ফলে সত্যিই চিড় ধরে থাকলে গিল বড়জোর অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে নামবেন ব্যাট হাতে, যা শুরু হবে ৬ ডিসেম্বর। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো চাপে টিম ইন্ডিয়া। তিন নম্বরে দলের বড় ভরসা তিনি। চলতি বছরে রীতিমতো ধারাবাহিকও থেকেছেন। ভারতের গত সফরে টেস্ট সিরিজ জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। তাছাড়া, অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথম টেস্টে না খেললে তাঁকে দিয়ে ওপেন করানোর ভাবনাও ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। অতীতে টেস্টে ওপেনই করতেন গিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঘেঁটে গিয়েছে যাবতীয় পরিকল্পনা।
তারই মধ্যে শুক্রবার রোহিতের দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার খবর কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে শিবিরকে। এখন তিনি যদি তড়িঘড়ি অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়ে প্রথম টেস্টে খেলার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে টপ অর্ডার নিয়ে চিন্তা কিছুটা কমবে। হিটম্যান যদিও বোর্ডকে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানাননি। তবে ক্রিকেট মহল মনে করছে, দলে একের পর এক চোটের খবর শুনে রোহিত আর মুম্বইয়ে থাকবেন না। দ্রুত ডনের দেশের উড়ান ধরবেন। কারণ যতই আরব সাগরের পাড়ে তিনি প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকুন না কেন, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন একেবারেই আলাদা। তাই সেখানে গিয়ে অন্তত দু’দিন নেটে ঘাম ঝরানো জরুরি। ভারতীয় দল অপ্টাস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার থেকে টানা তিনদিন অনুশীলন করবে। ক্যাপ্টেন রোহিত তার আগে দলের সঙ্গে যোগ দেন কিনা, সেটাই দেখার। তখনই ইঙ্গিত মিলবে পারথে তিনি টস করতে যাবেন কি যাবেন না।
রোহিত যদি প্রথম টেস্ট না খেলেন তবে ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে কে জুটি বাঁধবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তৃতীয় ওপেনার হিসেবে স্কোয়াডে থাকা অভিমন্যু ঈশ্বরনের উপর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা খুব একটা নেই। ঈশ্বরন নিজেও রান পাননি ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দু’টি বেসরকারি টেস্টে। লোকেশ আবার শুক্রবার চোট পাওয়ার পর থেকে মাঠে নামেননি। এদিন তিনি ম্যাচ সিমুলেশনে ব্যাট করতে না নামায় জল্পনা আরও বাড়ছে। যদিও শোনা যাচ্ছে যে, তাঁর চোট নাকি গুরুতর নয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বরফ দেওয়া চলছে। সরফরাজের চোট নিয়েও লুকোছাপা চলছে। প্র্যাকটিস ম্যাচে একদিনও ব্যাট করতে নামেননি তিনি। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্টের আগে রীতিমতো আশঙ্কার মেঘে ঢেকেছে ভারতীয় শিবির।