অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে দিন তিনেক অনুশীলনের পর নিজেদের মধ্যে প্র্যাকটিস ম্যাচে জোর দেন কোচ গৌতম গম্ভীর। সেইমতো এদিন ওয়াকা গ্রাউন্ডে মূলত ভারত ‘এ’ দলের বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামেন লোকেশ, যশস্বীরা। পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার ডেলিভারি কনুইয়ে লাগার আগে ২৯ রান করেন তিনি। শর্টপিচের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দই দেখাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু ওই চোটের পর পাল্টে যায় ছবি। বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য তাঁর পরিস্থিতি গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই নাকি লোকেশকে আর ব্যাট করতে নামানো হয়নি বলে তাদের দাবি। তবুও সমর্থকদের মুখে সহজে হাসি ফোটার নয়। কারণ, ব্যাটসম্যানদের অফ ফর্ম। এদিন মুকেশ, নীতীশ, সাইনি ও কৃষ্ণার সামনে ফুটে উঠল তাদের অসহায়তা। মাত্র ১৫ করে বিরাট কোহলি স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
অজি প্রচারমাধ্যমে আবার তাঁর চোটের খবর বেরিয়েছে। তিনি নাকি বৃহস্পতিবার স্ক্যান করিয়েছেন। তবে কোন চোটের জন্য এই স্ক্যান, তা স্পষ্ট নয়। একবার নয়, এদিন দু’দফায় ব্যাটও করেছেন তিনি। দ্বিতীয়বার তাঁকে অনেক বেশি জমাট দেখিয়েছে। ঘণ্টাখানেকের ব্যাটিংয়ে ব্যাকফুটে বেশ কিছু দুর্দান্ত স্ট্রোকও নেন ভিকে। মারেন পুল শটও। শুরুর দিকে যদিও প্রসিদ্ধ ও নীতীশের শর্টপিচ বোলিংয়ের সামনে বেশ অস্বস্তিতে দেখা যায় তাঁকে। ঋষভ পন্থ অবশ্য দু’বার ব্যাট করতে নেমে প্রতিবারই বোল্ড হলেন। একবার মুকেশ কুমার ছিটকে দিলেন তাঁর স্টাম্প, আর একবার নীতীশ। বাউন্সারের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে ছিলেন পন্থ। সামগ্রিকভাবে সকালের দিকে বেশ চাপে ছিলেন ব্যাটাররা। ২৮ ওভারের শেষে স্কোর ছিল ১০৬-৫। গণমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়ে যায় যে মুকেশ, নীতীশদের বিরুদ্ধে এই দশা হলে কামিন্স, স্টার্কদের সামনে কী নাজেহালই না হতে হবে।
দ্বিতীয় দফার শুরুতে ইনিংস শুরু করেন যশস্বী ও গিল। তারপরে বিরাটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন পন্থ। এই পর্বে পন্থের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। শেষের দিকে ধ্রুব জুরেল ও আকাশ দীপ বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে সময় কাটান।
এদিন ভারতীয় দলের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন শুভমান গিল। দু’দফায় তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে ২৮ ও ৪২। জয়সওয়াল প্রথম প্রচেষ্টায় সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয়বার করেন আক্রমণাত্মক ৫৮। শেষ পর্যন্ত ৭৫ ওভারে তাঁদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩৩৯। শনি এবং রবিবারও এভাবেই ম্যাচ প্র্যাকটিস চলবে।