প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও হলদিয়ার রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম যৌথভাবে প্রকল্প রূপায়ণ করবে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সম্প্রতি এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম গ্রাম ও মফস্সলে এধরনের সমীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনজন ডেপুটি সিএমওএইচ নারায়ণ মিদ্যা, ষষ্ঠীভূষণ কুণ্ডু ও সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদ সদস্য পূর্ণেন্দু জানা সহ বিশিষ্টরা। প্রকল্প শুরুর আগে এদিন আরওপি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা হয়। কর্মশালায় সিএমওএইচ, বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক রতীশচন্দ্র পাল বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বলেন, বর্তমানে প্রিম্যাচিওর ডেলিভারি অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুর জন্মের প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচিওরিটি(আরওপি) হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। প্রি-ম্যাচিওর বেবি অর্থাৎ নবজাত শিশুর জন্মের পর ওজন যদি ২কেজির কম হয়, অথবা শিশু যদি ৩৪ সপ্তাহের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে, কিংবা জন্মের পরেই যদি শিশুকে নিওনেটাল বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের অক্সিজেন ঘরে রাখা হয়ে থাকে, তাহলে তার চোখের পরীক্ষা দরকার। সিএমওএইচ বলেন, মেডিক্যাল কলেজে এধরনের পরীক্ষা হয়। কিন্তু জেলায় সরকারি পরিকাঠামোতে কোথাও আরওপি পরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি বা বিশেষজ্ঞ নেই। সেজন্য রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুরে একাজ শুরু করছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে একাজে সহায়তা করবে হলদিয়ার রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের চোখের হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর মিশনের হাসপাতালকে এই অনুমতি দিয়েছে এবং এজন্য মউ চুক্তি হচ্ছে। স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, আরওপি সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে আশাকর্মী, নার্স, প্রসূতি ও শিশু বিশেষজ্ঞদের সর্বপ্রথম সচেতন হতে হবে। এই সচেতনতা এবং সমীক্ষার কাজ করবে মিশন।-নিজস্ব চিত্র