প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
পরাধীন দেশে কালনা মহকুমায় নারী শিক্ষার তেমন সুযোগ ছিল না। তৎকালীন শশিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপ্রসাদ ঘোষদের মতো মহান ব্যক্তিরা হিন্দু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে নারী শিক্ষার অগ্রগতি করেন। ক্রমবর্ধমান শিক্ষার উন্নতির কারণে এই বিদ্যালয় খুব অল্প সময়ে খ্যাতি লাভ করে। স্বাধীনতার পর আরও বিদ্যালয় গড়ে উঠলেও হিন্দু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষিকা শান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দক্ষ পরিচালনায় স্কুলের উন্নতি সকলের কাছে সুনাম কুড়ায়। আজ স্কুলে সায়েন্স, বায়োলজি বিভাগ সহ লাইব্রেরির সুবিধা রয়েছে। পড়ুয়াদের আত্মরক্ষায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় স্কুলের ছাত্রীরা। ২০২৫ সালজুড়ে প্রাক উদ্যাপন বর্ষ পালন করবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে শুক্রবার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে আলপনা ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে তার প্রাথমিক সূচনা হয়। এদিন স্কুলের সহ প্রধান শিক্ষিকা দেবীকা ভৌমিক মোহন্ত, নিবেদিতা মণ্ডল সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের প্রয়াসে সভাকক্ষ সহ বিদ্যালয়ের গেট চত্বর আলপনায় ভরিয়ে তোলে ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৭০০জন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফাল্গুনী মল্লিক বলেন, ২০২৬ সাল আমাদের ১২৫তম জয়ন্তী বর্ষ। শুক্রবার মেয়েদের আলপনা, অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে উদ্যাপনের সূচনা হয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের বিশেষ র্যালি শহর পরিক্রমা করবে। মেয়েদের আলপনা ও অঙ্কন সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে প্রদর্শনের জন্য রাখা থাকবে। বিদ্যালয়ের আজকের উন্নতির জন্য অতীতের সমস্ত শুভানুধ্যায়ী, শিক্ষিকাদের কাছে আমরা দায়বদ্ধ ও কৃতজ্ঞ।-নিজস্ব চিত্র