প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
চাষিরা পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে আলু বিক্রির তুলনায় জেলার রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির কাছে বেশি দামে আলু বিক্রি করতে পারায় স্বস্তি পেয়েছেন। এই আলুর একটা অংশ মুর্শিদাবাদ থেকে সিঙ্গুরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে গোটা রাজ্যের সুফল বাংলার স্টলে পৌঁছে যাচ্ছে আলু। এখনও পর্যন্ত এই জেলা থেকে প্রায় ২০ মেট্রিক টন আলু কিনেছে ডিস্ট্রিক্ট রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আট মেট্রিক টন আলু কেনা হয়েছে গ্রাম শালিকা ডাকবাংলো থেকে। সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন আলু কেনা হয়েছে কান্দি থেকে। আরও চার মেট্রিক টন আলু কেনা হয় বড়ঞা থেকে। যে সময়ে আলুর দাম চড়া ছিল, তখনও চাষিদের থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনে বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কাউন্টার খুলে আলু বিক্রি করে আরএমসি।অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, খোলা বাজারে আলুর দাম পড়ছে। চাষিরা পাইকারি বাজারে বিক্রি করে খুব একটা দাম পাচ্ছেন না। তাই আরএমসির তরফে সরাসরি কান্দি মহকুমার আলু চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনে নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এ মাসেই কুড়ি মেট্রিক টন আলু কেনা হয়েছে। সেই আলু সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি করা হচ্ছে এবং বেশ কিছু আলু আমরা সিঙ্গুরেও পাঠাচ্ছি। ডিস্ট্রিক্ট রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি তমাল দাস বলেন, বাজারে চাষিরা সাড়ে সাত টাকা থেকে আট টাকা কেজি দামে আলু বিক্রি করছে। সেই জায়গায় আমরা তাদের কাছ থেকে সরাসরি দশ টাকা কেজি দরে আলু কিনছি। মুর্শিদাবাদ জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি এই উদ্যোগ নিচ্ছে। এক একজন চাষি গড়ে চার-পাঁচ কুইন্টাল করে আলু দিতে পেরেছে। এখনও অনেক চাষি আরও বেশি আলু বিক্রির ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই আলু জেলার সুফল বাংলার কাউন্টারে ও বিভিন্ন মোবাইল কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সিঙ্গুরে তাপসী মালিক কৃষক বাজারে দেওয়া হচ্ছে। ওটা সুফল বাংলা হাব। ওখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন সুফল বাংলায় আমাদের জেলার আলু চলে যাচ্ছে। বড়ঞার আলু চাষি তাপসকুমার ঘোষ বলেন, একসঙ্গে সকলের আলু ওঠায় এভাবে দাম পড়ে যাবে বুঝতে পারিনি। সার ও তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আলু চাষ করে কোনও লাভ নেই। - নিজস্ব চিত্র