প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
নবম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হাতে একদিন সময়। তার আগে কৃষক বন্ধুর আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে। চিন্তায় পড়েছিলেন বহরমপুর ব্লকের শাহজাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবখালি গ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল। কিছুটা জমি আছে তাঁর, যদিও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য তিনি নিজে চাষ করতে পারেন না। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে কষ্ট করে পৌঁছে কৃষকবন্ধুর জন্য আবেদন করলেও কাগজপত্রের সমস্যা ছিল। সেজন্য আবেদনপত্র জমা করতে পারেননি। এই খবর জানতে পেরেই শুক্রবার সকালে বহরমপুর ব্লকের কৃষি অধিকারিক মিঠুন সাহা উপস্থিত হন তাঁর বাড়িতে। সমস্ত নথিপত্র সংশোধন করে কৃষকবন্ধুর নিশ্চিত আয় প্রকল্পের জন্য নাম নিবন্ধীকরণ সম্পূর্ণ করেন তিনি। ইন্দ্রজিৎবাবুর বাড়ির দাওয়ায় বসেই আবেদন মোবাইলে নথিভুক্ত করেন মিঠুনবাবু। তারপর তাঁর চাষবাসের খবর নেন। বাড়িতে বসে এইভাবে কৃষি আধিকারিকের উপস্থিতিতে সরকারি প্রকল্পের আবেদনের সুবিধা পেয়ে ইন্দ্রজিৎবাবু অভিভূত। তিনি করজোড়ে ধন্যবাদ দেন ওই অধিকারিক ও কৃষিদপ্তরকে। ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, কখনওই আশা করিনি বাড়িতে বসেই আমার কাজ হয়ে যাবে। ভেবেছিলাম আর আবেদন করতেই পারব না। মিঠুনবাবু কীভাবে খবর পেয়ে আমার বাড়িতে এসে হাজির হলেন। সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আমার কৃষকবন্ধুর আবেদন সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এবার জেলায় মোবাইল ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাতে প্রত্যন্ত গ্রামেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। এবার ২৮০২টি মোবাইল ক্যাম্প হচ্ছে এবং ৫২৩৩টি সাধারণ ক্যাম্প হচ্ছে। নবম পর্যায়ে মোট ৮০৩৫টি ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে তাঁকে সাধুবাদ জানাই। মিঠুনবাবু বলেন, ভদ্রলোক শারীরিক ভাবে একটু অক্ষম। যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য আমরা খবর পেয়ে ওঁর বাড়িতে পৌঁছে যাই। এদিন ওর আবেদন সম্পূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষ বন্ধুর নিশ্চিত আয় প্রকল্পে ও আগামীতে আর্থিক সাহায্য পেলে আমাদের ভালো লাগবে। যদি এমন কোনও ব্যক্তি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে পৌঁছাতে না পারেন, আমরা খবর পেলেই তাহলে তাঁর বাড়িতে গিয়ে আবেদন করে দেব।