প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে ধৃতরা স্বীকার করেছে, ওইদিনের মহিলাদের জমায়েত ছিল প্রতারণার প্রথম ধাপ। জমায়েতের পরবর্তী ধাপে স্থানীয় এজেন্টরা মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের একটি ফর্ম পূরণ করাত। ওই সময় মাসিক বেতনের কাজ দেওয়ার শর্ত হিসেবে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। প্রতারণার জাল বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও ছড়িয়ে আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিস। আর তাতেই তদন্তকারী আধিকারিকদের চোখ কপালে উঠেছে। কাজু, পেস্তা ও কিসমিসের প্যাকেজিংয়ের কাজ করে মহিলারা ঘরে বসে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এই প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তের মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে প্রতারণার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিল কয়েকটি এনজিওর সম্মিলিত সংগঠন।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ওই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হুগলি জেলার হিন্দমোটরে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটেও শাখা অফিস রয়েছে। ওই সংস্থার কর্ণধার বাবলু সামন্ত হুগলির তারকেশ্বরের বাসিন্দা। তার নেতৃত্বে জেলার প্রতিটি ব্লকে গত বেশ কয়েক মাস ধরে ধাপে ধাপে এজেন্ট নিয়োগের কাজ চলছিল। ওই এজেন্টরা গোপনে মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার টোপ দিয়ে একত্রিত করছিল। এদিকে ওইদিনের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন প্রথমেই সীমান্তের লালগোলা, ভগবানগোলায় জমায়েত করা হয়েছিল? এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, জেরার মুখে ধৃতরা জানিয়েছে, প্যাকেজিংয়ের কাজ দেওয়া প্রলোভন ছিল মাত্র। ওইদিনের জমায়েত সফল হলে আগামীতে জেলার অন্যান্য ব্লকেও জমায়তের পরিকল্পনা ছিল। ইতিমধ্যে মহিলাদের কাছ থেকে ভোটার, আধার কার্ডের জেরক্স নেওয়া হয়েছিল। এরপর প্যান কার্ড ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে ফর্ম পূরণের নামে ৫০০ টাকা করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। শুধু এই রাজ্যেই নয়, ঝাড়খণ্ডেও ওই সংস্থা প্রতারণার ফাঁদ পেতে কাজ করছে বলে এক পুলিস কর্তা দাবি করেছেন। ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি প্রতারণা চক্রের মাথাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।